মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা নয় কোনটি?
A
নিষিদ্ধ
B
দুই সৈনিক
C
কবর
D
জীবন আমার সেন
উত্তরের বিবরণ
কবর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা নয়।
• এটি একটি প্রতীকধর্মী গল্প, যেখানে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও সামাজিক অস্থিরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি প্রেক্ষাপট নেই।
• গল্পের পরিবেশ ও ঘটনাবলি সাধারণ দুঃসময়ের প্রতিফলন, যুদ্ধভিত্তিক রচনার বৈশিষ্ট্য এতে পাওয়া যায় না।
• অন্যান্য রচনাগুলো—নিষিদ্ধ, দুই সৈনিক, জীবন আমার সেন—মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেখা।
0
Updated: 13 hours ago
'ষোল নয়, আমার মাতৃভাষার ষোলশত রূপ'- কে বলেছেন?
Created: 3 weeks ago
A
ড. নীলিমা ইব্রাহিম
B
ড. আহম্মদ শরীফ
C
মুনীর চৌধুরী
D
ড. মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম
উ. মুনীর চৌধুরী
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে মুনীর চৌধুরী ছিলেন গভীর চিন্তাশীল এক মনীষী। তাঁর বিখ্যাত উক্তি "ষোল নয়, আমার মাতৃভাষার ষোলশত রূপ" বাংলা ভাষার বহুমাত্রিকতা ও বৈচিত্র্যের প্রতীক। তিনি এই উক্তির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, বাংলা ভাষা কেবল একটি নির্দিষ্ট রূপে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর রয়েছে অসংখ্য ধ্বনি, উপভাষা ও প্রকাশভঙ্গি।
এই উক্তির মূল বক্তব্য হলো, মাতৃভাষা কোনো যান্ত্রিক বা একঘেয়ে মাধ্যম নয়। এটি মানুষের অনুভূতি, চিন্তা, সংস্কৃতি ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত ও প্রসারিত হয়। মুনীর চৌধুরীর মতে, বাংলা ভাষার সৌন্দর্য এর বৈচিত্র্যের মধ্যেই নিহিত।
ভাষার এই বৈচিত্র্য প্রকাশ পায় শব্দের উচ্চারণ, শব্দভাণ্ডার, বাক্যগঠন এবং আঞ্চলিক ব্যবহারে। গ্রামীণ ও শহুরে ভাষার পার্থক্য, সাহিত্যিক ও কথ্য ভাষার ভিন্নতা—সবই এই ভাষার প্রাণচাঞ্চল্যের প্রমাণ।
তিনি আরও মনে করতেন, ভাষার শক্তি তখনই প্রকৃত অর্থে প্রকাশ পায় যখন তা সব শ্রেণি ও অঞ্চলের মানুষের মুখে জীবন্ত থাকে। তাই তিনি বাংলা ভাষার উপভাষা, আঞ্চলিক রূপ এবং লোকজ উচ্চারণের মূল্যায়ন করেছেন। এই ধারণা বাংলা ভাষাকে কৃত্রিম সীমারেখা থেকে মুক্ত করে একটি বহুমাত্রিক মানবিক প্রকাশের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
মুনীর চৌধুরীর ভাষা-ভাবনায় দেখা যায় যে, তিনি বাংলা ভাষাকে কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখেছেন। তাঁর মতে, মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা মানে কেবল তার সাহিত্য পড়া নয়, বরং তার প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে শ্রদ্ধা করা।
এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাষার একরূপতার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। তিনি দেখিয়েছেন যে, একটি ভাষার শক্তি তার শব্দভাণ্ডারের আকারে নয়, বরং তার পরিবর্তন ও অভিযোজনক্ষমতায়। এভাবেই বাংলা ভাষা বিভিন্ন যুগে, অঞ্চলে এবং মানুষের অভিজ্ঞতায় নতুন নতুন রূপ ধারণ করেছে—যা একে জীবন্ত ও চিরন্তন করে তুলেছে।
অতএব, মুনীর চৌধুরীর উক্তিটি বাংলা ভাষার বৈচিত্র্য, গতিশীলতা ও সার্বজনীনতার এক অনন্য ঘোষণা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একটি ভাষার সৌন্দর্য তার বহুরূপীতায়, একরূপতায় নয়।
0
Updated: 3 weeks ago
’'জমিদার দর্পন" নাটকে ট্র্যাজেডির গভীরতা ফুটে উঠেনি কারণ-
Created: 1 month ago
A
কাহিনী একমুখি ও সংলাপ রিপোর্টধর্মী
B
চরিত্রের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব অনুপস্থিত
C
নাট্যকারের শৈল্পিক নিরাশক্তির অভাব
D
উপরের তিনটিই সত্যি
মুনীর চৌধুরির মতে, এই দর্পণে একটি বিশেষ প্রকৃতির বর্বরোচিত অত্যাচারের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে, যা সম্ভবত অবিকলভাবে প্রতিবর্ণিত হয়েছে। তবে, এটি শিল্পমাধ্যমে পুরোপুরি রূপান্তরিত বা নান্দনিকভাবে আবদ্ধ হয়নি।
0
Updated: 1 month ago
'মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।'- উক্তিটি কোন রচনার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
সাজাহান
B
কবর
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
নুরলদীনের সারাজীবন
রক্তাক্ত প্রান্তর ও মুনীর চৌধুরী
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
যদিও ঘটনাভিত্তিক, এটি একটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক, সরাসরি ঐতিহাসিক রচনা নয়।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।” — নবাব সুজাউদ্দৌলার মুখোমুখি বলা।
নাটকের প্রধান চরিত্র:
-
ইব্রাহিম কার্দি
-
জোহরা
-
হিরণবালা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক:
-
‘সাজাহান’ — দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক (১৯০৯)
-
‘কবর’ — মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা; ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত, ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
-
‘নুরলদীনের সারাজীবন’ — সৈয়দ শামসুল হক রচিত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক নাটক।
0
Updated: 1 month ago