চর্যাপদের ধর্মমত নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন কে?
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের প্রধান আলোচকগণ:
-
১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর অনেক পণ্ডিত চর্যাপদ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন।
-
বিজয়চন্দ্র মজুমদার – ১৯২০ সালে চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী – চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯৩৮ সালে প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ – ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন এবং ১৯৪২ সালে চর্যাপদের সঠিক পাঠ নির্ণয় করে আলোচনার পথ সহজ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত – ১৯৪৬ সালে চর্যাগীতির অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 months ago
১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 months ago
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।

0
Updated: 2 months ago
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।" সম্পর্কে কোনটি ভুল?
Created: 1 week ago
A
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা চর্যাপদে ২টি পদ রচনা করেছেন।
B
পঙ্ক্তিটির রচয়িতা: লুইপা।
C
কোনোটিই নয়
D
এটি চর্যাপদের প্রথম পদ।
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল" পঙ্ক্তিটি চর্যাপদের প্রথম পদ এবং এর রচয়িতা লুইপা। এটি প্রাচীন যুগের রচনা, যার অর্থ হলো দেহ গাছের মতো, যার পাঁচটি ডাল।
পদটি হলো:
-
কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।
-
দিঢ় করিঅ মহাসুহ পরিমাণ লূই ভণই গুরু পূছিহ জাণ।।
লুইপা সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি প্রবীণ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের কবি ছিলেন।
-
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র অনুমান অনুযায়ী, লুইপা ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
-
চর্যাপদে তিনি দুটি পদ রচনা করেছেন, যা হলো ১ ও ২৯ নং পদ।
-
"চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল" পদটিও তার রচনা।

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন -
Created: 3 weeks ago
A
মুনিদত্ত
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
কীর্তিচন্দ্র
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
র্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কবিতা বা গানের সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। এটি বৌদ্ধ সহজিয়াগণের রচিত চর্যাগীতির সম্পূর্ণ সেট, যেগুলোতে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্ব এবং চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন এবং বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য বা কবিতাসংকলন।
চর্যাপদের ভাষা এবং বিষয়বস্তু যথেষ্ট দুর্বোধ্য, এবং এর কবিরা ছিলেন বৌদ্ধ সাধক বা সহজিয়া।
চর্যাপদের প্রথম আবিষ্কার করেন ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে।
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষায় অনুবাদের সন্ধান পান, যা কীর্তিচন্দ্র নামের এক ব্যক্তির।
চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মতবিরোধ থাকলেও মূলত ৬৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
সংক্ষেপে, চর্যাপদ বৌদ্ধধর্মের ভাবনা ও প্রার্থনার গানসমূহের এক সংগ্রহ, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত

0
Updated: 3 weeks ago