তরল পদার্থের পরিমাপের একক কোনটি?
A
কিলোগ্রাম
B
লিটার
C
মিটার
D
সেন্টিমিটার
উত্তরের বিবরণ
তরল পদার্থের পরিমাণ পরিমাপের জন্য লিটার ব্যবহার করা হয়। এটি দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষামূলক কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তরল পদার্থ যেমন পানি, দুধ, জুস বা রাসায়নিক দ্রবণ, এগুলোর পরিমাণ মাপার জন্য লিটার একটি মানক একক।
-
সংজ্ঞা: লিটার হলো তরল পদার্থের পরিমাপের একটি একক যা সাধারণত ভলিউম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিমাণ: ১ লিটার সমান ১,০০০ মিলিলিটার বা ১ ঘনডেসিমিটারের সমান।
-
ব্যবহার: দৈনন্দিন জীবনে পানির বোতল, দুধের প্যাকেট, জুস বা অন্যান্য পানীয়ের পরিমাণ বোঝাতে।
-
বৈজ্ঞানিক কাজে: রাসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং বাণিজ্যিক পরিমাপের জন্য।
-
প্রতিরূপ একক: মিলিলিটার (ml), কিউবিক সেন্টিমিটার (cm³)।
-
বিশেষত্ব: তরল পদার্থের ভলিউম মাপার সহজ এবং মানসম্মত একক।
0
Updated: 9 hours ago
রোধের এস.আই একক কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ভোল্ট
B
ও'ম
C
সিমেন্স
D
অ্যাম্পিয়ার
রোধ (Resistance):
-
বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য।
-
কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হয়।
-
এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
ইলেকট্রন পরিবাহীর ভেতর দিয়ে চলার সময় অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
-
সংঘর্ষের কারণে ইলেকট্রনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়।
-
পরিবাহীর এই বাধাদানের ধর্মকে রোধ (Resistance) বলে।
-
রোধের এস.আই. একক হলো ওম (Ω)।
-
সংজ্ঞা: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ পরিবাহীর রোধ হবে ১ ওম।
অন্যদিকে:
-
তড়িৎ প্রবাহের একক → অ্যাম্পিয়ার (A)
-
তড়িৎ পরিবাহিতার একক → সিমেন্স (S)
-
বিভব পার্থকের একক → ভোল্ট (V)
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
শব্দের তীব্রতা পরিমাপক একক কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
Hz
B
db
C
Ꞷm^-2
D
Ꞷm^-1
শব্দের তীব্রতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এমন একটি নির্দিষ্ট একক হলো ডেসিবেল (dB)। এটি শব্দের জোর বা শক্তি প্রকাশের একটি আপেক্ষিক পরিমাপ, যা মানুষের শ্রবণ ক্ষমতার সীমার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারিত হয়। নিচে শব্দের তীব্রতা ও এর একক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
• ডেসিবেল (dB) হলো শব্দের তীব্রতা বা শব্দচাপ পরিমাপের একক। এটি একটি লগারিদমিক একক, অর্থাৎ শব্দের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ডেসিবেল মান দ্রুতগতিতে বাড়ে।
• শব্দের তীব্রতা নির্ণয় করা হয় সূত্র L = 10 log₁₀ (I/I₀) দ্বারা, যেখানে L হলো শব্দের তীব্রতা (dB), I হলো প্রকৃত শব্দতীব্রতা এবং I₀ হলো শ্রবণসীমায় সর্বনিম্ন তীব্রতা (সাধারণত 10⁻¹² W/m²)।
• মানুষের কানে শোনা যায় এমন শব্দের তীব্রতার সীমা প্রায় 0 dB থেকে 140 dB পর্যন্ত। এর নিচে শব্দ শোনা যায় না, আর এর উপরে শব্দ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
• 0 dB মানে সম্পূর্ণ নীরবতা নয়; এটি শুধু মানুষের কানে শোনা যায় এমন সবচেয়ে ক্ষীণ শব্দের তীব্রতা নির্দেশ করে।
• 60–70 dB তীব্রতার শব্দকে সাধারণ কথোপকথনের সমান ধরা হয়। 90 dB বা তার বেশি তীব্রতার শব্দ দীর্ঘক্ষণ শুনলে কানের ক্ষতি হতে পারে।
• বিভিন্ন শব্দের তীব্রতা উদাহরণস্বরূপ:
– পাতা ঝরার শব্দ: প্রায় 10 dB
– সাধারণ কথোপকথন: প্রায় 60 dB
– মোটরগাড়ির হর্ণ: 90–100 dB
– জেট বিমানের ইঞ্জিন: 120–140 dB
• অন্যদিকে, Hz (হার্টজ) এককটি শব্দের কম্পাঙ্ক বা ফ্রিকোয়েন্সি মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা প্রতি সেকেন্ডে কতবার কম্পন হচ্ছে তা বোঝায়। তাই এটি শব্দের তীব্রতার একক নয়।
• Ꞷm⁻² (ওয়াট প্রতি বর্গমিটার) হলো শব্দশক্তির ঘনত্ব বা প্রকৃত তীব্রতার একক, কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারে মানুষের শ্রবণ অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে তুলনামূলকভাবে dB ব্যবহার করা হয়।
• শব্দের তীব্রতা ও কম্পাঙ্কের পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ: কম্পাঙ্ক শব্দের উচ্চতা (pitch) নির্ধারণ করে, আর তীব্রতা নির্ধারণ করে শব্দের জোর (loudness)।
• মানুষের কানে তীব্র শব্দ বেশি সময় পড়লে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। তাই 85 dB-এর উপরের শব্দে দীর্ঘ সময় থাকা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত।
সব মিলিয়ে বলা যায়, শব্দের শক্তি বা জোর পরিমাপের একক হলো ডেসিবেল (dB), যা শ্রবণ নিরাপত্তা, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দপ্রযুক্তি বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 2 weeks ago
‘বেকেরেল’ কিসের একক?
Created: 3 weeks ago
A
লেন্সের ক্ষমতা
B
এক্সরে
C
দীপন ক্ষমতা
D
তেজস্ক্রিয়তা
0
Updated: 3 weeks ago