অলীক শব্দের অর্থ কি?
A
সত্য
B
মিথ্যা
C
সুন্দর
D
ভয়ানক
উত্তরের বিবরণ
অলীক শব্দের অর্থ হলো মিথ্যা বা সত্যের বিপরীত। এটি এমন কিছু নির্দেশ করে যা বাস্তবতা বা সত্যতার সঙ্গে মিলে না। বাংলা সাহিত্যে এবং সাধারণ কথ্য ভাষায় অলীক শব্দটি ব্যবহৃত হয় মিথ্যা বক্তব্য, কল্পনা বা অবাস্তব ঘটনার বর্ণনার জন্য।
-
অর্থ: মিথ্যা, অবাস্তব, কল্পিত।
-
ব্যবহার: গল্প, প্রবন্ধ বা কথোপকথনে যেটি সত্য নয় বা কল্পনার সৃষ্টি বোঝাতে।
-
সাহিত্যিক দিক: অলীক ঘটনা সাহিত্যিক কল্পনার মাধ্যমে গল্পকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
-
সামাজিক প্রয়োগ: মানুষ যখন সত্যকে আড়াল করে বা মিথ্যা প্রচার করে, তখন সেটিকে অলীক বলা হয়।
-
ভাষাগত উৎস: বাংলা ভাষার শুদ্ধ শব্দভাণ্ডার, বাংলা অভিধান।
0
Updated: 9 hours ago
‘ডাকাবুকো' প্রবাদটির অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
বদরাগী
B
চাটুকার
C
দুরন্ত
D
কোনোটিই নয়
‘ডাকাবুকো’ শব্দটি সাধারণত এমন কাউকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যে অহেতুক দম্ভ করে বা অকারণে বড়াই করে। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর কোনোটিই এর সঠিক অর্থ প্রকাশ করে না, ফলে “কোনোটিই নয়” উত্তরটি যথার্থ।
• “ডাকাবুকো” কথাটি এসেছে “ডাকা” ও “বুকো” শব্দের সংযোগে, যেখানে ‘ডাকা’ মানে উচ্চভাবে আওয়াজ তোলা এবং ‘বুকো’ মানে বুকফাটা বা বুকচেরা ভাব প্রকাশ।
• এই শব্দে সাহসের ভান বা আত্মপ্রচারের ধারণা থাকে, প্রকৃত সাহস নয়।
• এ ধরনের মানুষ সাধারণত দম্ভোক্তি করে, কিন্তু বাস্তবে তেমন কর্মক্ষম নয়।
• অর্থাৎ, শব্দটি অতিবলপ্রদর্শনকারী বা ঢাকঢোল পেটানো ব্যক্তি বোঝায়।
তাই এটি “বদরাগী”, “চাটুকার” বা “দুরন্ত”—কোনোটিরই অর্থ বহন করে না।
0
Updated: 1 week ago
'নিদাঘ ' শব্দের 'নি' উপসর্গটি কোন অর্থ দ্যোতনা বুঝিয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
আতিশয্য
B
অভাব
C
নিশ্চয়
D
নিষেধ
‘নিদাঘ’ শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত একটি বিশেষণ যা কোনো জিনিস বা অবস্থা চরম মাত্রায়, তীব্র বা অতিরিক্ত অবস্থায় আছে তা প্রকাশ করে। এখানে মূল শব্দ হলো ‘দাঘ’, যা সাধারণ অর্থে গরম, তীব্রতা বা ক্ষয়ক্ষতির অনুভূতি বোঝায়। কিন্তু ‘নি’ উপসর্গটি মূল শব্দের আগে বসার ফলে এটি শব্দের অর্থকে শক্তিশালী, অতিরিক্ত বা অতিশয়ত্মক অর্থে প্রসারিত করেছে। অর্থাৎ, ‘নিদাঘ’ মানে চরম তীব্র, অত্যধিক প্রখর বা অতিশয় তাপযুক্ত।
‘নি’ উপসর্গটি সাধারণভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহার করা হয় কোনো কাজ বা গুণের পরিমাণকে বাড়িয়ে বা তীব্র করে দেখাতে। এটি মূল শব্দের অর্থকে এমনভাবে উদ্ভাসিত করে যে, শব্দটি সাধারণ বা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রা বা প্রভাব বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, ‘নির্জন’ শব্দে ‘নি’ উপসর্গ প্রকাশ করে সম্পূর্ণ শূন্যতা বা একাকীত্ব, ‘নিস্তব্ধ’ শব্দে এটি শান্ত বা নিস্তব্ধ অবস্থার তীব্রতা বোঝায়। ঠিক একইভাবে, ‘নিদাঘ’ শব্দে ‘নি’ উপসর্গ মূল শব্দ ‘দাঘ’-কে অতিশয় প্রখর বা চরম তাপের অর্থে রূপান্তরিত করেছে।
‘নিদাঘ’ শব্দটি সাহিত্যে বা দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় সেই পরিস্থিতি বা অনুভূতিকে প্রকাশ করে যেখানে কোনো বস্তু, অনুভূতি বা কাজ অত্যন্ত তীব্র, প্রচণ্ড বা অতিশয় মাত্রায় উপস্থিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, “নিদাঘ গরম” মানে হলো অত্যন্ত প্রচণ্ড গরম, “নিদাঘ ক্রোধ” মানে হলো অতিশয় রাগ বা চরম তীব্র রাগ। এই ধরনের ব্যবহার ভাষায় আবেগ, অনুভূতি বা প্রকৃতির প্রভাবকে চিত্রায়িত করতে সাহায্য করে।
