বজ্রপাতের সময় থাকা উচিত-
A
উঁচু গাছের নিচে
B
গুহার ভিতর বা মাটিতে শুয়ে
C
খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে
D
উঁচু দেয়ালের কাছে
উত্তরের বিবরণ
বজ্রপাতের সময় সঠিক আশ্রয় নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল স্থানে অবস্থান করলে প্রাণহানি বা গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নিরাপত্তার জন্য নিয়মগুলো জানা ও অনুসরণ করা জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে।
• বজ্রপাতের সময় গুহা, নিচু জায়গা বা ঘরের ভিতর থাকা নিরাপদ, কারণ এসব স্থানে বিদ্যুতের আঘাত পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম।
• খোলা মাঠে অবস্থান করলে মাটিতে শুয়ে বা নিচু হয়ে থাকা তুলনামূলক নিরাপদ, কারণ দেহের উচ্চতা কমে যায় এবং বিদ্যুৎ আকর্ষণের ঝুঁকি কম হয়।
• উঁচু গাছ, লোহার বস্তু, বৈদ্যুতিক খুঁটি, পানির উৎস বা খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ বজ্রপাত সাধারণত উচ্চ বা পরিবাহী বস্তুর দিকে আকৃষ্ট হয়।
• বজ্রসতর্ক সংকেত থাকলে বাইরে থাকা এড়ানো উচিত।
0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশে অন্যতম দুর্যোগ কি?
Created: 2 weeks ago
A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
নদী ভাঙ্গন
বাংলাদেশে সবচেয়ে সাধারণ এবং বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি হলো বন্যা। এর ভৌগোলিক অবস্থান, নিম্নভূমি প্রকৃতি এবং অসংখ্য নদ-নদীর উপস্থিতির কারণে প্রায় প্রতি বছরই দেশের একটি বড় অংশ বন্যায় আক্রান্ত হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার, অর্থাৎ দেশের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ১৮ শতাংশ এলাকা বন্যার কবলে পড়ে।
-
যখন বন্যা ব্যাপক আকারে দেখা দেয়, তখন দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশেরও বেশি এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
-
বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদী— গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা— এবং তাদের শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে এই বন্যার মূল উৎস।
-
বন্যা সাধারণত অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, নদীর পাড় ভাঙন ও জোয়ারভাটার কারণে সংঘটিত হয়।
-
বন্যার ফলে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, গৃহহানি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা এবং মানবিক সংকট দেখা দেয়।
-
তবে প্রতি বছর নিয়মিত বন্যা বাংলাদেশের কৃষিজমিকে উর্বর মাটি ও পলি সরবরাহ করে, যা দেশের কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
-
বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (FFWC) নিয়মিত কাজ করে এবং সরকার বাঁধ, সেচ প্রকল্প ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা চালায়।
0
Updated: 2 weeks ago