কোন ভাষার সীমাবদ্ধতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়?
A
লিখিত ভাষা
B
মৌখিক ভাষা
C
চিহ্নিত ভাষা
D
প্রোগ্রামিং ভাষা
উত্তরের বিবরণ
মৌখিক ভাষার সীমাবদ্ধতা মূলত মানুষের কথার মাধ্যমে ভাব প্রকাশের ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতি, শব্দভাণ্ডার এবং শ্রোতার বোধগম্যতার ওপর নির্ভর করে।
-
সংজ্ঞা: মৌখিক ভাষা হলো মুখে বলা বা কথার মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যম।
-
সীমাবদ্ধতা: শব্দের সীমিত সংখ্যা এবং শ্রোতার ধারণক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল।
-
অস্থায়িত্ব: মৌখিক ভাষা তৎক্ষণাৎ উচ্চারিত হয় এবং তা রেকর্ড না করা হলে সময়ের সাথে মুছে যায়।
-
ভুল বোঝাপড়ার সম্ভাবনা: উচ্চারণ বা প্রসঙ্গের কারণে তথ্য বিকৃত হতে পারে।
-
সাপোর্টের অভাব: লিখিত বা চিহ্নিত ভাষার মতো স্থায়ী প্রমাণ থাকে না।
-
ব্যবহারিক প্রভাব: দৈনন্দিন যোগাযোগে দ্রুত এবং কার্যকর হলেও গভীর বা জটিল তথ্য সংরক্ষণের জন্য সীমিত।
0
Updated: 10 hours ago
বাকযন্ত্রের অংশ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
দাঁত
D
সবকটি
বাকযন্ত্র মানুষের কথা বলার জন্য অপরিহার্য একটি অঙ্গসমষ্টি, যা শব্দ সৃষ্টি ও উচ্চারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলোর সমন্বিত কাজেই আমরা সঠিকভাবে কথা বলতে পারি।
বাকযন্ত্রের প্রধান অংশগুলো হলো:
-
ফুসফুস: এটি বাতাস সরবরাহ করে, যা শব্দ উৎপাদনের প্রাথমিক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
স্বরযন্ত্র (Larynx বা Vocal Cords): এটি স্বর উৎপাদনের মূল কেন্দ্র; বাতাস এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শব্দ তৈরি করে।
-
দাঁত, জিহ্বা ও ঠোঁট: এগুলো ধ্বনিকে স্পষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে সাহায্য করে।
অতএব, উপরোক্ত সব অঙ্গ বাকযন্ত্রের অংশ, তাই সঠিক উত্তর হলো সবকটি।
0
Updated: 1 week ago
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন MCQ সমাধানঃ কোনটির মধ্য দিয়ে একটি দেশ এবং দেশের মানুষকে জানা যায়?
Created: 4 weeks ago
A
সাহিত্যচর্চা
B
ইতিহাসচর্চা
C
ধর্মচর্চা
D
শিল্পকলাচর্চা
একটি দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, বিশ্বাস ও মানুষের জীবনধারার প্রতিফলন ঘটে তার শিল্পকলার মাধ্যমে। শিল্প শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি জাতির মানসিকতা, চিন্তাধারা ও জীবনের অভিজ্ঞতাকে রূপ দেয়। তাই শিল্পকলাচর্চার মাধ্যমে আমরা একটি দেশের প্রকৃতি, সমাজ ও মানুষের অন্তরজগৎ সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করতে পারি।
শিল্পকলার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রকাশ: প্রতিটি দেশের নিজস্ব শিল্পরূপ থাকে—যেমন চিত্রকলা, সংগীত, নৃত্য, ভাস্কর্য বা স্থাপত্য। এসব শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে দেশের ঐতিহ্য ও জীবনধারা। যেমন বাংলাদেশের পটচিত্র, নকশিকাঁথা, বাউলগান আমাদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি।
মানুষের আবেগ ও ভাবপ্রকাশের মাধ্যম: শিল্পকলা মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা প্রকাশের পথ। একজন শিল্পী তাঁর দেশের মানুষের অনুভূতি ও স্বপ্নকে শিল্পে রূপ দেন, যা দেশের মানসিক অবস্থা বুঝতে সহায়তা করে।
ইতিহাস ও সমাজের প্রতিফলন: একটি সময়ের শিল্পকর্ম দেখে আমরা সেই সময়ের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেমন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রকলা বা সংগীত আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরে।