‘নি’ উপসর্গের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোনো শব্দকে সম্পূর্ণ বা চরম মাত্রায় উপস্থাপন করতে সক্ষম। এটি শব্দকে সাধারণ থেকে উচ্চতর বা অতিশয়ত্মক মাত্রায় উন্নীত করে। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ গরম → নিদাঘ গরম, সাধারণ ক্রোধ → নিদাঘ ক্রোধ, সাধারণ শীত → নিদাঘ শীত। প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘নি’ উপসর্গ মূল অর্থকে প্রবল ও তীব্র আকারে প্রকাশ করেছে।
বাংলা ব্যাকরণ এবং শব্দ গঠনের দিক থেকে ‘নি’ উপসর্গের ব্যবহার উচ্চারণ এবং অনুভূতির ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি মূল শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভাষাকে আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলে। অতএব, ‘নিদাঘ’ শব্দের মাধ্যমে আমরা একটি ধারণা পাই যা সাধারণ শব্দের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী, তীব্র এবং চরম অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে।
ব্যাখ্যা (পয়েন্ট আকারে):
-
‘নিদাঘ’ শব্দের মূল অর্থ হলো চরম তীব্র বা অতিশয় প্রখর।
-
‘নি’ উপসর্গটি মূল শব্দের অর্থকে বৃদ্ধি বা তীব্রতা দেয়।
-
এটি সাধারণ বা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অত্যধিক বা চরম অবস্থার ধারণা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: “নিদাঘ গরম” → অত্যন্ত প্রচণ্ড গরম।
-
উদাহরণ: “নিদাঘ ক্রোধ” → অতিশয় রাগ বা চরম তীব্র রাগ।
-
‘নি’ উপসর্গ সাধারণভাবে কোনো কাজ বা গুণের মাত্রা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শব্দের অর্থকে উচ্চতর বা অতিশয়ত্মক আকারে রূপান্তরিত করে।
-
সাহিত্যে এবং দৈনন্দিন ভাষায় এটি চরম অনুভূতি বা প্রভাব দেখাতে ব্যবহৃত হয়।
-
‘নিদাঘ’ শব্দের মাধ্যমে আমরা সেই পরিস্থিতি বোঝাতে পারি যা সাধারণ চরমের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র বা প্রখর।
-
ব্যাকরণগত দিক থেকে ‘নি’ উপসর্গ মূল শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে শব্দকে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলে।
0
Updated: 2 weeks ago
বদান্যতা শব্দের অর্থ কী?
Created: 2 days ago
A
কৃপণতা
B
দানশীলতা
C
কৌতূহল
D
উদাসীনতা
বদান্যতা এমন একটি গুণ, যার মাধ্যমে মানুষের উদার মনোভাব ও অপরের প্রতি সহায়তার ইচ্ছা প্রকাশ পায়। বাংলা ভাষায় এটি মূলত দান, সহমর্মিতা ও মানুষের কল্যাণে নিঃস্বার্থ ভূমিকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন:
-
বদান্যতা অর্থ দানশীলতা, অর্থাৎ স্বেচ্ছায় ও নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা।
-
শব্দটি ‘বদ’ + ‘আন্যতা’ ধাতু থেকে এসেছে, যেখানে বদ অর্থে উদার বা মহান ব্যক্তিত্ব বোঝায়।
-
বদান্য ব্যক্তি সাধারণত অন্যের কষ্ট লাঘব, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
-
সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বদান্যতা সামাজিক বন্ধন মজবুত করে এবং সমাজে সহযোগিতার সংস্কৃতি তৈরি করে।
-
সাহিত্যেও শব্দটি আলঙ্কারিক অর্থে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে কারও মহানুভব চরিত্র বোঝাতে।
-
বিপরীত শব্দ হিসেবে কৃপণতা ব্যবহার করা হয়, যা স্বার্থপর ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দেয়।
-
দৈনন্দিন জীবনে বদান্যতা শুধু অর্থ দানে সীমাবদ্ধ নয়; সময়, শ্রম বা সহমর্মিতা প্রদান করাও এই গুণের অংশ।
0
Updated: 2 days ago