বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন শহর কোনটি?
A
মহাস্থান
B
সোনারগাঁও
C
পুন্ড্র
D
ময়নামতি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ইতিহাসে পুন্ড্র (বা পুন্ড্রনগর) অন্যতম প্রাচীন শহর। এটি প্রায় ৫০০০ বছর আগে থেকে মানুষ বসবাসের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। শহরটি নদী, সমতল ভূমি এবং উর্বর মাটি থাকার কারণে প্রাচীন সভ্যতার জন্য আদর্শ স্থান ছিল।
-
অবস্থান: বর্তমান রাজশাহী ও নওগাঁ অঞ্চলে প্রাচীন পুন্ড্র।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: প্রাচীন পুন্ড্র নগরে প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজে মাটির আবরণ, চালের অবশিষ্টাংশ এবং প্রাচীন যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে।
-
সংস্কৃতি ও অর্থনীতি: প্রাচীনকাল থেকে এটি বাণিজ্য এবং কৃষি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
নদী সম্পর্ক: শহরটি তিস্তা ও পদ্মা নদীর নিকটে অবস্থিত হওয়ায় জলপথ ও কৃষি উন্নয়নে সহায়ক ছিল।
-
প্রমাণ: প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা এই শহরের প্রাচীনত্ব নিশ্চিত করেছে।
0
Updated: 10 hours ago
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দলীয় সংগঠনবিহীন
B
দলীয় কর্মসূচিবিহীন
C
নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
D
উপরের সবগুলো
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি জনসমষ্টি যারা সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে, মূলত তাদের সমজাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে।
এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা সাধারণত রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম, এবং অভিন্ন স্বার্থের কারণে তারা একত্রিত থাকে। সাংগঠনিক দিক থেকে এগুলো রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল হলেও, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সুবিধার জন্য প্রভাবিত করা।
• চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর লক্ষ্য হলো সরকারি নীতি প্রভাবিত করা।
• এটি এমন জনসমষ্টি যারা সমজাতীয় স্বার্থে উদ্বুদ্ধ এবং রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে।
• সদস্য সংখ্যা রাজনৈতিক দলের তুলনায় কম এবং সদস্যরা অভিন্ন স্বার্থের কারণে ঐক্যবদ্ধ থাকে।
• সাংগঠনিক দিক থেকে রাজনৈতিক দলের তুলনায় দুর্বল।
• প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারি সিদ্ধান্তকে নিজেদের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
• দলীয় সংগঠনবিহীন
• দলীয় কর্মসূচিবিহীন
• নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়া
• সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা
• সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়
• সমজাতীয় মনোভাব
• বেসরকারি সংগঠন
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সর্বাধিক জনশক্তি রপ্তানি করে কোন দেশে?
Created: 1 month ago
A
সংযুক্ত আরব আমিরাত
B
সৌদিআরব
C
কুয়েত
D
মালয়েশিয়া
২০২৩ সালে বাংলাদেশ রেকর্ডসংখ্যক জনশক্তি রপ্তানি করেছে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩% বেড়ে ২১.৯২ বিলিয়ন ডলার-এ পৌঁছেছে।
দেশভিত্তিক জনশক্তি রপ্তানি (২০২৩)
১. সৌদি আরব – ৮৫,৩১৯ জন
২. মালয়শিয়া – ৫৪,৩২৪ জন
৩. ওমান – ৩১,৯২৫ জন
দেশভিত্তিক প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স):
১. যুক্তরাষ্ট্র – ২৪৯৭.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
২. সৌদি আরব – ২৪৮০.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৩. সংযুক্ত আরব আমিরাত – ১৮৯৬.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
স্বাধীনতার পর অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বিদেশে কর্মী প্রেরণের সুযোগ তৈরি হয়।
১৯৭৬ সালে প্রথম ৬,০৭৮ জন কর্মী বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক অভিবাসন কার্যক্রম শুরু হয়।
0
Updated: 1 month ago
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ কত সালে জারি হয়?
Created: 1 month ago
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৯১ সালে
পারিবারিক আদালত অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫ হলো একটি আইনগত অধ্যাদেশ যা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আইনগত সমস্যার বিচার নিষ্পত্তি নিশ্চিত করে। এটি ১৯৮৫ সালে জারি করা হয়েছিল।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে পারিবারিক আদালতের বিচার্য বিষয়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনসমূহ সংকলিত হয়েছে।
-
পারিবারিক আদালতের আইনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আইন, হিন্দু আইন, দেওয়ানি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন এবং অন্যান্য পারিবারিক আইন সম্পর্কিত অধ্যাদেশ।
-
এটি রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং পার্বত্য জেলার বাইরে সারা দেশে প্রযোজ্য।
-
আইন অনুযায়ী, দেশের সকল মুন্সেফ আদালত পারিবারিক আদালত হিসেবে গণ্য হবে এবং মুন্সেফগণ এ আদালতের বিচারক হবেন।
-
পারিবারিক আদালত মূলত পাঁচটি বিষয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করে:
• বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce)
• দাম্পত্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার (Restoration of marital relationship)
• মোহরানা (Dowry/Mahr)
• ভরণপোষণ (Maintenance)
• অভিভাবকত্ব (Custody)
0
Updated: 1 month ago