মানব দেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
A
স্ফিগমোম্যানোমিটার
B
স্টেথোসকোপ
C
কার্ডিওগ্রাফ
D
ইকোকার্ডিওগ্রাফ
উত্তরের বিবরণ
রক্তচাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম স্ফিগমোম্যানোমিটার। এটি সাধারণত বাহুর উপর চাপ প্রয়োগ করে রক্তনালীর চাপ নির্ণয় করে এবং উচ্চ অথবা নিম্ন রক্তচাপ নির্ধারণে সহায়তা করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি একটি অপরিহার্য নির্ণয়যন্ত্র।
• স্টেথোস্কোপ হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের অভ্যন্তরীণ শব্দ শোনার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসকদের সহায়ক।
• কার্ডিওগ্রাফ হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করে এবং এর ফলাফলকে ECG আকারে তুলে ধরে, যা হৃদরোগ শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ।
• ইকোকার্ডিওগ্রাফ আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তির মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের গঠন, রক্তপ্রবাহ এবং কার্যকারিতা দৃশ্যমান করে, যা জটিল হৃদরোগ নির্ণয়ে সহায়ক।
0
Updated: 9 hours ago
মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত হয়?
Created: 1 day ago
A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃকে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
লোহিত রক্তকণিকা শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের কিছু অঙ্গ বিশেষ করে প্লীহা বা Spleen-এ সঞ্চিত থাকে। প্লীহাকে রক্তের ভাণ্ডার বলা হয় কারণ এটি অস্থিমজ্জা থেকে তৈরি হওয়া রক্তকণিকাগুলো সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করতে পারে।
-
প্লীহা পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে ফেলে এবং প্রয়োজনীয় অংশ যেমন আয়রন পুনরায় শরীরে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।
-
জরুরি পরিস্থিতিতে যেমন রক্তক্ষরণ বা অক্সিজেনের ঘাটতি হলে প্লীহা সঞ্চিত RBC দ্রুত রক্তে ছাড়ে।
-
এটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ এবং রক্তে থাকা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও অস্বাভাবিক কোষ ছাঁকতে সাহায্য করে।
-
কিছু প্রাণীতে প্লীহায় RBC সঞ্চয় ক্ষমতা আরও বেশি থাকে।
0
Updated: 1 day ago
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে রক্ত থাকে-
Created: 5 days ago
A
২-৩ লিটার
B
৩-৪ লিটার
C
৪-৫ লিটার
D
৫-৬ লিটার
ক্ত মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ তরল যোজক কলা, যা দেহের কোষে পুষ্টি, অক্সিজেন এবং বিভিন্ন উপাদান পরিবহন করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। এটি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• রক্তের প্রকৃতি সামান্য ক্ষারীয়, যার pH মাত্রা ৭.৩–৭.৪
• সজীব রক্তের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬–৩৮° সেলসিয়াস, যা শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
• একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে গড়ে ৫–৬ লিটার রক্ত বিদ্যমান থাকে এবং এটি বয়স, লিঙ্গ ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে
• রক্ত মূলত প্লাজমা ও রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত, যা দেহে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন করে
0
Updated: 5 days ago
সাপের বিষে কি থাকে?
Created: 2 days ago
A
লেড মনোক্সাইড
B
ফ্লোরিক এসিড
C
জিঙ্ক সালফাইড
D
কপার সালফাইড
সাপের বিষে মূলত বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন, এনজাইম এবং টক্সিন থাকে, যা শিকারকে অচেতন, পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এই উপাদানগুলো স্নায়ুতন্ত্র, রক্ত জমাট বাঁধা ও কোষীয় কার্যক্রমে দ্রুত প্রভাব ফেলে। যদিও সাপের বিষে সাধারণত জিঙ্ক সালফাইড (ZnS) পাওয়া যায় না, তবে সামান্য পরিমাণে জিঙ্ক আয়ন কিছু এনজাইমের সক্রিয়তায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে গবেষণায় উল্লেখ আছে।
• সাপের বিষে পাওয়া প্রধান উপাদানগুলো হলো ফসফোলিপেজ, নিউরোটক্সিন, হেমোটক্সিন, প্রোটিয়েজ এবং হায়ালুরোনিডেজ।
• নিউরোটক্সিন স্নায়বিক সংকেত বাধাগ্রস্ত করে, ফলে শ্বাসরোধ বা পক্ষাঘাত হয়।
• হেমোটক্সিন রক্ত জমাট বাঁধায় বিঘ্ন ঘটায় এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ঘটায়।
• বিষে থাকা এসব এনজাইম শরীরের কোষ ভেঙে ফেলে ও টিস্যু নষ্ট করে।
0
Updated: 2 days ago