বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয় কোন জেলাকে?
A
রংপুর
B
দিনাজপুর
C
কুমিল্লা
D
চট্টগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
দিনাজপুরকে প্রায়শই বাংলাদেশের রুটির ঝুড়ি বলা হয়। এটি মূলত তার উর্বর কৃষিজমি এবং গম চাষের জন্য বিখ্যাত। অঞ্চলটির জলবায়ু ও মাটি গম উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, যা সারাদেশে রুটির সরবরাহকে প্রভাবিত করে।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: দিনাজপুর দেশের প্রধান গম উৎপাদনকারী জেলা।
-
জলবায়ু ও মাটি: উর্বর মাটি এবং উপযুক্ত জলবায়ু গমের জন্য আদর্শ।
-
কৃষি পণ্য: বিশেষত গম, ধান, আখ, এবং সবজি।
-
জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা: জেলার উত্পাদিত গম সারাদেশে রুটি ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ঐতিহাসিক পরিচিতি: শতাব্দীর পুরনো সময় থেকে দিনাজপুরকে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
0
Updated: 6 hours ago
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
সিলেট
B
রংপুর
C
দিনাজপুর
D
রাজশাহী
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সম্পদভিত্তিক খনি। এটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। খনিটি দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত, যা উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। নিচে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে মূল তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো।
-
অবস্থান: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং রংপুর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে।
-
আবিষ্কারকাল: ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (Geological Survey of Bangladesh - GSB) মাধ্যমে এই কয়লা খনিটি আবিষ্কৃত হয়।
-
খনির আয়তন ও গভীরতা: বড়পুকুরিয়া খনি প্রায় ৬.৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। কয়লা স্তর পাওয়া যায় ভূমি থেকে প্রায় ১১৮ থেকে ৫০৯ মিটার গভীরে।
-
কয়লার ধরন: এখানে পাওয়া কয়লা বিটুমিনাস (Bituminous) ধরনের, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে খুব কার্যকর। এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা (Calorific Value) প্রতি কিলোগ্রামে প্রায় ৬,০০০–৬,৫০০ কিলোক্যালরি।
-
উৎপাদন শুরু: ২০০৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় এবং এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (BCMCL), যা পেট্রোবাংলার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
-
উৎপাদন ক্ষমতা: এই খনি থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১০ লাখ টনের বেশি কয়লা উত্তোলন করা হয়।
-
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভূমিকা: উত্তোলিত কয়লার একটি বড় অংশ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয়, যার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৫২৫ মেগাওয়াট।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: এই খনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় অর্থনীতিও এই খনিকে কেন্দ্র করে সমৃদ্ধ হয়েছে।
-
পরিবেশগত দিক: খনি কার্যক্রমের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাওয়া ও জমির ধসের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার ও কোম্পানি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
-
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: বিশেষজ্ঞদের মতে, বড়পুকুরিয়া খনিতে প্রায় ৩৯ কোটি টনের বেশি কয়লা মজুদ আছে, যা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সুতরাং, স্পষ্টভাবে বলা যায় যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত, এবং এটি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এক অনন্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago