নয়নচারা কোন শ্রেণির রচনা?
A
গল্প
B
উপন্যাস
C
কাব্য
D
নাটক
উত্তরের বিবরণ
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন গল্প, নাটক ও উপন্যাস—এই তিন ধারায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে।
• তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে আছে নয়নচারা, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প।
• নাট্যরচনায় তিনি লিখেছেন বহিপীর, সুড়ঙ্গ, তরঙ্গভঙ্গ, উজানে মৃত্যু।
• উপন্যাসের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা লালসালু, চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো, দি আগলি এশিয়ান।
• তাঁর রচনাগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য সমাজবাস্তবতা, মানবমনের সংকট এবং ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতির গভীর পর্যবেক্ষণ।
• তাঁর উপন্যাসে চরিত্রচিত্রণ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং পরিবেশ নির্মাণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
• বাংলা আধুনিক কথাসাহিত্যে তিনি এক স্বতন্ত্র ভাষাশৈলী প্রতিষ্ঠা করেন, যা সংযমী ভাষা ও গভীর ভাবনার মিশ্রণ।
0
Updated: 14 hours ago
রুদ্রমঙ্গল কী ধরনের রচনা?
Created: 1 day ago
A
উপন্যাস
B
কাব্য
C
নাটক
D
প্রবন্ধ
রুদ্রমঙ্গল একটি প্রবন্ধধর্মী রচনা, যেখানে সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবজীবনের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণধর্মীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রবন্ধের স্বভাবসুলভ যুক্তি, ব্যাখ্যা ও মনন এই রচনায় সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
• রুদ্রমঙ্গল–এ ভাবনার গঠন সুসংহত, যেখানে লেখক একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে বিশ্লেষণ করে পাঠকের সামনে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন।
• ভাষা প্রাঞ্জল হলেও এতে যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যা, উদাহরণ ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে, যা প্রবন্ধধর্মী রচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
• বিষয়বস্তুর উপস্থাপনায় সরল বর্ণনার বদলে মতামত ও বিশ্লেষণকে কেন্দ্র করা হয়েছে, যা এটিকে গল্প বা কবিতা থেকে আলাদা করে।
• সমাজ ও মানুষের মনন-সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি এই লেখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা প্রবন্ধের মূলধারা অনুসরণ করে।
• লেখক পাঠকের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে চেয়েছেন, অর্থাৎ রচনা শুধুমাত্র বর্ণনামূলক নয় বরং ধারনা-নির্ভর, যা প্রবন্ধের অন্যতম লক্ষণ।
• সমসাময়িক প্রেক্ষাপট, বাস্তবতা ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে রুদ্রমঙ্গলকে একটি পরিপূর্ণ প্রবন্ধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়?
Created: 5 days ago
A
ছায়ানট
B
মধুমালা
C
বিলাসী
D
ক ও খ উভয়ই
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। তবে সবই তার লেখা নয়। দেওয়া প্রশ্নে মূল লক্ষ্য হলো তার রচনাসমূহ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা।
• ছায়ানট এবং মধুমালা দুটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়, কারণ এগুলো অন্যান্য সাহিত্যিকের কাব্যসংগ্রহ।
• বিলাসী হলো নজরুলের লেখা, যা তার সাহিত্যের মধ্যে বিশেষ স্থানের অধিকারী।
• সঠিক উত্তর “ক ও খ উভয়ই”, কারণ এই দুটি রচনা তার নয়।
• নজরুলের রচনায় সাধারণত দেশপ্রেম, মানবিকতা ও বিপ্লবী ভাবনা প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়।
• সাহিত্যিক সঠিকভাবে চিহ্নিত করা শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্যের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
0
Updated: 5 days ago
'অনল-প্রবাহ' রচনা করেন-
Created: 3 months ago
A
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B
মোজাম্মেল হক
C
এয়াকুব আলী চৌধুরী
D
মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
অনল প্রবাহ কাব্য
• মুসলিম জাগরণের উদ্দেশ্যে লেখা কাব্য ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০০ সালে।
• এই কাব্যে বলা হয়েছে, যেগুলো অতীতে চলে গেছে সেগুলো নিয়ে শোক করাটা বৃথা, বরং আমাদের জাতির হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এখানে মুসলমানদের দুরবস্থা এবং ইংরেজদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
• ‘অনল প্রবাহ’-এর কবিতাগুলোতে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভারত ভিক্ষা’ ও ‘ভারত বিলাপ’ কবিতার প্রভাব দেখা যায়।
• ১৯০৮ সালে (১৩১৫ বঙ্গাব্দে) এই কাব্যের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ পায়, যা প্রথম সংস্করণ থেকে বড় ও পরিবর্তিত। প্রথম সংস্করণে মাত্র ৯টি কবিতা ছিল।
• প্রথম সংস্করণের কবিতার নামগুলো হলো: অনল-প্রবাহ, তুর্যধ্বনি, মূর্ছনা, বীর-পূজা, ছাত্রদের প্রতি অভিভাষণ, মরক্কো-সঙ্কট, আমীর-আগমন, দীপনা, আমীর-অভ্যর্থনা।
• বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের পর তখনকার বাংলার সরকার এটি বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
• সিরাজী তখন ফরাসি শাসিত চন্দননগরে গিয়ে ৮ মাস আত্মগোপন করেন। পরে আত্মসমর্পণ করলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অন্যান্য রচনা
-
উপন্যাস: রায়নন্দিনী, তারাবাঈ, ফিরোজা বেগম
-
প্রবন্ধ: স্বজাতি প্রেম, তুর্কি নারী জীবন, স্পেনীয় মুসলিম সভ্যতা
-
কাব্যগ্রন্থ: অনল প্রবাহ, উচ্ছ্বাস, উদ্বোধন, স্পেন বিজয় কাব্য
-
ভ্রমণ কাহিনী: তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago