জাতীয় সৃতিসৌধের স্থপতি মাইনুল হোসেন কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
A
২০১১ সালে
B
২০১২ সালে
C
২০১৩ সালে
D
২০১৪ সালে
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি মাইনুল হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক স্থাপত্যের এক সংযত ও নান্দনিক নির্মাতা। তাঁর নির্মিত স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগকে প্রতীকী রূপে ধারণ করে। তিনি ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন, যা তাঁর সৃষ্টিশীল যাত্রার সমাপ্তি ঘটায়।
– মাইনুল হোসেনের নকশা করা জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের সাতটি স্তম্ভের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামের সাতটি পর্যায়কে তুলে ধরে, যার মধ্যে রয়েছে দমন-পীড়ন, প্রতিরোধ, সংগ্রাম, ত্যাগ ও বিজয়।
– তাঁর স্থাপত্যচিন্তার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল সরলতা, দৃঢ় জ্যামিতিক বিন্যাস এবং জাতীয় পরিচয়কে ধারণ করা প্রতীকী শৈলী।
– ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশের স্থাপত্য জগতে এক উল্লেখযোগ্য শূন্যতা তৈরি করে, কারণ তিনি ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীকী স্থাপত্য নির্মাণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
– তিনি সরকারি গণপূর্ত বিভাগের স্থপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়াও আরও কয়েকটি সরকারি স্থাপনার নকশায় অবদান রাখেন।
– তাঁর কাজের লক্ষ্য ছিল স্থাপত্যকে স্মৃতি ও পরিচয়ের বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যা জাতীয় স্মৃতিসৌধের কাঠামোতে সর্বাধিক প্রতিফলিত হয়েছে।
– তাঁর মৃত্যু হলেও তাঁর নকশা করা সৌধ আজও জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং প্রতিনিয়ত মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়।
0
Updated: 7 hours ago
কোন দেশকে 'সমুদ্রের বধু' বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
মিসর
B
মালয়েশিয়া
C
গ্রেট ব্রিটেন
D
জাপান
উত্তর: গ) গ্রেট ব্রিটেন
গ্রেট ব্রিটেনকে ‘সমুদ্রের বধু’ বলা হয়, কারণ এটি ইতিহাস জুড়ে সাগরপথের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং সামুদ্রিক শক্তিতে বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করেছে। বিশেষ করে ১৬ থেকে ২০ শতকের মধ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সমুদ্রপথের মাধ্যমে বিস্তৃত হয়েছিল এবং এ কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপনিবেশিক সম্প্রসারণে এটি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে। এই খেতাবের মূল কারণগুলো সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা যায়।
গ্রেট ব্রিটেনের সামুদ্রিক ক্ষমতা ছিল এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের মূল চালিকা শক্তি। সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তারা ভারত, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বিভিন্ন অংশে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। এ কারণে দেশটি বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত হয়। সমুদ্রপথের নিয়ন্ত্রণ ও নৌবাহিনীর শক্তি ব্রিটেনকে ‘সমুদ্রের বধু’ খেতাব দেয়, কারণ তাদের প্রভাবের বিস্তার মূলত সামুদ্রিক রুটের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
ব্রিটিশ নৌবাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্র ও মহাসাগরে আধিপত্য বজায় রাখত। এর ফলে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক শক্তি শক্তিশালী হয়েছিল। এই সামরিক ও বাণিজ্যিক ক্ষমতা ব্রিটিশদের বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী করে তোলে। এমনকি কলোনি প্রতিষ্ঠার পরও সামুদ্রিক যোগাযোগ ছাড়া এদের নিয়ন্ত্রণ অর্ধেকও সম্ভব হতো না।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুধু বাণিজ্যিক দিক থেকেই নয়, সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক দিক থেকেও সমুদ্রপথের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তারা বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল, আদালত এবং প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিল। এই প্রতিষ্ঠাগুলো সামুদ্রিক বাণিজ্য ও নৌপথের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল, যা তাদের ‘সমুদ্রের বধু’ খেতাবকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
এছাড়া, ব্রিটিশরা সমুদ্রের ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তি ও আবিষ্কারও ছড়িয়ে দিয়েছে। তাদের নৌপথ ব্যবস্থাপনা, নকশা ও নৌযান নির্মাণে দক্ষতা সমুদ্রপথের ওপর আধিপত্য নিশ্চিত করেছিল। ফলে ব্রিটিশদের আধিপত্য শুধু সামরিক ও বাণিজ্যিক নয়, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
সারসংক্ষেপে, গ্রেট ব্রিটেনকে ‘সমুদ্রের বধু’ বলা হয় কারণ তাদের সামুদ্রিক শক্তি, বাণিজ্যিক প্রভাব ও উপনিবেশিক সম্প্রসারণের জন্য সাগরের উপর নির্ভরতা ছিল অত্যন্ত বেশি। এই সামুদ্রিক আধিপত্য ব্রিটিশদের বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম করে এবং ইতিহাসে তাদের চিরস্মরণীয় খেতাব হিসেবে পরিচিতি দেয়।
অতএব, প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো গ) গ্রেট ব্রিটেন, কারণ এটি ইতিহাসে নৌশক্তির ওপর নির্ভর করে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করার কারণে ‘সমুদ্রের বধু’ খেতাব পেয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago