A
সঞ্চয়
B
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
C
শ্রীকর নন্দী
D
কাশীরাম দাস
উত্তরের বিবরণ
‘পরাগলী মহাভারত’
-
এই নামেই পরিচিত মহাভারত অনুবাদগ্রন্থের অনুবাদক ছিলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
-
বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদ করা প্রথম কবি তিনি।
-
নবাব হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৮) চট্টগ্রামের প্রশাসনের দায়িত্বে পরাগল খাঁ নামক এক সেনাপতিকে নিযুক্ত করেছিলেন।
-
যুদ্ধপ্রবণ পরাগল খাঁ মহাভারতের যুদ্ধবিষয়ক কাহিনি শুনে মুগ্ধ হন এবং কবীন্দ্র পরমেশ্বরকে সেটি অনুবাদ করতে বলেন।
-
এই কারণেই অনূদিত গ্রন্থটি ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত হয়।
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাঁর অনুবাদকৃত মহাভারতের নাম দেন ‘ভারত পাঁচালী’।
• ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’
-
পরাগল খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র ছুটি খাঁ চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করেন।
-
তিনি সভাকবি শ্রীকর নন্দীকে মহাভারত অনুবাদের নির্দেশ দেন।
-
শ্রীকর নন্দী জৈমিনি মহাভারতের ‘অশ্বমেধ পর্ব’ অবলম্বনে কাব্যিক রূপে ‘ভারত পাঁচালী’ রচনা করেন।
-
এই অনুবাদগ্রন্থটি ‘ছুটি খাঁনী মহাভারত’ নামে পরিচিত।
-
অনেকে মনে করেন, শ্রীকর নন্দী কবীন্দ্র পরমেশ্বরের অসম্পূর্ণ মহাভারতের কাজ সম্পূর্ণ করেন।
অতিরিক্ত তথ্য
-
মহাভারত মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত, যার মূল রচয়িতা হলেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব।
-
বাংলা ভাষায় মহাভারতের সর্বাধিক সমাদৃত অনুবাদটি করেন কাশীরাম দাস।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 weeks ago
"চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।" - নিম্নরেখ অংশটুকু কোন কারক?
Created: 2 days ago
A
কর্মকারক
B
করণ কারণ
C
সম্বন্ধ কারক
D
অপাদান কারক
করণ কারক
-
সংজ্ঞা: যে উপায়ে বা যার দ্বারা কর্তা কোনো ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে।
-
চিহ্নিত করা হয় সাধারণত “দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক” ইত্যাদি অনুসর্গ দ্বারা।
উদাহরণ:
-
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
-
চাষিরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 days ago
‘নির্মোক’ কোন শব্দগুচ্ছের সংকুচিত রূপ?
Created: 1 month ago
A
পশুর খোলস
B
নির্মোহ লোক
C
নিমোক রাখার পাত্র
D
সাপের খোলস
“নির্মোক” শব্দের অর্থ হলো এমন একটি খোলস বা আবরণ যা সরীসৃপ (বিশেষ করে সাপ) শরীর থেকে ঝরে পড়ে। এটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত শব্দ।

0
Updated: 1 month ago
কোন বর্ণের নিজস্ব কোন ধ্বনি নেই?
Created: 2 days ago
A
ন
B
ম
C
ঞ
D
শ
ঞ (ঞ-কার) বর্ণের ধ্বনিগত ব্যবহার
-
নিজস্ব কোনো স্বতন্ত্র ধ্বনি নেই।
-
স্বতন্ত্র অবস্থায়:
ঞ বর্ণটি সাধারণত [অঁ] ধ্বনির মতো উচ্চারিত হয়। -
সংযুক্ত ব্যঞ্জনে:
ঞ বর্ণটি [ন্] ধ্বনির মতো উচ্চারিত হয়।
উদাহরণসমূহ
-
মিঞা → [মিয়াঁ]
-
চঞ্চল → [চন্চল্]
-
গঞ্জ → [গন্জো]
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 2 days ago