জাহানারা ইমাম রচিত গ্রন্থ নয় কোনটি?
A
সাতটি তারার তিমির
B
বুকের ভিতর আগুন
C
ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস
D
একাত্তরের দিনগুলি
উত্তরের বিবরণ
• 'সাতটি তারার তিমির' কাব্যগ্রন্থটি জাহানারা ইমাম রচনা করেন নি।
- কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা - জীবনানন্দ দাশ।
• জাহানারা ইমাম:
- জাহানারা ইমাম 'শহীদ জননী' হিসেবে খ্যাত।
- তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য শহীদ শফি ইমাম রুমীর মা।
- তিনি ১৯৯২ সালে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি'র আহবায়ক হন।
- জাহানারা ইমাম ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে গণ-আদালত গড়ে তোলেন।
• তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ:
- সাতটি তারার ঝিকিমিকি,
- অন্যজীবন,
- বুকের ভিতর আগুন,
- নাটকের অবসান,
- নিঃসঙ্গ পাইন,
- ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস,
- প্রবাসের দিনগুলি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের নাম-
Created: 1 month ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাংলা সাহিত্যের কথা
C
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
D
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ গ্রন্থ সম্পর্কে তথ্য
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ: ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসগ্রন্থ ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’। এই গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিবরণে অনন্য। এটি বিভিন্ন সময়ে একাধিক সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে:
-
প্রথম সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৫৩
-
দ্বিতীয় সংস্করণ (নতুন): এপ্রিল, ১৯৬৩
-
তৃতীয় সংস্করণ (পরিমার্জিত): কার্তিক ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ (অক্টোবর, ১৯৬৬)
-
চতুর্থ সংস্করণ (পরিবর্ধিত ও নূতন): শ্রাবণ ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ (জুলাই, ১৯৬৮)
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: জীবনী ও অবদান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অগ্রদূতদের একজন। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও গবেষণায় তাঁর অবদানের কারণে তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ উপাধিতে পরিচিত হন। তাঁর পাণ্ডিত্য ও স্মরণশক্তির জন্য তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলেও অভিহিত করা হয়।
বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা নিয়ে তাঁর বিখ্যাত মন্তব্যটি এখনো প্রাসঙ্গিক ও শক্তিশালী—
"আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।"
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস লেখার পাশাপাশি ভাষা-সংক্রান্ত বহু জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তিনি বিশ্লেষণধর্মী সমাধান প্রদান করেছেন।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-র উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম
-
নবী করিম মুহাম্মাদ
-
ইসলাম প্রসঙ্গ
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড)
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
-
ব্যাকরণ পরিচয়
-
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
-
মহররম শরীফ
-
টেইলস ফ্রম দি কুরআন
-
Buddhist Mystic Songs (১৯৬০)
-
Hundred Sayings of the Holy Prophet
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া এবং 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (প্রথম খণ্ড)

0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
সুকুমার সেন
'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫) গ্রন্থের রচয়িতা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ । তাঁর ভাষা বিষয়ক অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হলো - 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান '(১৯৬৫), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড - ১৯৫৩, ২য় খণ্ড - ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮) ।

0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলি?
Created: 2 months ago
A
আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে
B
ভবিষ্যতের বাঙালি
C
উন্নত জীবন
D
সভ্যতা
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ গ্রন্থ ও এস ওয়াজেদ আলি: এক দৃষ্টিপাত
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ শিরোনামের প্রবন্ধগ্রন্থটি রচনা করেছেন বিশিষ্ট বাঙালি চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রাবন্ধিক এস ওয়াজেদ আলি। এই গ্রন্থে তিনি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ে তুলে একটি সাম্প্রদায়িকতা-বর্জিত, ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন তুলে ধরেছেন।
এস ওয়াজেদ আলি: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
এস ওয়াজেদ আলির সাহিত্যিক পরিচয় বহুস্তরীয়—তিনি প্রবন্ধকার, গল্পকার এবং ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা হিসেবে সমানভাবে খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৮৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে। সাহিত্যজগতে তার প্রবেশ ঘটে ‘অতীতের বোঝা’ নামক প্রবন্ধের মাধ্যমে, যা ১৯১৯ সালে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়।
১৯৩২ সালে তিনি ‘গুলিস্তাঁ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যচর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
জীবনের শিল্প
-
প্রাচ্য ও প্রতীচ্য
-
ভবিষ্যতের বাঙালী
-
আকবরের রাষ্ট্র সাধনা
-
মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ
উপন্যাস ও ভ্রমণবিষয়ক রচনা
তাঁর একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক উপন্যাস গ্রানাডার শেষ বীর, পাঠকদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
ভ্রমণ সাহিত্যে তাঁর অবদানও প্রশংসনীয়। এর মধ্যে পশ্চিম ভারত এবং মোটরযোগে রাঁচী সফর উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র:
ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago