A
চাঁদ সওদাগর
B
ভাঁড়দত্ত
C
ধনপতি
D
মানসিংহ
উত্তরের বিবরণ
মনসামঙ্গল কাব্য
সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু
-
সাপের দেবী মনসা-র স্তব, স্তুতি ও কাহিনি নিয়ে রচিত কাব্যকে মনসামঙ্গল বলা হয়।
-
একে পদ্মাপুরাণ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
রামায়ণ বা রাধাকৃষ্ণ-কাহিনি মূলত সংস্কৃত প্রভাবিত হলেও, মনসামঙ্গল উদ্ভূত হয়েছে বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার থেকে।
প্রধান আখ্যান
-
চাঁদ সওদাগরের প্রথমে মনসা দেবীর প্রতি বিরূপ মনোভাব এবং পরে তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রভাব স্বীকার করে বশ্যতা মেনে নেওয়াই মনসামঙ্গল কাব্যের মূল কাহিনি।
-
এই কাহিনি চৈতন্য-পূর্ব যুগ থেকেই নদী-নালা পরিবেষ্টিত গ্রাম বাংলার সর্পভীত মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
রূপ ও প্রচলন
-
মনসামঙ্গল মূলত পাঁচালি পালা।
-
এর কবির সংখ্যা শতাধিক, আর মুদ্রিত ও অমুদ্রিত পুথির সংখ্যাও বিপুল।
প্রধান কবি
-
আদি কবি: কানা হরিদত্ত
-
অন্যান্য কবি: বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকা দাস, ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
মনসামঙ্গলের প্রধান চরিত্র
-
মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা
তুলনামূলক তথ্য
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের চরিত্র: ভাঁড়দত্ত, ধনপতি
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের চরিত্র: মানসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 weeks ago
'আমীর হামজা' কাব্য রচনা করেন কে?
Created: 3 months ago
A
আলাওল
B
ফকির গরীবুল্লাহ
C
সৈয়দ হামজা
D
রেজাউদ্দৌলা
ফকির গরীবুল্লাহ
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সফল ও জনপ্রিয় কবি ছিলেন।
-
হুগলি জেলার বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
-
তার নামে মোট পাঁচটি কাব্যের সন্ধান মেলে।
সেই কাব্যগুলো হলো:
-
ইউসুফ জোলেখা
-
আমীর হামজা (প্রথম অংশ)
-
জঙ্গনামা
-
সোনাভান
-
সত্যপীরের পুঁথি
তবে এসব কাব্য মূলত বটতলার পুঁথি প্রকাশকদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ছাপা হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রাখালী
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
নক্শী কাঁথার মাঠ
D
বালুচর
রাখালী কাব্যগ্রন্থ ও কবি জসীমউদ্দীন
বাংলা সাহিত্যের পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত জসীমউদ্দীনের সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ দিয়ে।
১৯২৭ সালে প্রকাশিত এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে তাঁর সর্বাধিক পরিচিত কবিতা ‘কবর’ অন্যতম। কলেজে অধ্যয়নকালেই রচিত এই কবিতাটি তাঁকে সাহিত্যে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে। তাঁর পৈতৃক ঠিকানা একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে অবস্থিত। কর্মজীবনে তিনি প্রথমে গ্রামীণ জীবনের সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
বাংলার মাটি ও মানুষের প্রাণস্পর্শী চিত্র ফুটিয়ে তোলা এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— বালুচর, রূপবতী, রাখালী, নক্সী কাঁথার মাঠ, ধানখেত, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মাটির কান্না এবং মা যে জননী কান্দে।
তাঁর লেখনীতে গ্রামীণ বাংলার চিরন্তন রূপ, মানুষের আবেগ, সুখ-দুঃখ ও জীবনের বাস্তবতা নিপুণভাবে উঠে এসেছে, যা বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ ও হৃদয়গ্রাহী।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago