মহর্ষি কোন সমাস?
A
দ্বন্দ্ব
B
কর্মধারয়
C
তৎপুরুষ
D
দ্বিগু
উত্তরের বিবরণ
‘মহর্ষি’ শব্দটি দুইটি অংশে গঠিত হওয়ায় এটি কোন সমাসে পড়েছে তা নির্ধারণ করতে প্রথমে শব্দের গঠনটি বোঝা জরুরি। উত্তরের ভিত্তিতে এটি কর্মধারয় সমাস, অর্থাৎ পূর্বপদ ও পরপদ মিলেই একই ব্যক্তির একটি বিশেষ গুণ বা পরিচয় প্রকাশ করে।
– ‘মহা’ শব্দের অর্থ মহান বা অতিশয়।
– ‘ঋষি’ শব্দের অর্থ জ্ঞানী ব্যক্তি বা তপস্বী।
– দুটি শব্দ মিলে ‘মহর্ষি’ অর্থ দাঁড়ায় মহান ঋষি; এখানে পূর্বপদ ‘মহা’ পরপদ ‘ঋষি’–কে বিশেষিত করছে, যা কর্মধারয় সমাসের বৈশিষ্ট্য।
– কর্মধারয় সমাসে সাধারণত বিশেষণ + বিশেষ্য মিলিয়ে একটি নতুন শব্দ গঠিত হয়, এবং যৌগিক অর্থ হয় একই সত্তার বিশেষ গুণ নির্দেশক। ‘মহর্ষি’ ঠিক সেই নিয়মেই গঠিত।
– যদি এটি তৎপুরুষ বা বহুব্রীহি হতো, তবে অর্থ হতো ভিন্ন; যেমন তৎপুরুষে পূর্বপদ পরপদের কারক নির্দেশ করে, বা বহুব্রীহিতে বাহ্যার্থ নিহিত থাকে। কিন্তু ‘মহর্ষি’তে এমন কোনো পরিবর্তন নেই—এটি সরাসরি একজন ঋষির মহত্ত্ব প্রকাশ করছে।
– সংস্কৃত ও প্রাচীন বাংলা গ্রন্থে ‘মহর্ষি’ শব্দটি বিশেষ গুণবাচক অর্থে ব্যবহৃত হওয়ায় এর সমাসধর্ম আরও স্পষ্ট হয়।
– সমাস বিচ্ছেদ করলে দাঁড়ায়: মহা + ঋষি = মহর্ষি। বিচ্ছেদ অনুযায়ী অর্থের ঐক্য অপরিবর্তিত থাকে—যা কর্মধারয়ের বৈশিষ্ট্য।
0
Updated: 7 hours ago
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
সাম্যবাদ
B
স্থিরপ্রতিজ্ঞ
C
সস্ত্রীক
D
সবিনয়
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
যে সমাসে কর্মধারয় পদ থেকে মধ্যপদটি লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
পল (মাংস) + অন্ন → পলান্ন
-
সিংহ + আসন → সিংহাসন
-
প্রীতি + উপহার → প্রীতিউপহার
-
মৌ + মাছি → মৌমাছি
-
সাহিত্য + সভা → সাহিত্যসভা
-
ঘর + জামাই → ঘরজামাই
-
স্মৃতি + সৌধ → স্মৃতিসৌধ
বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ সরাসরি বোঝা না গিয়ে অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আয়ত লোচন যার → আয়তলোচনা (স্ত্রী)
-
মহান আত্মা যার → মহাত্মা
-
স্বচ্ছ সলিল যার → নীলবসনা
-
স্থির প্রতিজ্ঞা যার → স্থিরপ্রতিজ্ঞ
-
ধীর বুদ্ধি যার → ধীরবুদ্ধি
-
সহার্থক বহুব্রীহি সমাস
যে সমাসে সহার্থক পদ (অর্থ-সহ অর্থজ্ঞাপক) সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে।
-
উদাহরণ:
-
স্ত্রীর সঙ্গে বর্তমান → সস্ত্রীক
-
বিনয়ের সঙ্গে বর্তমান → সবিনয়
-
অন্যান্য: সফল, সবান্ধব, সকরুণ, সহিত, সবল, সহদয়, সক্রিয়, সবিরাম, সগোত্র, সচকিত
-
উৎস:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago
'সিংহাসন' - কোন সমাস?
Created: 2 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
নিত্য সমাস
D
তৎপুরুষ সমাস
• মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:
- ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে কর্মধারয় সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন:
- সিংহাসন = সিংহ চিহ্নিত আসন,
- আয়কর = আয়ের উপর কর।
0
Updated: 2 months ago
‘বিষবৃক্ষ’ কোন সমাস?
Created: 6 days ago
A
তৎপুরুষ
B
কর্মধারয়
C
বহুব্রীহি
D
অব্যয়ীভাব
‘বিষবৃক্ষ’ শব্দটি কর্মধারয় সমাস।
বিষবৃক্ষ শব্দটি দুটি অংশের সংমিশ্রণ: ‘বিষ’ + ‘বৃক্ষ’।
-
এখানে ‘বিষ’ শব্দটি ‘বৃক্ষ’-কে বিশেষণ হিসেবে নির্ধারণ করছে, অর্থাৎ বৃক্ষ কেমন? বিষযুক্ত।
-
কর্মধারয় সমাসে মধ্যপদ লোপ পায় এবং পরপদ প্রধান অর্থ বহন করে।
-
উদাহরণ: “বিষ সদৃশ বৃক্ষ” → সংক্ষেপে “বিষবৃক্ষ”, “শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী” → “শিক্ষামন্ত্রী”।
-
সমাসের মাধ্যমে বাক্য সংক্ষিপ্ত হয়, এবং অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়।
-
কর্মধারয় সমাস সাধারণত গুণ বা বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি বাংলা ব্যাকরণে বিশেষণ ও নামপদের সংমিশ্রণের একটি প্রাথমিক উদাহরণ।
-
সাহিত্যিক রচনায় এমন সমাস ব্যবহার বাক্যের সংহতি ও সৌন্দর্য বাড়ায়।
0
Updated: 6 days ago