'পোড়ামাটি নীতি' কোন বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য ছিল?
A
ভারত সেনাবাহিনী
B
পাক-ভারত বাহিনী
C
পাকিস্তান সেনাবাহিনী
D
পাকিস্তান বিমানবাহিনী
উত্তরের বিবরণ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশে যে দমন-নীতি গ্রহণ করে তা ছিল ‘পোড়ামাটি নীতি’, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রতিরোধ দমন, জনগণকে আতঙ্কিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে দুর্বল করা। এই নীতির ফলে অসংখ্য গ্রাম ধ্বংস, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
-
এই নীতিতে সাধারণ মানুষ, বেসামরিক স্থাপনা ও ঘরবাড়িকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়।
-
বিপুলসংখ্যক নারী নির্যাতনের শিকার হন এবং সম্পদ ও খাদ্যসামগ্রী লুট করা হয়।
-
এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালানো হয়।
-
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই নীতিকে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে।
-
এই নির্যাতন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিকে আরও তীব্র করে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়াতে সহায়তা করে।
0
Updated: 6 hours ago
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
Created: 5 days ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অস্থায়ী সরকার, যা স্বাধীনতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করে।
মূল কাঠামোগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সে সময় পাকিস্তানে কারারুদ্ধ ছিলেন।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন পরিচালনা ও ভারতের সহযোগিতা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন।
-
এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠনের সূচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 5 days ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 4 days ago
A
১০ টি
B
১২ টি
C
১৩ টি
D
১১ টি
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠিত যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল এবং যুদ্ধের প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা, কমান্ডার এবং যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল নৌ সেক্টর, যা সমুদ্র ও নদীপথে অপারেশন পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
• ১০ নং সেক্টরে কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়নি।
• এই সেক্টরের কমান্ড যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতো, যা এটিকে অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় ব্যতিক্রমী করে।
• এই সেক্টরের প্রধান কার্যক্রম ছিল নৌ যুদ্ধ, সমুদ্রপথ অবরোধ, পাকিস্তানি জাহাজ আক্রমণ এবং কৌশলগত রুট নিয়ন্ত্রণ।
• নৌ কমান্ডোরা এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
0
Updated: 4 days ago
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কোথায় আত্মসমর্পণ করেন?
Created: 1 month ago
A
পল্টনে
B
টিএসসি
C
ঢাকা সেনানিবাসে
D
রেসকোর্স ময়দানে
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। যৌথ বাহিনীর কঠোর আক্রমণের পর পাকিস্তানি সেনারা অবশেষে আত্মসমর্পণে সম্মত হন।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার প্রধান লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করেন।
-
পাকিস্তানের পক্ষে নিয়াজী এবং যৌথ বাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা স্বাক্ষর করেন।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago