সাইফুল্লাহ শব্দের অর্থ কি?
A
আল্লাহর নেয়ামত
B
আল্লাহর আলো
C
আল্লাহর তরবারি
D
আল্লাহর বন্ধু
উত্তরের বিবরণ
সাইফুল্লাহ একটি শক্তিশালী আরবি নাম, যার অর্থ হলো আল্লাহর তরবারি। এই নামটি সাহস, শক্তি এবং ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইসলামী ইতিহাসে এ নামের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এবং এটি সম্মান ও বীরত্ব প্রকাশ করে।
-
উৎপত্তি: শব্দটি আরবি "সাইফ" (তরবারি) এবং "আল্লাহ" (স্রষ্টা)—এই দুটির সমন্বয়ে গঠিত।
-
মূল অর্থ: আল্লাহর তরবারি, অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে শক্তি ও ন্যায় রক্ষার প্রতীক।
-
ইতিহাসগত গুরুত্ব: ইসলামের প্রখ্যাত সাহাবি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)-কে “সাইফুল্লাহ” উপাধি দেওয়া হয়েছিল তাঁর বীরত্ব, নেতৃত্ব ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ভূমিকার জন্য।
-
প্রতীকী মানে: সাহস, দৃঢ়তা, ন্যায় প্রতিষ্ঠার শক্তি এবং ঈমানের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা।
-
সংস্কৃতিগত ব্যবহার: মুসলিম পরিবারগুলো এই নামটি শিশুর জন্য রাখে বীরত্ব ও ভাল চরিত্রের অনুপ্রেরণায়।
-
ব্যক্তিত্বের প্রতিধ্বনি: নামটি সাধারণত দৃঢ় মানসিকতা, দায়িত্ববোধ, এবং সঠিকের পক্ষে দাঁড়ানোর গুণের প্রতিনিধিত্ব করে।
0
Updated: 10 hours ago
'মহেঞ্জোদারো' কথার অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
মরা মানুষের ঢিবি
B
মানুষের ঢিবি
C
সিন্দু-মানুষের ঢিবি
D
হরপ্পা সভ্যতা
মহেঞ্জোদারো শব্দটি সিন্ধু সভ্যতার একটি বিখ্যাত নগরকে নির্দেশ করে এবং এর অর্থ “মরা মানুষের ঢিবি”। এই নামটি পাওয়া যায় কারণ এখানে খননের সময় বহু মৃতদেহ, সমাধি এবং ধ্বংসাবশেষ মিলেছিল, যা প্রমাণ করে শহরটি দীর্ঘ সময় ধরে পরিত্যক্ত ছিল।
• মহেঞ্জোদারো বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন নগর, যা খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ২৫০০ সালের কাছাকাছি গড়ে ওঠে।
• এখানে ইটের ঘর, নিকাশী ব্যবস্থা, রাস্তার সুষম বিন্যাস প্রমাণ করে এটি একটি উন্নত নগর-সভ্যতা ছিল।
• নামটি স্থানীয় সিন্ধি ভাষা থেকে এসেছে—“মহেঞ্জো” মানে মৃত/মরা এবং “দারো” মানে ঢিবি।
0
Updated: 1 day ago
Meticulous শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
অলস
B
যত্নবান
C
অসাবধান
D
অবিশ্বাসী
Meticulous শব্দটি একটি ইংরেজি বিশেষণ (adjective), যার অর্থ অত্যন্ত যত্নবান, নিখুঁত বা সতর্কভাবে কাজ করা ব্যক্তি বা মনোভাব। এটি এমন মানুষকে বোঝায়, যিনি কোনো কাজ করার সময় প্রতিটি ক্ষুদ্র বিষয়েও নজর দেন এবং কোনো ভুল যেন না হয়, সে ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকেন। সাধারণভাবে, এটি careful, precise, বা thorough এর সমার্থক শব্দ। নিচে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও ব্যবহারিক দিক তুলে ধরা হলো।
• শব্দমূল ও উৎপত্তি:
Meticulous শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ meticulosus থেকে, যার অর্থ “ভীত” বা “অত্যধিক সতর্ক।” পরে এটি ইংরেজিতে রূপান্তরিত হয়ে এমন অর্থে ব্যবহৃত হয় যেখানে অতিরিক্ত যত্ন বা নিখুঁতভাবে কাজ করার ধারণা প্রকাশ পায়।
• বাংলা অর্থ:
এর সাধারণ বাংলা অর্থ যত্নবান, নিখুঁত, অত্যন্ত সতর্ক, অথবা খুঁতখুঁতে। এটি ইতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হলে নিখুঁততার প্রতি মনোযোগ বোঝায়, আর নেতিবাচক অর্থে অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে ভাব প্রকাশ করে।
• ব্যাকরণগত ভূমিকা:
Meticulous একটি adjective, যা সাধারণত ব্যক্তি বা কাজকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, a meticulous student (একজন যত্নবান ছাত্র), meticulous planning (যত্নসহকারে পরিকল্পনা)।
• সমার্থক শব্দ:
Careful, Thorough, Precise, Attentive, Diligent, Exacting.
• বিপরীতার্থক শব্দ:
Careless, Negligent, Reckless, Sloppy.
• উদাহরণসহ ব্যবহার:
-
He is a meticulous worker who checks every detail twice.
(সে একজন যত্নবান কর্মী, যে প্রতিটি বিস্তারিত বিষয় দুইবার পরীক্ষা করে।) -
The designer was meticulous about the color combinations.
