এশিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম কী?
A
ইয়াংসিকিয়াং
B
ইউফ্রেটিস
C
হোয়াংহো
D
গঙ্গা
উত্তরের বিবরণ
ইয়াংসিকিয়াং নদী এশিয়ার দীর্ঘতম নদী হিসেবে পরিচিত এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নদী হিসেবে স্বীকৃত। এটি মূলত চীনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে এবং পরিবেশ, কৃষি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৬,৩০০ কিলোমিটার, যা এশিয়ার অন্য যেকোনো নদীর তুলনায় বেশি দীর্ঘ।
-
বিশ্বের নদীগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র নাইল এবং আমাজন নদী ইয়াংসিকিয়াংয়ের চেয়ে দীর্ঘ।
-
ইউফ্রেটিস মধ্যপ্রাচ্যের একটি ঐতিহাসিক নদী হলেও এর দৈর্ঘ্য কম।
-
হোয়াংহো (Yellow River) ও গঙ্গা নদী গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইয়াংসিকিয়াংয়ের তুলনায় ছোট।
-
এটি পরিবহন, কৃষি সেচ এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 7 hours ago
‘মওলানা ভাসানী সেতু’ কোন নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
বুড়িগঙ্গা
B
তিস্তা
C
মহানন্দা
D
শীতলক্ষ্যা
মওলানা ভাসানী সেতু: তিস্তা নদীর উপর এক নব নির্মিত স্থাপনা
তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। এটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেতুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
দৈর্ঘ্য: ১৪৯০ মিটার
প্রস্থ: ৯.৬০ মিটার
পিলার সংখ্যা: মোট ৩০টি
নির্মাণ ও অর্থায়ন:
সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়েছে।
নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেছে এলজিইডি (Local Government Engineering Department)।
নির্মাণ করেছে একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
উদ্বোধন:
সেতুটি ২০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 6 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 6 months ago
ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা কোন নদী?
Created: 2 days ago
A
পদ্মা
B
যমুনা
C
সুরমা
D
মেঘনা
এই তথ্যটি ব্রহ্মপুত্র নদ এবং তার ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেয়। ব্রহ্মপুত্র বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদী এবং এটি তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারত ও বাংলাদেশ হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। নদীর গতিপথ, নামে পরিবর্তন এবং ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট নতুন নদী–ধারা এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
• ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে উৎপন্ন
• নদীটি পূর্বে লৌহিত্য নামে পরিচিত ছিল
• বাংলাদেশে এটি কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে প্রবেশ করে
• ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা নদী যমুনা, যার পুরোনো নাম ছিল জোনাই
• ১৭৮৭ সালের বড় ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহপথ পরিবর্তিত হয় এবং এর ফলে যমুনা নদীর ধারা শক্তিশালী হয়
• বাংলাদেশের দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) অঞ্চলে যমুনা নদী ব্রহ্মপুত্রের পতিত মুখ হিসেবে পরিচিত
0
Updated: 2 days ago