সমাসবদ্ধ শব্দ 'আনত' কোন সমাসের উদাহরণ?
A
বহুব্রীহি
B
কর্মধারয়
C
সুপসুপা
D
অব্যয়ীভাব
উত্তরের বিবরণ
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন কোনো অব্যয় পদ একটি শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে সমাস তৈরি করে এবং সেই অব্যয়টির অর্থই মূল বক্তব্য প্রকাশ করে, তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলা হয়। এ ধরণের সমাসে অব্যয়ের সাহায্যে ব্যাসবাক্য গঠিত হয়, তবে ব্যাসবাক্যে অব্যয়টির নাম বা প্রকৃতি আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় না।
অন্যদিকে, উপসর্গও এক ধরনের অব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই উপসর্গযুক্ত শব্দগুলোও অব্যয়ীভাব সমাসের অন্তর্গত।
অব্যয়ীভাব সমাসের কিছু উদাহরণ
-
শ্রীর অভাব → বিশ্রী
-
মরণের শেষ পর্যন্ত → আমরণ
-
দানের প্রতিক্রিয়া → প্রতিদান
-
জেলার মতো → উপজেলা
-
বিঘ্নের অনুপস্থিতি → নির্বিঘ্ন
-
সামান্য নত → আনত
-
ভিন্ন মত → মতান্তর
-
আমিষের অনুপস্থিতি → নিরামিষ
-
একটি নির্দিষ্ট লোক → লোকটি
সূত্র: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 months ago
কোন সমাসে সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না?
Created: 1 month ago
A
উপমিত কর্মধারয়
B
রূপক কর্মধারয়
C
উপমান কর্মধারয়
D
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
উপমিত কর্মধারয় সমাস: সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এক্ষেত্রে সাধারণ গুণটিকে অনুমান করে নেওয়া হয়। এ সমাসে উপমেয় পদটি আগে বসে। যেমন: মুখ চন্দ্রের ন্যায় - চন্দ্রমুখ।

0
Updated: 1 month ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 3 weeks ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'আলোছায়া' পদটি কোন সমাসের অন্তর্গত?
Created: 2 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
অব্যয়ীভাব সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বন্দ্ব শব্দের সাধারণ অর্থ হলো সংঘাত বা বিবাদ। কিন্তু সমাসশাস্ত্রে দ্বন্দ্বের অর্থ “মিলন, জোড়া বা যুগল” বোঝায়। অর্থাৎ যে সমাসে সংযুক্ত প্রত্যেক পদের গুরুত্ব সমান থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
জায়া + পতি = দম্পতি
-
ক্ষুধা + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা
-
আলো + ছায়া = আলোছায়া
লক্ষ্য করুন, এই সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্পর্ক বোঝাতে সাধারণত ‘ও’, ‘এবং’, ‘আর’-এর মতো সংযোজক ব্যবহার করা হয়।
দ্বন্দ্ব সমাসের প্রধান প্রকার:
-
মিলনার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিরোধার্থক দ্বন্দ্ব
-
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
-
অঙ্গবাচক দ্বন্দ্ব
-
বহুপদবিশিষ্ট দ্বন্দ্ব
-
সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব
-
সমার্থক দ্বন্দ্ব
-
একশেষ দ্বন্দ্ব
-
অলুক দ্বন্দ্ব
-
নিপাতনে সিদ্ধ দ্বন্দ্ব
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 2 months ago