ঢাকার প্রাচীন নাম কি?
A
সোনারগাঁও
B
জাহাঙ্গীরনগর
C
কক্সবাজার
D
মুঘলপুর
উত্তরের বিবরণ
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং এটি বহু ইতিহাসের সাক্ষী। শহরের প্রাচীন নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর, যা মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে রাখা হয়েছিল। নামটি মুঘল সময়কালের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং রাজধানীর গুরুত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
উৎপত্তি: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়কাল থেকে।
-
অর্থ: “জাহাঙ্গীরের নগর”, অর্থাৎ সম্রাট জাহাঙ্গীরের শহর।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ১৬-১৭ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ঢাকা শহর গুরুত্ব পায় প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।
-
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: জাহাঙ্গীরনগর নামটি শহরের ঐতিহ্য এবং মুঘল স্থাপত্য ও শিল্পকলার সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
পরিবর্তন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ঢাকা নামটি প্রচলিত হয়।
-
প্রভাব: মুঘল আমলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, বাণিজ্য ও শহুরে উন্নয়নের ইতিহাস বোঝায়।
0
Updated: 9 hours ago
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কি?
Created: 1 month ago
A
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ
B
সংসদের আসন বৃদ্ধি
C
সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল
D
পি আর (PR) চালু করা
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব ছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ গঠন। এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও জনকেন্দ্রিক করা।
সংস্কার প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
-
বর্তমান এককক্ষের পরিবর্তে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) ও উচ্চকক্ষ (সিনেট) গঠন করা হবে।
-
এই ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া হবে আরও সুষ্ঠু ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স ভিত্তিক।
-
নিম্নকক্ষে ৪০০ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত ও ১০০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচিত)।
-
উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ১০০ জন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত, ৫ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত, এবং ৩০% নারী সংরক্ষিত আসন)।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
-
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
0
Updated: 1 month ago
ওয়ানগালা কাদের উৎসব?
Created: 1 week ago
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
মারমা
D
চাকমা
ওয়ানগালা উৎসব গারো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী এক ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি মূলত ফসল কাটা শেষে দেবতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। উৎসবটি গারোদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়ানগালা উৎসবের প্রকৃতি: এটি গারোদের ফসল তোলার উৎসব, যা দেবতা “সালজং”-এর উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়।
-
সময়কাল: প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, বিশেষ করে নতুন ধান ওঠার পর এই উৎসব পালিত হয়।
-
উদযাপনের স্থান: ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত গারো জনগোষ্ঠী এটি পালন করে।
-
উৎসবের বৈশিষ্ট্য: উৎসবে ঢাক-ঢোল, বাঁশি, গান, নাচ এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। এটি “ফসল উৎসব” নামেও পরিচিত।
-
অর্থ ও উদ্দেশ্য: প্রকৃতি ও দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে ঐক্য, আনন্দ ও সহযোগিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা কয়টি?(অক্টোবর, ২০২৫)
Created: 1 month ago
A
২৬টি
B
২৭টি
C
২৮টি
D
২৯টি
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার দেশের প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি জাতীয় মানব সম্পদ পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এই ক্যাডার সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো—
-
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন হলো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যা প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তির জন্য যোগ্য এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
-
প্রতিষ্ঠানটি দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবং মানব সম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন অন্যান্য দেশের প্রতিরূপ সংস্থাসমূহ।
-
কর্ম কমিশন দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করে, যার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
-
বাংলাদেশে মোট ২৬টি সিভিল সার্ভিস ক্যাডার রয়েছে।
0
Updated: 1 month ago