A
অন্ত্যস্বর লোপ
B
মধ্যস্বর লোপ
C
অভিশ্রুতি
D
আদি স্বরলোপ
উত্তরের বিবরণ
স্বরলোপের প্রকারভেদ
১. আদি স্বরলোপ
শব্দের প্রথম স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে আদি স্বরলোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অলাবু → লাবু → লাউ
-
উদ্ধার → উধার → ধার
২. মধ্যস্বর লোপ
শব্দের মধ্যবর্তী স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে মধ্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
অগুরু → অগ্র
-
সুবর্ণ → স্বর্ণ
৩. অন্ত্যস্বর লোপ
শব্দের শেষ স্বরধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্ত্যস্বর লোপ বলে।
উদাহরণ:
-
আশা → আশ
-
আজি → আজ
-
চারি → চার
-
সন্ধ্যা → সঞঝা → সাঁঝ

0
Updated: 2 weeks ago
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্যে মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত করা হয় তখন তাকে বলে-
Created: 4 weeks ago
A
অসমীকরণ
B
অপিনিহিতি
C
অভিশ্রুতি
D
সমীভবন
অসমীকরণ:
একই ধ্বনির পুনরাবৃত্তি ভাঙতে মাঝে স্বরধ্বনি যোগ।
যেমন: ধপাধপ, টপাটপ।
অপিনিহিতি:
পরের ই/উ-কার আগে উচ্চারিত হলে বা যুক্ত ব্যঞ্জনের আগে উচ্চারণ বদলে যায়।
যেমন:
-
আজি → আইজ
-
রাখিয়া → রাইখ্যা
-
বাক্য → বাইক্য
অভিশ্রুতি:
পরে আসা স্বর পূর্ববর্তী স্বরের সাথে মিলিয়ে রূপ বদলায়।
যেমন:
-
শুনিয়া → শুনে
-
বলিয়া → বলে
সমীভবন:
দুই ধ্বনির প্রভাবে একে অপরের সঙ্গে আংশিক মিল তৈরি হয়।
যেমন:
-
তৎহিত → তদ্ধিত
-
জন্ম → জন্ম (উচ্চারণ সহজ হয়)

0
Updated: 4 weeks ago
ম-এর উচ্চারণ [অঁ]-এর মতো হয়েছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 4 weeks ago
A
গুল্ম
B
জন্ম
C
যুগ্ম
D
স্মরণ
ম বর্ণের সাধারণ উচ্চারণ [ম]। শব্দের প্রথম বর্ণে ম-ফলা থাকলে সেই বর্ণ উচ্চারণের সময়ে ম-এর উচ্চারণ [অঁ]-এর মতো হয়।
যেমন: শ্মশান [শঁশান্], স্মরণ [শঁরোন্]।
• শব্দের মধ্যে ম-ফলা থাকলে সেই বর্ণ উচ্চারণে দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য অনুনাসিক হয়।
যেমন: আত্মীয় [আত্তিঁয়ো], পদ্ম [পদ্দোঁ]।
• কিছু ক্ষেত্রে ম-ফলায় ম্-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
যেমন: যুগ্ম [জুগ্মো], জন্ম [জন্মো], গুল্ম [গুল্মো]।

0
Updated: 4 weeks ago
’রাখিয়া > রাইখ্যা’- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
অপিনিহিতি
B
অন্ত্যস্বরাগম
C
অসমীকরণ
D
স্বরসঙ্গতি
অপিনিহিতি
পরের ই-কারের আগে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার/উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর।
অন্ত্যস্বরাগম
কিছু ক্ষেত্রে শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। একে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি।
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ।
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 week ago