১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের উপর ছবি এঁকে বিখ্যাত হন কোন শিল্পী?
A
কামরুল হাসান
B
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
C
হাশেম খান
D
রফিকুন্নবী
উত্তরের বিবরণ
১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃসময়ের প্রতিচ্ছবি, এবং এই বাস্তবতা তুলে ধরে জয়নুল আবেদিন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর আঁকা দুর্ভিক্ষের চিত্রগুলো কেবল শিল্পকর্ম নয়, বরং মানবিক বেদনা ও সামাজিক সত্যের দলিল।
• তাঁর বিখ্যাত সিরিজ "ফেমিন স্কেচ" বা দুর্ভিক্ষ-চিত্রে ক্ষুধার্ত মানুষ, হাড়গোড়া শুকিয়ে যাওয়া শিশু ও জীবনের সংগ্রাম বাস্তব রূপে ফুটে ওঠে।
• এসব আঁকায় তিনি ইঙ্ক ও ব্রাশ ব্যবহার করেন, যা কম উপকরণ দিয়েও গভীর আবেগ প্রকাশের শক্তি দেখায়।
• এই কাজগুলো আন্তর্জাতিক শিল্পমহলে আলোচিত হয় এবং তাঁকে “বাংলাদেশের শিল্পাচার্য” হিসেবে মর্যাদা এনে দেয়।
• তাঁর এই অবদান পরবর্তী সময়ে আধুনিক বাংলা চারুকলার ভিত্তি গড়ে তোলে।
0
Updated: 9 hours ago
‘মনপুরা-৭০‘কী?
Created: 4 days ago
A
একটি উপজেলা
B
একটি নদীবন্দর
C
একটি উপন্যাস
D
একটি চিত্রশিল্প
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ছিলেন বাংলাদেশি আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎ। তাঁর অন্যতম বিখ্যাত চিত্রকর্ম “মনপুরা ‘৭০”, যা ১৯৭০ সালে ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানির করুণ বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে। এ চিত্রকর্মে মানবিক বিপর্যয়, সংগ্রাম এবং কষ্টের তীব্র অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে, যা তাকে মানবিক শিল্পী হিসেবে বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত করে।
• জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত দুর্ভিক্ষ সিরিজ (১৯৪৩) আন্তর্জাতিকভাবে উচ্চ স্বীকৃতি পায়।
• তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো সংগ্রাম, ম্যাডোনা ১৯৪৩, বিদ্রোহী গরু, সাঁওতাল রমণী, গায়ের বধূ, কাক, মইটানা, নবান্ন ইত্যাদি।
• তিনি বাংলা শিল্প আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং এজন্য তাকে শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
0
Updated: 4 days ago
'ম্যাডোনা-৪৩' কার অঙ্কিত চিত্রকর্ম?
Created: 2 months ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
এস এম সুলতান
C
কামরুল হাসান
D
কাইয়ুম চৌধুরি
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
-
জন্ম: ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহুকুমার কেন্দুয়াতে (বর্তমান নেত্রকোণা)।
-
মৃত্যু: ২৮ মে ১৯৭৬, ঢাকা।
-
উপাধি: শিল্পাচার্য (১৯৬৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের পক্ষ থেকে)।
-
সম্মাননা: হেলাল-ই-ইমতিয়াজ (১৯৫৮ সালে, পাকিস্তান সরকার কর্তৃক), যা তিনি ১৯৭১ সালে বর্জন করেন।
-
জাতীয় অধ্যাপক: ১৯৭৪ সালে মনোনীত হন।
কর্মজীবন ও অবদান
-
নদী ও প্রকৃতির অনুপ্রেরণায় প্রথম জীবনে রোমান্টিক ধাঁচের চিত্র অঙ্কন শুরু করেন।
-
দেশভাগের পর ঢাকায় এসে আর্ট ইনস্টিটিউট (১৯৪৮) প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট)।
-
তিনি বাংলাদেশে আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পুরোধা।
-
১৯৭৫ সালে সোনারগাঁও-এ লোকশিল্প জাদুঘর ও ময়মনসিংহে সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করেন।
-
বাংলাদেশ সংবিধানের মূল সাজসজ্জার পরিকল্পনাকারী ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম
-
দুর্ভিক্ষ (১৯৪৩) → বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের চিত্রায়ণ।
-
ম্যাডোনা-৪৩ → দুর্ভিক্ষে মা ও শিশুর করুণ বাস্তবতা; মানবিক দুর্দশার প্রতীক।
-
সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, বিদ্রোহী, মহিলা, দুই মহিলা (১৯৫৩), পাইন্যার মা (১৯৫৩), ফসল মাড়াই (১৯৬৩), নবান্ন, মনপুরা ইত্যাদি।
-
নবান্ন (১৯৬৯) → গণঅভ্যুত্থানকে ভিত্তি করে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিং।
-
মনপুরা (১৯৭০) → ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হাজারো মানুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আঁকা ৩০ ফুট দীর্ঘ চিত্রকর্ম।
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকর্ম: ‘মুক্তিযোদ্ধা’।
তাঁর শিল্পকর্মে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা, সংগ্রাম, প্রকৃতি ও গণআন্দোলনের চিত্রধর্মী প্রকাশ বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
0
Updated: 2 months ago