মুক্তিযুদ্ধের কোন সেক্টর কেবল নৌ কমান্ড দ্বারা গঠিত হয়েছিল?
A
১ নং সেক্টর
B
১০ নং সেক্টর
C
৯ নং সেক্টর
D
১১ নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১০ নং সেক্টর ছিল একমাত্র সেক্টর যেখানে যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো নৌ-কমান্ডের অধীনে। অন্যান্য সেক্টর স্থলযুদ্ধে অংশ নিলেও এই সেক্টর বিশেষভাবে নদী ও সমুদ্রপথে গেরিলা আক্রমণ, নৌ-সংকট সৃষ্টি এবং সামরিক রসদ পরিবহন ব্যাহত করার কাজ পরিচালনা করত।
• এই সেক্টরের মূল দায়িত্ব ছিল শত্রুপক্ষের সমুদ্রবন্দর, জাহাজ, লজিস্টিক নেটওয়ার্ক ও নদীপথে হামলা পরিচালনা
• নৌ-কমান্ডোরা দেশের বিভিন্ন নদী, কর্ণফুলী বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করেছিলেন
• এই সেক্টর থেকে পরিচালিত অভিযানে শত্রুপক্ষের যোগাযোগব্যবস্থা ও সরবরাহ লাইন বিপর্যস্ত হয়
• ১০ নং সেক্টরের কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধে নৌযুদ্ধ কৌশলের নতুন মাত্রা তৈরি করে
0
Updated: 7 hours ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব-
Created: 1 month ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরপ্রতীক
C
বীরবিক্রম
D
বীরউত্তম
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খেতাবগুলো প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরশ্রেষ্ঠ, এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরউত্তম।
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়।
-
খেতাবের বণ্টন ছিল:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৬ জন
-
বর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ৬৭২ জনের খেতাব বহাল রয়েছে, যার মধ্যে:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৭ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৪ জন
0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পদবী কী ছিল?
Created: 13 hours ago
A
ক্যাপ্টেন
B
সিপাহী
C
ল্যান্স নায়েক
D
লেফটেন্যান্ট
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে বীরত্ব, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের প্রতীক। তিনি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে সম্মুখসমরে লড়াই করেন এবং অতুল সাহসিকতার প্রমাণ দেন। তাঁর পদবী ছিল সিপাহী, যা প্রমাণ করে যে দায়িত্ব বড় না হলেও দায়িত্ববোধ ও সাহসই প্রকৃত সম্মান এনে দেয়।
• তিনি ৪নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অপারেশনে যুক্ত ছিলেন।
• যুদ্ধে শত্রুপক্ষের বাঙ্কার ধ্বংস করে সহযোদ্ধাদের অগ্রসর হওয়ার পথ তৈরি করেন।
• অপারেশন সফল হলেও তিনি আহত অবস্থায় শহীদ হন।
• তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করে, যা দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বীরত্বসূচক সম্মান।
• তাঁর ত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার মূল্য ও দেশপ্রেমের অর্থ স্মরণ করিয়ে দেয়।
0
Updated: 13 hours ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 5 days ago
A
১০ টি
B
১২ টি
C
১৩ টি
D
১১ টি
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠিত যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল এবং যুদ্ধের প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা, কমান্ডার এবং যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল নৌ সেক্টর, যা সমুদ্র ও নদীপথে অপারেশন পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
• ১০ নং সেক্টরে কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়নি।
• এই সেক্টরের কমান্ড যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতো, যা এটিকে অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় ব্যতিক্রমী করে।
• এই সেক্টরের প্রধান কার্যক্রম ছিল নৌ যুদ্ধ, সমুদ্রপথ অবরোধ, পাকিস্তানি জাহাজ আক্রমণ এবং কৌশলগত রুট নিয়ন্ত্রণ।
• নৌ কমান্ডোরা এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
0
Updated: 5 days ago