(ডিজাইনার রঙের মিশ্রণ নিয়ে খুবই সতর্ক ছিলেন।)
• ব্যবহারিক তাৎপর্য:
একজন meticulous ব্যক্তি সাধারণত কাজের মানের প্রতি গভীর মনোযোগী হন। অফিস, গবেষণা, শিল্পকলা, বা শিক্ষাক্ষেত্রে এই গুণটি অত্যন্ত মূল্যবান। তবে যদি অতিরিক্তভাবে প্রকাশ পায়, তখন এটি কর্মদক্ষতায় ধীরগতি আনতে পারে।
• মনস্তাত্ত্বিক দিক:
মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে meticulous স্বভাবের মানুষরা perfectionist হয়ে থাকেন। তারা ভুলভ্রান্তি সহ্য করতে পারেন না এবং প্রতিটি কাজে নিখুঁত ফলাফল আশা করেন।
• প্রাত্যহিক জীবনে প্রভাব:
যত্নবান মনোভাব সফলতা এনে দেয় কারণ এটি কাজের গুণগত মান বজায় রাখে। এমন মানুষদের প্রতি সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতনদের আস্থা বেশি থাকে।
সুতরাং, Meticulous শব্দের অর্থ “যত্নবান” বা “নিখুঁতভাবে কাজ করা ব্যক্তি।” এটি এমন একটি গুণ, যা সততা, মনোযোগ ও দায়িত্ববোধের পরিচায়ক এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 1 week ago
রিদ্দা শব্দের অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
পরহেজগার
B
স্বধর্মত্যাগী
C
ঈমানদার
D
পথভ্রষ্ট
রিদ্দা শব্দটি একটি আরবি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ হলো ধর্মত্যাগ বা নিজ ধর্ম ত্যাগ করা। ইসলামী পরিভাষায় এটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে ইসলাম গ্রহণের পর পুনরায় ইসলাম ত্যাগ করে অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করে অথবা ইসলামবিরোধী কাজ বা বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে ঈমানের সীমা থেকে বের করে দেয়। তাই রিদ্দা অর্থে বোঝায় স্বধর্মত্যাগ বা ধর্মত্যাগের কর্ম।
রিদ্দা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
• শব্দমূল ও অর্থ:
‘রিদ্দা’ (ردّة) শব্দটি আরবি “রাদা ইয়ারুদ্দু” ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ফিরে যাওয়া বা প্রত্যাবর্তন করা। ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে এটি ব্যবহৃত হয় ধর্ম থেকে ফিরে যাওয়া বা ইসলাম ত্যাগ করার অর্থে।
• ধর্মীয় অর্থে ব্যবহার:
রিদ্দা শব্দটি বিশেষভাবে ইসলাম ধর্মে ব্যবহৃত হয় এমন ব্যক্তিদের জন্য, যারা ইসলাম গ্রহণের পর তা অস্বীকার করে। কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী এটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য।
• ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
নবী করিম (সা.)-এর ইন্তেকালের পর খলিফা আবু বকর (রা.)-এর সময় রিদ্দা যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কিছু গোত্র ইসলামী শাসন অস্বীকার করে এবং যাকাত দেওয়া বন্ধ করে দেয়, যা ইসলামী দৃষ্টিতে ধর্মত্যাগ বা বিদ্রোহের সমান মনে করা হয়। তাই এই যুদ্ধকে “রিদ্দা যুদ্ধ” বলা হয়।
• কুরআনের দৃষ্টিতে রিদ্দা:
কুরআনে রিদ্দা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। সূরা আল-বাকারা (২:২১৭)-এ বলা হয়েছে—
“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনার পর অবিশ্বাসে ফিরে যাবে এবং অবিশ্বাসের অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে দুনিয়া ও আখিরাতে।”
এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, ধর্মত্যাগ ইসলাম অনুযায়ী গুরুতর পাপ।
• হাদীসের ব্যাখ্যা:
রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগ করে এবং মুসলমানদের জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, তাকে হত্যা করা হোক।” (সহীহ বুখারী)
এ হাদীস ইসলামী রাষ্ট্রে ধর্মত্যাগকে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ হিসেবেও চিহ্নিত করে।
• রিদ্দার প্রকারভেদ:
১. বক্তব্যমূলক রিদ্দা: যখন কেউ মুখে ইসলাম অস্বীকার করে।
২. কর্মমূলক রিদ্দা: ইসলামের বিরোধী কাজ যেমন—কুরআন অবমাননা বা নবীকে অপমান করা।
৩. বিশ্বাসমূলক রিদ্দা: অন্তরে ইসলাম অস্বীকার করা বা আল্লাহকে অস্বীকার করা।
• সমাজে এর প্রভাব:
রিদ্দা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিশ্বাসের পরিবর্তন নয়; এটি মুসলিম সমাজের ঐক্য, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব ফেলে। ইসলামী ইতিহাসে রিদ্দা আন্দোলন রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি ছিল।
• বর্তমান যুগে এর প্রাসঙ্গিকতা:
আধুনিক যুগে ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত হলেও ইসলামিক দৃষ্টিতে রিদ্দা এখনো ঈমানের সীমারেখা নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুসলিম সমাজে এটি নৈতিক ও ধর্মীয় সচেতনতার আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হিসেবে বিদ্যমান।
সারাংশ:
রিদ্দা অর্থ হলো স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম ত্যাগ করা। ইসলামী দৃষ্টিতে এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যা শুধু বিশ্বাসের অবমাননা নয় বরং সমাজের ঐক্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। রিদ্দা ইতিহাস, ধর্মীয় আইন ও সমাজবিজ্ঞান—সব দিক থেকেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়।
0
Updated: 1 week ago