A
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
B
কুসুমকুমারী দাশ
C
কামিনী রায়
D
হাসান হাফিজুর রহমান
উত্তরের বিবরণ
• হাসান হাফিজুর রহমান:
- হাসান হাফিজুর রহমান১৯৩২ সালের ১৪ জুন জামালপুর শহরে তাঁর জন্ম।
- ১৯৫৩ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন গ্রন্থ 'একুশে ফেব্রুয়ারী'।
- হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ১৫ খন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: দলিলপত্র (১৯৮২-৮৩) প্রকাশিত হয়।
- হাসান হাফিজুর রহমান রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ: বিমুখ প্রান্তর
• হাসান হাফিজুর রহমান রচিত কাব্য:
- বিমুখ প্রান্তর,
- প্রতিবিম্ব,
- আর্ত শব্দাবলী,
- অন্তিম শহরের মতো,
- যখন উদ্যত সঙ্গীন,
- শোকার্ত তরবারি ইত্যাদি।
- হাসান হাফিজুর রহমান রচিত গল্প:
- আরো দুটি মৃত্যু।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
দোলন চাঁপা
D
বাঁধনহারা
বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী চেতনার এক উজ্জ্বল প্রকাশ হলো কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-র অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় কবিতা, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, ২২ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দে, সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এই একটি মাত্র কবিতার মাধ্যমেই নজরুল বাংলা সাহিত্যে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দ্রোহ, বিপ্লব, সাহস ও চেতনার উন্মেষ। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং একটি শক্তিশালী মানসিকতার প্রতীক, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস জোগায়। নজরুল এর আগে ও পরে বহু দ্রোহাত্মক কবিতা রচনা করলেও, 'বিদ্রোহী' যেন তার আত্মার কণ্ঠস্বর।
এই মহাকাব্যিক কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে। বইটি তিনি উৎসর্গ করেন মহান বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতেই পাওয়া যায় স্বাধীনতা, সাম্য ও বীরত্বের জাগরণ।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
১. প্রলয়োল্লাস (প্রথম কবিতা)
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বরধারিণী মা
৪. আগমনী
৫. ধূমকেতু
৬. কামালপাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মোহররম
এই কবিতাগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম শুধু কবি নন, বরং একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি সাম্রাজ্যবাদ, কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্ররূপে ব্যবহার করেছেন।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
'বিদ্রোহী' কবিতা - বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলি?
Created: 2 weeks ago
A
আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে
B
ভবিষ্যতের বাঙালি
C
উন্নত জীবন
D
সভ্যতা
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ গ্রন্থ ও এস ওয়াজেদ আলি: এক দৃষ্টিপাত
‘ভবিষ্যতের বাঙালি’ শিরোনামের প্রবন্ধগ্রন্থটি রচনা করেছেন বিশিষ্ট বাঙালি চিন্তাবিদ, লেখক ও প্রাবন্ধিক এস ওয়াজেদ আলি। এই গ্রন্থে তিনি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ে তুলে একটি সাম্প্রদায়িকতা-বর্জিত, ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের স্বপ্ন তুলে ধরেছেন।
এস ওয়াজেদ আলি: সংক্ষিপ্ত পরিচয়
এস ওয়াজেদ আলির সাহিত্যিক পরিচয় বহুস্তরীয়—তিনি প্রবন্ধকার, গল্পকার এবং ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা হিসেবে সমানভাবে খ্যাত। তাঁর জন্ম ১৮৯০ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে। সাহিত্যজগতে তার প্রবেশ ঘটে ‘অতীতের বোঝা’ নামক প্রবন্ধের মাধ্যমে, যা ১৯১৯ সালে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়।
১৯৩২ সালে তিনি ‘গুলিস্তাঁ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যচর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছেন, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
জীবনের শিল্প
-
প্রাচ্য ও প্রতীচ্য
-
ভবিষ্যতের বাঙালী
-
আকবরের রাষ্ট্র সাধনা
-
মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ
উপন্যাস ও ভ্রমণবিষয়ক রচনা
তাঁর একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক উপন্যাস গ্রানাডার শেষ বীর, পাঠকদের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
ভ্রমণ সাহিত্যে তাঁর অবদানও প্রশংসনীয়। এর মধ্যে পশ্চিম ভারত এবং মোটরযোগে রাঁচী সফর উল্লেখযোগ্য।
তথ্যসূত্র:
ড. সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 weeks ago
'শাহনামা' মৌলিক গ্রন্থটি কার?
Created: 1 week ago
A
মালিক জয়সী
B
ফেরদৌসী
C
সৈয়দ হামজা
D
কাজী দৌলত উজির বাহরাম খাঁ
শাহনামা
- শাহনামা পারস্যের (বর্তমান ইরান) কবি ফেরদৌসী দ্বারা লিখিত একটি দীর্ঘ মহাকাব্য।
- এটি একই সাথে ইরানের ও সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষাভাষী লোকদের জন্য জাতীয় মহাকাব্য।
- ফেরদৌসী ৯৭৭ থেকে ১০১০ সালের মধ্যে ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে এই মহাকাব্য রচনা করেন।
- শাহনামায় প্রায় ষাট হাজার শ্লোক রয়েছে।
- ইরানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে আনা হয়েছে এই মহাকাব্যে।
- এটিকে বলা হয় ইরানের জাতীয় মহাকাব্য।
- ভারতীয় উপমহাদেশে এটির একটি সংকলন প্রকাশিত হয় ১৮২৯ সালে।
- প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর এই মহাকাব্য থেকে কিছু পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করেছিলেন।
- বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁও শাহনামা পড়ে উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন।
উৎস: কালের কন্ঠ, ৩১ জুলাই, ২০১৫, ‘শাহনামা' গ্রন্থ- কবি ফেরদৌসী।

0
Updated: 1 week ago