সন্ধি-সাধিত শব্দ 'পরস্পর' কোন ধরনের সন্ধির দৃষ্টান্ত?
A
ব্যঞ্জন ধ্বনি
B
স্বরধ্বনি
C
নিপাতনে সিদ্ধ
D
বিসর্গ সন্ধি
উত্তরের বিবরণ
পর + পর = পরস্পর — এটি একটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি দ্বারা গঠিত শব্দ।
• নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলতে সেই সন্ধিকে বোঝায়, যা সাধারণ বা নিয়মিত সন্ধি বিধি অনুসরণ না করে গঠিত হয়। এই ধরনের সন্ধিতে ব্যতিক্রমী রূপে শব্দ গঠন ঘটে।
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
-
গো + ইন্দ্র = গবেন্দ্র
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ
-
প্র + এষণ = প্রেষণ
-
কুল + অটা = কুলটা
-
পর + পর = পরস্পর
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।

0
Updated: 2 months ago
‘সতীশ’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
সতি + ইশ
B
সতি + ঈশ
C
সতী + ইশ
D
সতী + ঈশ
১. সতীশ শব্দটি দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত:
-
সতী → স্ত্রী বা ধার্মিক নারীকে বোঝায়
-
ঈশ → ঈশ্বর বা প্রভু অর্থে ব্যবহৃত
২. যখন সতী + ঈশ মিলিত হয়, তখন এটি সতীশ আকারে যুক্ত হয়।
-
এখানে সতী (শেষে ‘ই’) + ঈশ (শুরুতে ‘ঈ’) মিলিত হয়ে ঈশ এর উচ্চারণ ধরে রাখা হয়েছে।
-
এটি বর্ণসন্ধি (অক্ষর সংযোগ) নিয়ম অনুসারে হয়েছে।
৩. অন্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়, কারণ:
-
ক) সতি + ইশ → ‘সতি’ শেষ অক্ষর ‘ই’ + ‘ইশ’ → শব্দটি এমনভাবে গঠিত হয় না।
-
খ) সতি + ঈশ → একই কারণে ভুল।
-
গ) সতী + ইশ → এখানে ‘ঈশ’ এর পরিবর্তে ‘ইশ’ দেওয়া হয়েছে, যা শুদ্ধ নয়।
সুতরাং, সঠিক বিচ্ছেদ: সতী + ঈশ।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি সন্ধি বিষয়ক অশুদ্ধি?
Created: 1 week ago
A
বাগেশ্বরী
B
বিপদুদ্ধার
C
অদ্যাবধি
D
পৃথগন্ন
সন্ধি বিষয়ক অশুদ্ধ শব্দ হলো বাগেশ্বরী, যার শুদ্ধ রূপ বাগীশ্বরী। এর সন্ধিবিচ্ছেদ হলো বাক্ + ঈশ্বরী, অর্থাৎ বাক্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বা বাগদেবী।
অন্যদিকে নিচের শব্দগুলোর প্রয়োগ শুদ্ধ—
-
পৃথগন্ন
-
অদ্যাবধি
-
বিপদুদ্ধার

0
Updated: 1 week ago
"অন্তরঙ্গ" শব্দটি কোন সন্ধির নিয়মে গঠিত?
Created: 1 week ago
A
স্বরসন্ধি
B
ব্যঞ্জনসন্ধি
C
বিসর্গসন্ধি
D
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
“অন্তরঙ্গ” শব্দটি গঠিত হয়েছে বিসর্গসন্ধির নিয়মে। এখানে মূল শব্দের শেষে থাকা বিসর্গ (ঃ) পরবর্তী শব্দের স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে ‘র’ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।
সন্ধির নিয়ম:
-
যখন অন্তঃ, পুনঃ, প্রাতঃ ইত্যাদি শব্দের পর কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ) দ্বারা শুরু হওয়া শব্দ আসে, তখন বিসর্গটি ‘র’ ধ্বনিতে পরিণত হয়ে পরবর্তী স্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
ফলে বিসর্গ ও পরবর্তী স্বরধ্বনির মধ্যে মিলনে নতুন শব্দের সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ:
-
অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ
-
পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার
-
প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ
-
অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা
-
অন্তঃ + ইত = অন্তরিত
-
অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়
এই নিয়মে গঠিত শব্দগুলিতে বিসর্গ ধ্বনি ‘র’-এ পরিণত হয়ে উচ্চারণে সহজতা ও শব্দের সঙ্গতি বজায় রাখে।

0
Updated: 1 week ago