বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। এই সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব, পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কাঠামো পায়।

• অস্থায়ী সরকার গঠনের স্থান ছিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর, যা তখন বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ছিল।
• বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়, যদিও তিনি তখন পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন।
• সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি (ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট) এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
• এই সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মোট ৬৭৬ জনকে বীরত্বসূচক খেতাব দেয়া হয়। এর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীরউত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন এবং বীরপ্রতীক ৪২৬ জন। (মনে রাখুন এভাবে ০১৭, ৬৮, ১৭৫, ৪২৬)

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যোদ্ধাদের চারটি শ্রেণিতে রাষ্ট্রীয় উপাধি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ, যা পান ৭ জন শহীদ। এর নিচে বীরউত্তম উপাধি প্রদান করা হয়েছে ৬৮ জনকে। বীরবিক্রম খেতাব পেয়েছেন ১৭৫ জন এবং সর্বাধিক যোদ্ধা বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন ৪২৬ জন। এসব খেতাব মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয় এবং স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁদের স্থায়ী সম্মান নিশ্চিত করে।

• বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
• বীরউত্তম: ৬৮ জন
• বীরবিক্রম: ১৭৫ জন
• বীরপ্রতীক: ৪২৬ জন