A
বৈষ্ণব কবিরা
B
বৌদ্ধ সহজিয়াগণ
C
হিন্দু সাধকরা
D
শৈব সাধকরা
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের তত্ত্ব
রচনা ও বিষয়বস্তু
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা ও দর্শন ফুটে উঠেছে।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য
-
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন নেপালের তরাই অঞ্চলের তৎকালীন কপিলাবস্তু-তে।
-
তিনি সাধনা করেছেন গয়া ও বারানসিতে, এবং মতবাদ প্রচার করেছেন বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে।
-
বুদ্ধের কোনো লিখিত রচনা নেই, তার শিক্ষা মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
-
তবে বুদ্ধের বাণী কেবল বৌদ্ধ শাস্ত্র নয়, তা ধর্ম, দর্শন ও সাধনার মূল।
পরবর্তীকালে অবদানকারী ভিক্ষু ও তত্ত্ববিদগণ
-
আনন্দ, শারিপুত্র, মৌয়ল্য-পুত্রতিষ্য, অসঙ্গ, বসুবন্ধু, নাগার্জুন, আর্যদেব, চন্দ্রকীর্তি, শান্তিদেব, কুমারাত, ধর্মপাল, শান্তরক্ষিত, সরোজবজ্র (সরহ), তিল্লো পা, কাহ্ন পা প্রমুখ।
-
এদের অবদানে বৌদ্ধ ধর্মের শাস্ত্র, সাহিত্য, দর্শন ও চর্যা-পদ্ধতি গড়ে উঠেছে।
ভাষা ও শাখা
-
চর্যাপদসহ বৌদ্ধ তত্ত্ব ও সাহিত্য পালি, সংস্কৃত, প্রাকৃত ও অপভ্রংশে লিখিত হয়েছিল।
-
বৌদ্ধ মতবাদ বিভিন্ন শাখা ও প্রশাখায় বিভক্ত।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে কার নাম চির স্মরণীয়?
Created: 1 week ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রাজা রামমোহন রায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের জনক বলতে কেউ নেই। প্রশ্নে ভুল আছে।
[প্রশ্নে ভুল থাকায় উত্তর গ্রহণ করা হয়নি।]
তবে বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম চির স্মরণীয়। ✅
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ ও আধুনিক কাব্যের জনক বলা হয়।
(রাজা রামমোহন রায় – সমাজ সংস্কারক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উপন্যাস সম্রাট)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদে কোন ধর্মের কথা বলা হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
ইসলাম ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
খ্রিষ্টান ধর্ম
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলি রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এতে মূলত বৌদ্ধধর্মের উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
-
আধুনিক ছন্দ বিশ্লেষণে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র মতে চর্যাপদ রচনা হয়েছে খ্রিষ্টাব্দ ৬৫০ সালে, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে খ্রিষ্টাব্দ ৯৫০–১২০০ সালের মধ্যে।
-
চর্যাপদের সংখ্যা সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে—ড. শহীদুল্লাহর মতে ৫০টি, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১টি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago
চর্যাপদে কোন কবির পদে পঁউয়া খালের(পদ্মা খাল) নাম আছে?
Created: 2 weeks ago
A
ভুসুকুপা
B
কাহ্নপা
C
লুইপা
D
ডোম্বীপা
ভুসুকুপা এবং চর্যাপদ
-
ভুসুকুপা:
-
চর্যাগীতি রচনায় দ্বিতীয় স্থানের কবি
-
প্রকৃত নাম: শান্তিদেব (কিছু কিংবদন্তিতে ভুসুকুপা নামটি ছন্দ নাম হিসেবে ধরা হয়)
-
চর্যাপদে তাঁর ৮টি পদ সংরক্ষিত
-
-
বিখ্যাত পদ ও বিষয়বস্তু:
-
৪৯ নং পদ: পদ্মা নদী (পঁঊআ খাল), 'বঙ্গাল' দেশ ও 'বঙ্গালী' উল্লেখ
-
পঙ্ক্তি: "বাজ ণাব পাড়ী পঁউআ খালে বাহিউ। অদঅ বঙ্গাল দেশ লুড়িউ।"
-
-
৬ নং পদ: "আপনা মাংসে হরিণা বৈরী" – রচয়িতা: ভুসুকুপা
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 weeks ago