বৈষম্য বিরোধী কোন সমাস?
A
দ্বন্দ্ব
B
তৎপুরুষ
C
সমষ্টি
D
বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
সমাস হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দুটি বা ততোধিক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করে। বৈষম্য বা বিপরীত ধারণা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত সমাসকে তৎপুরুষ সমাস বলা হয়। তৎপুরুষ সমাসে প্রধান এবং নির্ধারক শব্দ একে অপরকে সম্পূর্ণভাবে নির্ধারণ করে।
-
সংজ্ঞা: তৎপুরুষ সমাস হলো এমন সমাস যেখানে প্রথম পদ দ্বিতীয় পদকে নির্দিষ্ট বা বিশেষণ রূপে নির্ধারণ করে।
-
বৈশিষ্ট্য: বৈষম্য বা বিরোধ প্রকাশের জন্য এটি ব্যবহৃত হতে পারে।
-
উদাহরণ: বৈষম্যবিরোধী (বৈষম্য + বিরোধী), অর্থাৎ যে ব্যক্তি বা জিনিস বৈষম্য বিরোধী।
-
ব্যবহার: সাধারণত শিক্ষাগত এবং সাহিত্যিক লেখায় সমাস ব্যবহার করা হয়, যা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত ও অর্থপূর্ণ করে।
-
লক্ষ্য: সমাসের মাধ্যমে ভাব প্রকাশে স্বচ্ছতা এবং সংক্ষেপতা বৃদ্ধি পায়।
0
Updated: 9 hours ago
'বিদ্যাহীন' - শব্দটি কোন তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয়া
B
যষ্ঠী
C
পঞ্চমী
D
চতুর্থী
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কিত নিয়ম整理 করা হলো।
-
নিয়ম: পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন: দ্বারা, দিয়ে, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
-
-
বিশেষ নোট: ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দও উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।
-
উদাহরণ:
-
এক দ্বারা ঊন = একোন
-
বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন
-
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
-
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম
-
0
Updated: 1 month ago
তৎপুরুষ সমাসে কোন পদ প্রধান?
Created: 2 months ago
A
পরপদ
B
পুর্বপদ
C
উভয়পদ
D
অন্যপদ
পূর্বপদের বিভক্তি এর লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে এবং পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ করা হয়।
যেমন: বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি 'কে' লোপ পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
0
Updated: 5 days ago
'চন্দনচর্চিত' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হলো সেই সমাস যেখানে পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ হয়ে দুই পদকে একত্রিত করা হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা = মধুমাখা
-
-
উত্তরপদে বিশেষ শব্দ থাকলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়:
-
এক দ্বারা উন = একোন
-
বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন
-
জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য
-
পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচকম
-
-
উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ থাকলেও সমাস হয়:
-
স্বর্ণ দ্বারা মন্ডিত = স্বর্ণমণ্ডিত
-
হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি
-
0
Updated: 1 month ago