A
৫০
B
৫১
C
সাড়ে ৪৬
D
৪২
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের পদসংখ্যা
-
চর্যাপদের কিছু পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট সাড়ে ৪৬টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
এর মধ্যে ২৩ নম্বর পদের কেবল অর্ধেক পাওয়া গেছে।
-
২৪, ২৫ ও ৪৮ নম্বর পদ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
-
সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫১টি।
-
শহীদুল্লাহ মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি।
চর্যাপদের পুঁথি সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে মূলত একান্নটি গান ছিল।
-
এর মধ্যে ১১ নম্বর পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা করা হয়নি।
-
কিছু পাতা নষ্ট হওয়ায়—
-
তিনটি সম্পূর্ণ পদ (২৪, ২৫ ও ৪৮) হারিয়ে গেছে।
-
একটি পদ (২৩) কেবল আংশিকভাবে পাওয়া গেছে।
-
-
তাই মোট পাওয়া পদের সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ছেচল্লিশটি।
-
পুঁথিটির লিপিকাল সম্পর্কে দুইটি মত আছে—
-
বারো থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে।
-
কারও মতে, ১১৯৯ সালে লিপিকৃত পঞ্চাকার পুঁথির লিপির সঙ্গে মিল থাকায় বার শতক (১২শ শতক) হতে পারে।
-
-
চর্যার পুঁথি বাংলা অক্ষরে লেখা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?
Created: 1 month ago
A
বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
B
আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
C
নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
D
সুদূর চীন দেশ থেকে
চর্যাপদ
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত একটি পুথির মাধ্যমে চর্যাপদের আবিষ্কার করেন।
পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' এই পুথি আধুনিক বর্ণলিপিতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে।
এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নিজে। তিনি এটি "হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা" নামে চিহ্নিত করেন। চর্যাপদের পদসমূহ মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ। এতে বৌদ্ধ ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনার নানা দিক উঠে এসেছে।
চর্যাপদের রচয়িতাদের মধ্যে অনেকের নাম জানা যায়। ড. সুকুমার সেন রচিত ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকারের নাম উল্লেখ আছে। অন্যদিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চর্যাপদের প্রথম পদটি রচনা করেন লুইপা। সবচেয়ে বেশি পদ রচয়িতা হলেন কাহ্নাপা—তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক পদ রচনা করেন ভুসুকুপা, যিনি ৮টি পদ রচনা করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া.

0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা ?
Created: 4 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর ছন্দ
চর্যাপদ
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, কারণ এই ভাষা কখনো স্পষ্ট, আবার কখনো অস্পষ্ট।
-
তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলেও ডাকা হয়।
-
চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে লেখা হলেও, আজ আমরা ঠিকভাবে বলতে পারি না সেই ছন্দ কী ছিল। তবে আধুনিক ছন্দের দিক থেকে এগুলোকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা বলা যায়।
চর্যাপদ নিয়ে গবেষণা
-
ড. বিজয়চন্দ্র মজুমদার ১৯২০ সালে প্রথমবার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে বিশ্লেষণ করে বলেন যে চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
একই বছর তিনি ‘দি অরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব দি বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ’ বইতে বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ভাষার ধ্বনি, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন।
অনেক ভাষাবিজ্ঞানী তাঁর এই মতকে সমর্থন করেন। -
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. সুকুমার সেন, ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত- এঁরাও চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে বলেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় লেখা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে চর্যাপদের সহজযান বিষয়ক ভাব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সহজযান, সিদ্ধাচার্য ও চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় অনেক গবেষণা করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

1
Updated: 4 weeks ago
চর্যাপদে কোন ধর্মের কথা বলা হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
ইসলাম ধর্ম
B
বৌদ্ধ ধর্ম
C
হিন্দু ধর্ম
D
খ্রিষ্টান ধর্ম
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলি রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এতে মূলত বৌদ্ধধর্মের উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে।
-
আধুনিক ছন্দ বিশ্লেষণে চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-র মতে চর্যাপদ রচনা হয়েছে খ্রিষ্টাব্দ ৬৫০ সালে, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর মতে খ্রিষ্টাব্দ ৯৫০–১২০০ সালের মধ্যে।
-
চর্যাপদের সংখ্যা সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে—ড. শহীদুল্লাহর মতে ৫০টি, আর সুনীতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে ৫১টি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago