বাংলাদেশ কোন সাল থেকে শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করছে?
A
১৯৮৮
B
১৯৮৫
C
১৯৭৫
D
১৯৭৯
উত্তরের বিবরণ
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা
জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত শান্তিরক্ষা বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষার কাজ করছে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হলেও, জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো বাহিনী নেই। তাই বিভিন্ন দেশের সেনা সদস্যদের নিয়ে শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন করা হয়। বাংলাদেশও এই শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
বিশেষ তথ্য:
-
১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য হিসেবে যোগ দেয়।
-
বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ শুরু করে।
-
প্রথমবার ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ দুইটি মিশনে সৈন্য পাঠায়, একটি ইরাক-ইরান সীমান্ত (UNIIMOG) এবং অন্যটি নামিবিয়া (UNTAG)।
-
UNIIMOG মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠিয়ে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়।
গত চার দশক ধরে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় বড় অবদান রেখে আসছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪০টি দেশে ৬৩টি মিশনে অংশ নিয়েছে এবং বর্তমানে ১১টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছে।
উৎস: United Nations in Bangladesh ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
(এটি তৎকালীন 'সাম্প্রতিক প্রশ্ন'। তখনকার সময়ের সঠিক উত্তর এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।) বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯১ সালের কত তারিখে অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 4 months ago
A
১৬ ফেব্রুয়ারি
B
২৭ ফেব্রুয়ারি
C
২ মার্চ
D
৪ মার্চ
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন
বাংলাদেশ নির্বাচনী ব্যবস্থায় নতুন একটি অধ্যায় শুরু করে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সম্পন্ন হয়,
যা গঠিত হয়েছিল তখনকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল এরশাদের অবসানের পর গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের জাতীয় পার্টি (জাপা) ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে, বিএনপি ১৪০টি আসনে এবং আওয়ামী লীগ ৮৮টি আসনে বিজয়ী হয়।
এছাড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরোক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ৩০ জন নারী সাংসদ নির্বাচিত হন।
যদিও তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের অংশ ছিল না, তবে পরবর্তী সংসদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি বিল পাস করা হয়।
উৎস:
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা।

0
Updated: 4 months ago
বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেন কোন সালে?
Created: 2 months ago
A
১২১২
B
১২০০
C
১২০৪
D
১২১১
বাংলায় মুসলিম শাসনের শুরু
১৩তম শতকে, ১২০৪ সালে, তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী নদীয়া (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ) দখল করে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। তিনি তখন বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেনকে প্রায় বিনা বাধায় পরাজিত করেন।
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজী
-
তিনি ছিলেন একজন তুর্কি সেনাপতি এবং খিলজী সম্প্রদায়ের মানুষ।
-
আফগানিস্তানের গরমশির নামক স্থানে তার জন্ম।
-
তিনি দিল্লি সুলতানাতের পক্ষে বাংলায় অভিযান পরিচালনা করেন।
-
১২০৫ সালে (৬০১ হিজরি) তিনি গৌড় জয় করেন এবং সেখানে রাজধানী স্থাপন করে নাম দেন লখনৌতি।
-
গৌড় আগে লক্ষণাবতী নামে পরিচিত ছিল।
-
নদীয়া জয়ের পর তিনি সেখানে বেশি দিন না থেকে গৌড়ে চলে যান।
-
১২০৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন কবে প্রণীত হয়?
Created: 4 months ago
A
১৯৫০ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৪৭ সালে
D
১৯৫৪ সালে
পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ ছিল একটি যুগান্তকারী আইন, যার মাধ্যমে পূর্ববাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে জমিদারি প্রথার বিলোপ ঘটে।
-
এই আইনের আওতায় সরকার দেশের একমাত্র জমিদারে পরিণত হয় এবং পর্যায়ক্রমে জমির উপর সকল খাজনা আদায়ের স্বার্থ সরকার অধিগ্রহণ করে।
-
১৯৫১ সালের ১৬ মে এই আইনটি পাস হয়, যার মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার অবসান ঘটে।
-
এই আইনে মোট ১৫২টি ধারা রয়েছে, যা পাঁচটি অংশ এবং উনিশটি অধ্যায়-এ বিভক্ত।
এই আইন কার্যকর হওয়ার ফলে সাধারণ কৃষকদের ভূমির উপর অধিকার নিশ্চিত হয় এবং দীর্ঘদিনের জমিদারি শোষণের অবসান ঘটে।
উৎস:
-
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি পাঠ্যবই
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 months ago