গৌরচন্দ্রিকা বাগধারাটির অর্থ কী?
A
ভূমিকা
B
মূলবিষয়
C
সারাংশ
D
উপসংহার
উত্তরের বিবরণ
গৌরচন্দ্রিকা বাগধারাটির অর্থ হলো ভূমিকা, সূচনা, অনুবন্ধ, প্রবর্তনা, প্রারম্ভ।
-
এটি সাধারণত কোনো কাজ, আলোচনা বা লেখার প্রারম্ভিক অংশকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বাগধারাটি মূলত কিছু শুরু বা প্রবর্তনার সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সাহিত্য বা আলোচনায় প্রথম পরিচয় বা প্রারম্ভিক বিবরণ বোঝাতে এই শব্দটি প্রয়োগ করা হয়।
0
Updated: 14 hours ago
'লেজে খেলানো' বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
ভয়ংকর কিছু করা
B
সতর্কতার সাথে কাজ করা
C
গুরুত্বহীন কর্ম
D
বশীভূত করে রাখা
‘লেজে খেলানো’ বাংলা ভাষার একটি জনপ্রিয় বাগধারা, যা কথ্য ও সাহিত্যিক উভয় ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি দ্বারা বোঝানো হয় কাউকে নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করা বা নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে রাখা। অর্থাৎ যার প্রতি এই বাগধারা প্রয়োগ করা হয়, সে আর নিজের স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারে না—কারও বশে চলে। তাই সঠিক উত্তর হলো বশীভূত করে রাখা।
এই বাগধারার মূল ভাবার্থ আসে পশুর আচরণ থেকে। যেমন, কোনো প্রাণীকে বশ মানিয়ে নিলে সেটি মালিকের ইঙ্গিতেই কাজ করে, এমনকি লেজ নাড়িয়ে বা লেজে খেলা দেখিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে। এখান থেকেই মানবসম্পর্কে এই বাগধারার রূপক প্রয়োগ শুরু হয়। যখন বলা হয়, কেউ কাউকে ‘লেজে খেলাচ্ছে’, তখন বোঝানো হয় যে সে তাকে সম্পূর্ণ নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে এবং ইচ্ছামতো ব্যবহার করছে।
বাংলা ভাষার বাগধারাগুলো সাধারণত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, রূপক চিত্র ও সমাজবাস্তবতা থেকে গড়ে উঠেছে। ‘লেজে খেলানো’ তারই একটি উদাহরণ। এটি প্রাধান্য বা আধিপত্যের প্রতীক। যেখানে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অপর একজনকে নিজের সুবিধামতো কাজে লাগায়, সেখানে এই বাগধারা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়।
এই বাগধারাটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপট সাধারণত তিন ধরনের হতে পারে। প্রথমত, মানবসম্পর্কে প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে, যেমন—“রহিম এখন করিমকে লেজে খেলাচ্ছে” অর্থাৎ করিম এখন রহিমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। দ্বিতীয়ত, কর্মক্ষেত্রে বা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের বর্ণনায়, যেখানে একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি তার অধীনদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তৃতীয়ত, রূপকভাবে কোনো পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে আনার বর্ণনায়, যেমন—“সে পুরো বিষয়টিকে লেজে খেলিয়েছে” মানে ঘটনাটি তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
এই বাগধারার প্রতিশব্দ বা অনুরূপ অর্থবোধক অন্যান্য বাংলা বাগধারার মধ্যে রয়েছে—“বশে আনা”, “আঙুলের ডগায় নাচানো”, “নিয়ন্ত্রণে রাখা”, “ইচ্ছামতো চালানো” ইত্যাদি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ভাব এক—অন্যের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া।
সাহিত্যিক উদাহরণে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ লেখকরাও এমন বাগধারা ব্যবহার করেছেন মানবসম্পর্কের জটিলতা বোঝাতে। তাদের লেখায় ‘লেজে খেলানো’ শুধু প্রভুত্বের অর্থেই নয়, কখনো কখনো প্রলোভন, কৌশল বা আবেগের প্রভাবেও ব্যবহৃত হয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ‘লেজে খেলানো’ বাগধারাটি এমন একটি প্রকাশভঙ্গি যা আধিপত্য, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ধারণাকে একসঙ্গে বহন করে। এটি ব্যবহারে বক্তার উদ্দেশ্য হয় অন্যের উপর নিজের ক্ষমতার ইঙ্গিত দেওয়া। সেই হিসেবে, এই বাগধারার যথাযথ অর্থ ‘বশীভূত করে রাখা’—যেখানে নিয়ন্ত্রক শক্তি নিজের কর্তৃত্ব কৌশলে প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 2 weeks ago
‘পুকুর চুরি’ বাগধারাটির অর্থ-
Created: 2 months ago
A
অবাস্তব বস্তু
B
বড়ো ধরনের চুরি
C
পুকুর চুরি করা
D
লোপাট
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বাগধারার অর্থ - অবাস্তব বস্তু, পুকুর চুরি বাগধারার অর্থ - বেপরোয়া চুরি বা বড় ধরনের চুরি।
0
Updated: 2 months ago
‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
অলস ব্যক্তি
B
কপট ভদ্রতা
C
তোষামুদে
D
ভয় দেখানো
‘ঢাকের কাঠি’ একটি পরিচিত বাংলা বাগধারা, যা সাধারণত এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে সব সময় বাহবা দেয়, খুশি করার চেষ্টা করে এবং প্রকৃত অবস্থার চেয়ে বেশি বাড়িয়ে কথা বলে। অর্থাৎ, এই বাগধারা তোষামুদে বা তোষামোদকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। বাংলা ভাষায় দীর্ঘদিন ধরে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে এবং যোগাযোগে একধরনের আচরণগত দুর্বলতাকে সহজভাবে প্রকাশ করে।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
-
‘ঢাকের কাঠি’ এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে সুযোগ পেলেই প্রশংসা করে বা খুশি করার চেষ্টা করে।
-
এই বাগধারা সাধারণত নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়, কারণ তোষামুদে ব্যক্তি সত্যকে লুকিয়ে কৃত্রিম প্রশংসা করেন।
-
ঢাক বাজানোর ক্ষেত্রে কাঠি যেমন ঢাকের সুরের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে, তেমনি তোষামুদে ব্যক্তিও কথার বাহার দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন—এ থেকেই রূপকার্থে বাগধারার জন্ম।
-
সামাজিক ও সাহিত্যিক উভয় প্রেক্ষাপটেই বাগধারাটি ব্যবহৃত হয়, বিশেষত এমন কাউকে বোঝাতে, যে নিজের স্বার্থে কাউকে অতিরিক্ত প্রশংসা করে।
-
বাংলা বাগধারা সংগ্রহ ও শব্দার্থে এই অর্থটি সর্বজনস্বীকৃত এবং বিভিন্ন অভিধানে একই ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
0
Updated: 3 days ago