বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্য চর্চা শুরু হয় কোন পত্রিকার মাধ্যমে?
A
লাঙল
B
সুবজপত্র
C
সংবাদ প্রভাকর
D
বঙ্গদর্শন
উত্তরের বিবরণ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৫২ সালে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
– তাঁর সাহিত্যিক কর্মধারার সূচনা মূলত কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে হয়।
– তিনি বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃত হিসেবে স্বীকৃত।
– ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে।
– তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা তৎকালীন বাঙালি সমাজে সাহিত্যিক ও বৌদ্ধিক জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 14 hours ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
স্বর্ণলতা
B
মৃণালিনী
C
মালঞ্চ
D
শেষের কবিতা
‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯) হলো ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলাদেশ ও তুর্কি আক্রমণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত একটি উপন্যাস। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেশাত্মবোধ এবং ইতিহাস-জিজ্ঞাসার প্রথম প্রকাশ। এখানে ঐতিহাসিক ঘটনার পাশাপাশি হেমচন্দ্র-মৃণালিনী এবং পশুপতি-মনোরমার প্রেমকাহিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। ইতিহাসের উপাদান থাকলেও মূলত জীবন ও মানবিক আবেগকে মুখ্য করে উপন্যাসটি নির্মিত হয়েছে।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক।
-
তিনি ১৮৩৮ সালে চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে তাঁকে অভিহিত করা হয়।
-
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রাজমোহনস ওয়াইফ’ (ইংরেজি ভাষায় রচিত)।
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৫ সালে।
-
দ্বিতীয় বাংলা উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য ত্রয়ী উপন্যাস হলো আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী এবং সীতারাম।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস: কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ।
-
তিনি ১৮৯৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস: মালঞ্চ, শেষের কবিতা।
-
তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস: স্বর্ণলতা।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা ‘আনন্দমঠ’ থেকেই বিখ্যাত গান ‘বন্দেমাতরম’ নেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ভারতের জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক, যা বাংলা সাহিত্য ও সমাজচিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসটি কোন ধরনের?
Created: 1 month ago
A
ঐতিহাসিক উপন্যাস
B
সামাজিক উপন্যাস
C
ধর্মীয় উপন্যাস
D
রাজনৈতিক উপন্যাস
‘বিষবৃক্ষ’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এক অনন্য সামাজিক উপন্যাস, যা বাংলা সাহিত্যে বাস্তববাদী চিন্তাধারার এক শক্তিশালী দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। এটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে, এবং এতে উনিশ শতকের বাঙালি সমাজজীবনের নৈতিক দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের জটিলতা ও নারী-পুরুষের মানসিক সংঘাত গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
‘বিষবৃক্ষ’ (১৮৭৩) একটি সামাজিক উপন্যাস, যেখানে সমাজে নারী ও পুরুষের নৈতিক মূল্যবোধ, কামনা-বাসনা ও কর্তব্যবোধের সংঘাত ফুটে উঠেছে।
-
প্রধান বিষয়বস্তু: বিধবা বিবাহ, পুরুষের একাধিক বিবাহ, রূপতৃষ্ণা, নৈতিক দ্বন্দ্ব, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারচেতনা।
-
উপন্যাসে লেখক সমাজে নারীর অবস্থা, বিশেষত বাল্যবিধবা কুন্দনন্দিনীর জীবনসংগ্রাম ও প্রেমকামনার মাধ্যমে তৎকালীন সামাজিক বাস্তবতাকে প্রকাশ করেছেন।
-
কুন্দনন্দিনীর চরিত্রে একদিকে প্রেম ও মানবিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ, অন্যদিকে সমাজের নিষ্ঠুর সীমাবদ্ধতার প্রতিফলন দেখা যায়।
-
বঙ্কিমচন্দ্র বিশ্বাস করতেন, কুন্দনন্দিনীর কাহিনি পাঠ মানুষকে নৈতিকতার দিকে ফিরিয়ে আনবে, অর্থাৎ প্রেম ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সমাজে সুষমা ফিরবে।
-
উপন্যাসটির চরিত্রায়ণ, সংলাপ, ঘটনার বিন্যাস এবং সামাজিক সমস্যার বাস্তব রূপায়ণ একে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামাজিক উপন্যাসের মর্যাদা দিয়েছে।
-
সমাজে নিষিদ্ধ প্রেম ও নারীর আত্মমর্যাদার প্রশ্নে ‘বিষবৃক্ষ’ ছিল এক বিপ্লবাত্মক সৃষ্টি, যা পাঠককে ভাবতে শেখায় এবং সমাজের নৈতিক বোধকে নাড়া দেয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–১৮৯৪):
তিনি ছিলেন বাংলা উপন্যাসের জনক, যিনি বাংলা সাহিত্যে আধুনিক উপন্যাসের ধারা সূচনা করেন। তাঁর উপন্যাসে সমাজ, ধর্ম, ইতিহাস ও মানবমনের গভীর বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।
বঙ্কিমচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
দুর্গেশনন্দিনী
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
রাজসিংহ
-
সীতারাম
-
দেবী চৌধুরাণী
-
আনন্দমঠ
-
বিষবৃক্ষ
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
‘বিষবৃক্ষ’ শুধু বঙ্কিমচন্দ্রের সৃজনশীলতার এক নিদর্শন নয়, বরং এটি বাংলা সমাজের মানসিক ও নৈতিক রূপান্তরের এক দলিল, যা আধুনিক সমাজচিন্তার সূচনা ঘটায়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 2 months ago
A
মনোরমা
B
কাপালিক
C
হেমচন্দ্র
D
ভ্রমর
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
উপন্যাসটিকে রোমান্স বলা যায়, কারণ এতে নিগূঢ় ভাবসঙ্গতি প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কাহিনী গড়ে উঠেছে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলার চারপাশে।
-
মূল ঘটনা: সামাজিক সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিতা নারীর নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে এবং কপালকুণ্ডলার সমাজবদ্ধনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
-
কাহিনিতে থাকা রহস্য উদ্ঘাটনই উপন্যাসের প্রধান বিষয়।
-
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়কার আগ্রার নগর ও স্থাপত্য, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্র।
-
প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময়তা, কপালকুণ্ডলার চরিত্র এবং কাহিনির ট্র্যাজিক পরিণতি এই তিন কারণে উপন্যাসটি বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম স্মরণীয় রচনা।
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
অন্য উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
-
কৃষ্ণকান্তের উইল → রোহিনী
-
মৃণালিনী → হেমচন্দ্র, মনোরমা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago