প্রথম বাংলা সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক রচনা করেন কে?
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
উত্তরের বিবরণ
• বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক কৃষ্ণকুমারী।
• কৃষ্ণকুমারী:
- 'কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১) নাটকের কাহিনি উইলিয়াম টডের 'রাজস্থান' নামক গ্রন্থথেকে সংগৃহীত।
- এই নাটকে মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি রচনা করেন। এজন্য নাটকটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- এই নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীম- সিংহ, জগৎসিংহ, ধনদাস প্রমুখ।
- ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হলেও নাটকটি রচিত হয়েছিল ১৮৬০ সালে।
• তাঁর রচিত নাটক:
- শর্মিষ্ঠা,
- পদ্মাবতী,
- কৃষ্ণকুমারী,
- মায়াকানন,
• মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
- তিনি ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি বাংলা ভাষায় সনেটের প্রবর্তক।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
- তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেন তাঁর 'পদ্মাবতী' নাটকে। (দ্বিতীয় অঙ্ক দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে)
- অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য। অর্থ্যাৎ, এই কাব্যটি সম্পূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত
• তাঁর রচিত প্রহসন:
- একেই কি বলে সভ্যত
- বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
• তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য,
- মেঘনাদবধ কাব্য,
- ব্রজাঙ্গনা কাব্য,
- বীরাঙ্গনা কাব্য,
- চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য ও জিজ্ঞাসা- ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নটির পূজা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
নবীন তপস্বিনী
D
কৃষ্ণকুমারী
‘বেহুলা গীতাভিনয়’ নাটকটি মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম।
অপরদিকে,
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটকটি বৌদ্ধধর্মীয় গ্রন্থ থেকে অনুপ্রাণিত।
-
‘নবীন তপস্বিনী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন দীনবন্ধু মিত্র।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল ট্রাজেডি নাটক ‘কৃষ্ণকুমারী’ রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মীর মশাররফ হোসেনের জীবন ও সাহিত্য
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হয়।
তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন কাঙাল হরিনাথ, যিনি ‘গ্রামবার্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। মশাররফের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘রত্নাবতী’। ছাত্রজীবনে তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ ও ‘কুমারখালির গ্রামবার্তা’ পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি ‘আজিজননেহার’ এবং ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকার সম্পাদনাও করেন। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলিম সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক এবং বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন প্রধান গদ্যকার।
মীর মশাররফ হোসেনের প্রধান সাহিত্যকর্মসমূহ
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন:
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নাটক-
Created: 3 weeks ago
A
সুবচন নির্বাসনে
B
রক্তাক্ত প্রান্তর
C
নূরলদীনের সারা জীবন
D
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক।
-
এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্যনাট্য।
-
নাটকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
মূল বক্তব্য হলো—বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি, অর্থাৎ স্বাধীনতার বার্তা।
নূরলদীনের সারাজীবন
-
লেখক: সৈয়দ শামসুল হক।
-
প্রকাশকাল: ১৯৮২ সাল।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে রংপুরের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নূরলদীন-এর জীবনসংগ্রামকে কেন্দ্র করে।
-
এতে তাঁর সামন্তবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চিত্রিত হয়েছে।
-
নূরলদীনের অমর আহ্বান— “জাগো বাহে, কোনঠে সবাই”।
-
কাব্যনাটকটি মোট ১৪টি দৃশ্য নিয়ে গঠিত।
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
লেখক: মুনীর চৌধুরী।
-
কাহিনি নেয়া হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের “মহাশ্মশান” গ্রন্থ থেকে।
-
এটি তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকের পটভূমি: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)।
-
এটি সরাসরি ঐতিহাসিক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।” — বলেন নবাব সুজাউদ্দৌলা।
-
নাটকের চরিত্র: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
সুবচন নির্বাসনে
-
লেখক: আবদুল্লাহ আল মামুন।
-
কাহিনি দেশের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
এটি তাঁর বিখ্যাত নাটকগুলোর একটি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।, সুবচন নির্বাসনে নাটক।, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 3 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
• নীল-দর্পণ:
- 'নীল-দর্পণ' (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্র রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও।
- এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়।
- তৎকালীন নীলচাষ ও নীলকর সাহেবদের প্রজাপীড়ন এবং শাসকশ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ নাটকটির বিষয়বস্তু।
- নাটকটি তৎকালীন সমাজে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে ইন্ধন জোগায়।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত' A Native' ছদ্মনামে নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ও নাম দেন 'Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror' (1861) এবং পাদ্রি জেমস লং তা প্রকাশ করে আদালত কর্তৃক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নীল-দর্পণকে 'Uncle Tom`s Cabin-এর সঙ্গে তুলনা করেন।
- ১৮৬০ সালে 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটি দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
• তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক:
- নবীন তপস্বিনী,
- লীলাবতী,
- কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago