মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কয়টি?
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের পূর্বে মিয়ানমার দেশের সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত বাংলাদেশের তিনটি জেলা ছুঁয়ে গেছে, যা প্রধানত চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ। সীমান্তবর্তী এই জেলাগুলো ভূগোলিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
সীমান্তবর্তী জেলা: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম (রাঙ্গামাটি এর কিছু অংশও সীমান্তে আছে), ও খাগড়াছড়ি।
-
ভূগোলিক গুরুত্ব: এই অঞ্চলগুলো পাহাড়ি ও বনভূমি দ্বারা সমৃদ্ধ।
-
সীমান্তের দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
সীমান্ত সংক্রান্ত কার্যক্রম: ব্যবসা-বাণিজ্য, মানবিক কার্যক্রম এবং নিরাপত্তা তদারকি।
-
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: এই জেলা গুলিতে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর বসবাস এবং স্থানীয় ঐতিহ্য দেখা যায়।
-
পরিবেশগত দিক: পাহাড়, নদী ও বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ।
0
Updated: 9 hours ago
ভারতের কতটি ‘ছিটমহল’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?
Created: 4 weeks ago
A
১৬২টি
B
১১১টি
C
৫১টি
D
১০১টি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
বাংলাদেশের প্রান্তীয় ও সীমান্তবর্তী স্থান
ভারত
পিএসসি ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা
উত্তর: খ) ১১১টি
ব্যাখ্যা:
ছিটমহল বলতে বোঝায়—একটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এমন একটি ভূমিখণ্ড, যা অন্য দেশের ভেতরে অবস্থিত। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে বহু বছর ধরে এমন ছিটমহল ছিল, যা দুই দেশের নাগরিকদের জন্য ছিল এক গভীর প্রশাসনিক ও মানবিক সমস্যা। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় ২০১৫ সালে, “ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তি (Land Boundary Agreement – LBA)” বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভূমি-বিনিময় ঘটে এবং তখন—
-
ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়,
-
অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের ভৌগোলিক সীমায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝাতে কিছু মূল তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো—
-
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ছিটমহল থেকে যায়।
-
এই ভূমিগুলো প্রশাসনিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাসিন্দারা নাগরিক অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা ভোটাধিকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
-
দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
-
এই চুক্তি কার্যকর হয় ৩১ জুলাই ২০১৫ সালে, যখন উভয় দেশ তাদের নিজ নিজ ছিটমহলের বিনিময় সম্পন্ন করে।
-
বাংলাদেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল মোট আয়তনে প্রায় ১৭,১৬০ একর জমি নিয়ে গঠিত।
-
এই বিনিময়ের মাধ্যমে ছিটমহলবাসীরা প্রথমবারের মতো নিজেদের পছন্দের দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ পান, যা ছিল মানবিক দিক থেকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
-
ফলে সীমান্তে প্রশাসনিক বিভ্রান্তি দূর হয়, আইন-শৃঙ্খলা জোরদার হয় এবং সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রায় আসে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা।
সবশেষে বলা যায়, ২০১৫ সালের স্থলসীমা চুক্তির মাধ্যমে ভারতের মোট ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
0
Updated: 4 weeks ago