স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর কোনটি?
A
জেলা পরিষদ
B
সিটি করপোরেশন
C
পৌরসভা
D
ইউনিয়ন পরিষদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সবচেয়ে নিচের স্তর হলো ইউনিয়ন পরিষদ। এটি গ্রামীণ প্রশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এখানে দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ প্রশাসনিক সেবা, উন্নয়ন কার্যক্রম এবং নীতি-নির্ধারণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
-
গঠন: একটি ইউনিয়ন সাধারণত কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত। চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য মিলে পরিষদ পরিচালনা করেন।
-
মূল ভূমিকা: স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্যানিটেশন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মাণ।
-
গুরুত্ব: এটি জনগণের সবচেয়ে কাছের প্রশাসনিক ইউনিট, যেখানে নাগরিকরা সহজেই সেবা পেয়ে থাকে।
-
আইনগত ভিত্তি: স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
সেবা প্রদান: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ভূমিহীনদের সহায়তা, পরিবার কল্যাণে সহযোগিতা ইত্যাদি।
-
গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ: ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সরাসরি ভোটে হয়, যা তৃণমূল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
0
Updated: 8 hours ago
বাংলাদেশের ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী সর্ব প্রথম কে অবস্থান করেন?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
প্রধান উপদেষ্টা
D
প্রধান বিচারপতি
জুলাই ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত। এই তালিকায় সরকারি ও সাংবিধানিক পদগুলোর একটি নির্দিষ্ট পদক্রম নির্ধারিত আছে, যা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও প্রোটোকল অনুসারে মানা হয়।
১. রাষ্ট্রপতি (President of the Republic)
-
২. প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)
-
৩. জাতীয় সংসদের স্পিকার (Speaker of the Parliament)
-
৪. বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিগণ
-
৫. কেবিনেট মন্ত্রিগণ; কেবিনেটের প্রধান হুইপ; সংসদের ডেপুটি স্পিকার; সংসদে বিরোধী দলের নেতা
-
৬. পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সমমানের পদে থাকা ব্যক্তিবর্গ
-
৭. বিশেষ দূত ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কমনওয়েলথ দেশের হাইকমিশনারগণ
-
৮. প্রধান নির্বাচন কমিশনার; পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান; সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকগণ; রাষ্ট্রের রাজ্য মন্ত্রীগণ; সংসদের হুইপ
ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্সে মোট ২৫টি পদক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রাঙ্গামাটি
B
বরিশাল
C
চট্টগ্রাম
D
ময়মনসিংহ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই জেলা পাহাড়, হ্রদ এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত, যা ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
-
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ২২°-২৭'' থেকে ২৩°-৪৪'' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°-৫৬'' থেকে ৯২°-৩৩'' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
-
উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম, এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত।
-
আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা।
-
রাঙ্গামাটি দেশের একমাত্র রিক্সা বিহীন শহর, যা একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
-
এই জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীসমূহ: চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন এবং বাঙালি—মোট ১৪টি জনগোষ্ঠী।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলা মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়েছিল। এই এলাকার প্রাচীন নাম ছিল কার্পাস মহল।
-
১৯৮১ সালে বান্দরবান এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পর, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল অংশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রথাগত রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় এখানে চাক্মা সার্কেল চীফ দায়িত্বে থাকেন।
-
চাক্মা রাজা হলেন নিয়মতান্ত্রিক চাক্মা সার্কেল চীফ।
0
Updated: 1 month ago
‘গজল ডোবা বাধ’ বাংলাদেশের কোন নদীর উজানে অবস্থিত?
Created: 2 weeks ago
A
পদ্মা
B
মেঘনা
C
যমুনা
D
তিস্তা
‘গজল ডোবা বাধ’ বাংলাদেশের তিস্তা নদীর উজানে অবস্থিত। এটি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এই বাঁধের মূল উদ্দেশ্য হলো তিস্তা নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বন্যার ঝুঁকি কমানো। এছাড়াও, এটি কৃষিকাজের জন্য জল সেচ সরবরাহ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন, তিস্তা নদী এবং গজল ডোবা বাধ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নিই।
-
তিস্তা নদী: তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি হিমালয় পর্বতের পাদদেশ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর প্রবাহিত হয়। তিস্তা নদী বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
-
গজল ডোবা বাধ: গজল ডোবা বাধ তিস্তা নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁধ, যা ১৯৮০-এর দশকে নির্মাণ করা হয়। এটি তিস্তার উজানে অবস্থিত এবং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এই বাঁধটির মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং আঞ্চলিক কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জল সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
-
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব: গজল ডোবা বাধের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তিস্তা নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, বন্যা প্রতিরোধ, এবং কৃষিক্ষেত্রে জল সেচের সুবিধা প্রদান করা। বাঁধটি পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।
-
অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব: এই বাঁধটি তিস্তা নদী বেসিনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে, কিছু সমালোচনাও রয়েছে, যেমন পরিবেশগত ক্ষতি এবং কিছু স্থানীয় জনগণের উপর এর প্রভাব। তবে, এখনও এটি নদী এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
-
গজল ডোবা বাধের অবস্থান: এটি তিস্তা নদীর উপর সিলেট বিভাগের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এখান থেকে পানি সেচ কার্যক্রম এবং তিস্তার জলমগ্ন এলাকা থেকে কৃষিকাজের জন্য জল সরবরাহ করা হয়।
গজল ডোবা বাধের নির্মাণ তিস্তা নদীর উপর প্রভাব বিস্তার করেছে, যার ফলে এখানে থাকা জনগণ এবং কৃষকরা সুবিধা পাচ্ছেন। তিস্তা নদী এবং গজল ডোবা বাধ বাংলাদেশের কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
0
Updated: 2 weeks ago