জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন তারিখে ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন?
A
১৯৫২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর
B
১৯৬৫ সালের ২৩ জুন
C
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি
D
১৯৪৮ সালের ২৩ জুন
উত্তরের বিবরণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাঙালির স্বাধীনতার রূপরেখা হিসেবে পরিচিত হয়। এই কর্মসূচি কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করে এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে নতুন মাত্রা আনে।
• ছয় দফার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
• এতে মুদ্রা ব্যবস্থা, কর নীতি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে পৃথক ক্ষমতার দাবি ছিল।
• ছয় দফা আন্দোলনের ফলে গণজাগরণ সৃষ্টি হয় এবং পাকিস্তান সরকার এটিকে বিদ্রোহী ঘোষণা করলেও এটি পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
0
Updated: 6 hours ago
কত সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'জুলিও কুরি' পদকে ভূষিত করা হয়?
Created: 3 months ago
A
১৯৬৮
B
১৯৭১
C
১৯৭২
D
১৯৭৩
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 3 months ago
১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের কোন পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা প্রদান করেচিলেন?
Created: 7 hours ago
A
নিরাপত্তা পরিষদে
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে
C
অছি পরিষদে
D
সাধারণ পরিষদে
৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন, যা ছিল জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথম কোনো বাংলা ভাষণ। এটি বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধীন সত্ত্বাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি দেয় এবং ভাষাগত মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
এই ভাষণ বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বৈশ্বিক পরিসরে পরিচিত করে এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
-
বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে মানবাধিকার, শান্তি, বৈশ্বিক ন্যায়বিচার, সাম্য ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার তুলে ধরা হয়।
-
তিনি তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা ও নিরস্ত্রীকরণের ডাক দেন।
-
এই ভাষণ বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও জাতিসংঘে বহুভাষার স্বীকৃতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 7 hours ago