সংস্কৃতির ধারক ও বাহক: শিল্পকলা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংস্কৃতি স্থানান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লোকগান, নাটক বা হস্তশিল্পের মাধ্যমে ঐতিহ্য টিকে থাকে এবং জাতিসত্তা দৃঢ় হয়।
আন্তর্জাতিক পরিচিতি গঠনে ভূমিকা: শিল্পকলার মাধ্যমেই একটি দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। যেমন বাংলাদেশের শিল্পী জয়নুল আবেদিন বা রেনেসাঁর যুগের ইউরোপীয় শিল্পীরা তাঁদের দেশের সাংস্কৃতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সমাজসংস্কারের হাতিয়ার: শিল্প মানুষের চিন্তা বদলে দিতে পারে। নাটক, চলচ্চিত্র বা চিত্রকলার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, বৈষম্য বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
মানবিকতা ও সৌন্দর্যবোধ জাগিয়ে তোলে: শিল্পচর্চা মানুষকে সংবেদনশীল ও নৈতিক করে তোলে। এটি মানুষকে কেবল ভোগবাদ থেকে সরিয়ে মানবতার দিকে ফিরিয়ে আনে।
শিল্পকলাচর্চা কোনো দেশের কেবল সাংস্কৃতিক প্রকাশ নয়, এটি জাতির আত্মার প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে জানা যায় দেশের ইতিহাস, মানুষ, জীবনদর্শন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা। তাই একটি দেশ ও তার মানুষকে জানার শ্রেষ্ঠ পথ হলো শিল্পকলাচর্চা।
0
Updated: 4 weeks ago
শব্দের উৎপত্তির কারণ?
Created: 2 weeks ago
A
শব্দ তরঙ্গ
B
প্রতিধ্বনি
C
বস্তুর কম্পন
D
বস্তুর তাপমাত্রা
শব্দ মূলত কোনো বস্তু কম্পিত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। যখন কোনো বস্তু দোলায়মান বা কম্পিত হয়, তখন এটি চারপাশের বায়ুমণ্ডলে তরঙ্গের আকারে শক্তি প্রেরণ করে, যা আমরা শব্দ হিসেবে অনুভব করি। শব্দ নিজে কোনো পদার্থ নয়, বরং কম্পনের ফলে গঠিত কম্পন তরঙ্গ।
শব্দের উৎপত্তির মূল কারণ হলো কোনো বস্তুতে দ্রুত ও নিয়মিত কম্পন। উদাহরণস্বরূপ, বেল বা ঘড়ির ঘণ্টা ধাক্কা খেলে তার দোলন চারপাশের বায়ুকে কম্পিত করে। এই কম্পন বায়ুর কণাগুলোর মাধ্যমে একটি তরঙ্গ সৃষ্টি করে, যা আমাদের কানে পৌঁছালে আমরা শব্দ শোনি। বাণিজ্যিক বা যান্ত্রিক যন্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, এমনকি মানুষের কণ্ঠও কম্পনের মাধ্যমে শব্দ উৎপন্ন করে।
শব্দের কম্পন বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি এবং আম্প্লিটিউড বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ করে শব্দের উচ্চতা বা পিচ, আর আম্প্লিটিউড নির্ধারণ করে শব্দের তীব্রতা বা লাউডনেস। যে বস্তু দ্রুত কম্পিত হয়, তার উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি থাকে এবং এটি উঁচু সুরের শব্দ দেয়। অন্যদিকে বড় বা ধীর কম্পিত বস্তুর কম্পন থেকে গভীর বা নিচু সুরের শব্দ উৎপন্ন হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো শব্দের উৎপত্তির জন্য সরাসরি দায়ী নয়। শব্দ তরঙ্গ হলো শব্দের মাধ্যম বা প্রক্রিয়া, কিন্তু এটি উৎপত্তির কারণ নয়। প্রতিধ্বনি হলো শব্দের প্রতিফলন, যা শব্দ ইতিমধ্যে তৈরি হওয়ার পর ঘটে। বস্তুর তাপমাত্রা শব্দ উৎপন্ন করতে পারে না; এটি কেবল বায়ুর ঘনত্ব ও তরঙ্গের গতিতে প্রভাব ফেলে।
সুতরাং, শব্দের উৎপত্তি মূলত ঘটে বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে, যা বায়ু বা অন্য কোনো মাধ্যমের কণাগুলোকে কম্পিত করে এবং আমাদের কানে পৌঁছালে আমরা শব্দ শুনতে পাই। এই প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটি হলো কম্পন থেকে তরঙ্গের সৃষ্টি, যা শব্দকে জন্ম দেয় এবং পরিবহণ করে।
0
Updated: 2 weeks ago