'রাইফেল রোটি আওরাত' কার রচনা?
A
আকবর হোসেন
B
আনিসুজ্জামান
C
আনোয়ার পাশা
D
আতাউর রহমান খান
উত্তরের বিবরণ
রাইফেল রোটি আওরাত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যের দলিল, যার লেখক আনোয়ার পাশা। এটিতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন মানবিক বিপর্যয় ও সমাজবাস্তবতার নির্মম চিত্র ফুটে ওঠে।
• আনোয়ার পাশা নিজে যুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ায় তাঁর লেখায় সময়ের ভয়াবহতা খুব বাস্তবভাবে ধরা পড়ে।
• গ্রন্থটিতে যুদ্ধের মধ্যে সাধারণ মানুষের ভয়, ক্ষুধা, নির্যাতন, টিকে থাকার সংগ্রাম এবং নারীর ওপর সংঘটিত সহিংসতার মতো বিষয়গুলো তীক্ষ্ণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
• ভাষাশৈলী অত্যন্ত স্বচ্ছ, কিন্তু আবেগে ভরপুর; যা পাঠককে যুদ্ধক্ষেত্রের মানসিক চাপ ও আতঙ্ক অনুভব করায়।
• চরিত্রগুলো প্রতীকী হলেও বাস্তবতার ভিত্তিতে নির্মিত, ফলে যুদ্ধকালীন সমাজের সামগ্রিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
• আনোয়ার পাশা এই রচনার মাধ্যমে শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সংবেদনশীল সাক্ষ্য রেখে গেছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মূল্যবান দলিল হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 8 hours ago
'আধ্যাত্মিকা' উপন্যাসের লেখক কে?
Created: 3 months ago
A
প্যারীচাঁদ মিত্র
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
দামোদর বন্দ্যোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাস এবং প্যারীচাঁদ মিত্র
‘আধ্যাত্মিকা’ একটি বাংলা উপন্যাস, যা লিখেছেন প্যারীচাঁদ মিত্র। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৮৮০ সালে।
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
প্যারীচাঁদ মিত্র ছিলেন একজন লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিপ্রেমী এবং ব্যবসায়ী।
-
তিনি ১৮১৪ সালের ২২ জুলাই, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’।
-
১৮২৭ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন এবং বিখ্যাত শিক্ষক হেনরি ডিরোজিওর অধীনে পড়াশোনা করেন।
-
১৮৩৬ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরির ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান হিসেবে।
সাহিত্যিক অবদান:
-
প্যারীচাঁদ মিত্রকে বাংলা উপন্যাসের পথিকৃৎ বলা হয়।
-
তাঁর সবচেয়ে পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হলো ‘আলালের ঘরের দুলাল’, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত।
-
তিনি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে নারীশিক্ষা ও নারীদের উপযোগী সাহিত্য তৈরিতে।
-
তাঁর উদ্যোগেই প্রথম বাংলা মাসিক পত্রিকা — ‘মাসিক পত্রিকা’ প্রকাশিত হয়, যা অল্পশিক্ষিতা নারীদের জন্য লেখা হতো। প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৬ আগস্ট ১৮৫৪ সালে।
তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ বাংলা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
আলালের ঘরের দুলাল
-
মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায়
-
রামারঞ্জিকা
-
কৃষি পাঠ
-
গীতাঙ্কু
-
যৎকিঞ্চিৎ
-
অভেদী
-
ডেভিড হেয়ারের জীবন চরিত
-
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা
-
বামাতোষিণী
উৎস: আলালের ঘরের দুলাল উপন্যাসের লেখক পরিচিতি ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'অনল প্রবাহ' রচনা করেন-
Created: 5 months ago
A
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
B
মোজাম্মেল হক
C
এয়াকুব আলী চৌধুরী
D
মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
‘অনল প্রবাহ’ কাব্যগ্রন্থ:
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত ‘অনল প্রবাহ’ একটি মুসলিম জাগরণমূলক কাব্যগ্রন্থ, যা প্রকাশিত হয় ১৯০০ সালে। এতে মুসলমানদের অবস্থা ও অধঃপতনের জন্য ইংরেজ শাসকদের প্রতি কবির গভীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে। কাব্যের মূল বাণী— “যা চলে গেছে তার জন্য শোক বৃথা, বরং জাতির হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রচেষ্টাই মুখ্য”— জাতীয়তাবাদী চেতনার পরিচয় বহন করে।
এই কাব্যে হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভারত ভিক্ষা’ ও ‘ভারত বিলাপ’ কবিতার স্পষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
প্রথম সংস্করণে মোট নয়টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল—
১. অনল-প্রবাহ
২. তুর্যধ্বনি
৩. মূর্ছনা
৪. বীর-পূজা
৫. অভিভাষণ : ছাত্রগণের প্রতি
৬. মরক্কো-সঙ্কটে
৭. আমীর-আগমনে
৮. দীপনা
৯. আমীর-অভ্যর্থনা
১৩১৫ বঙ্গাব্দে (১৯০৮ সালে) বইটির পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ সরকার তা বাজেয়াপ্ত করে এবং সিরাজীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি তখন ফরাসি অধিকৃত চন্দননগরে আশ্রয় নেন এবং প্রায় আট মাস আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে আত্মসমর্পণ করলে ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
সাহিত্যকর্ম:
উপন্যাস:
-
রায়নন্দিনী
-
তারাবাঈ
-
ফিরোজা বেগম
প্রবন্ধ:
-
স্বজাতি প্রেম
-
তুর্কি নারী জীবন
-
স্পেনীয় মুসলমান সভ্যতা
কাব্যগ্রন্থ:
-
অনল প্রবাহ
-
উচ্ছ্বাস
-
উদ্বোধন
-
স্পেন বিজয় কাব্য
ভ্রমণ কাহিনী:
-
তুরস্ক ভ্রমণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক কে?
Created: 4 months ago
A
নীহাররঞ্জন রায়
B
আর সি মজুমদার
C
অধ্যাপক আব্দুল করিম
D
অধ্যাপক সুনীতিকুমার সেন
• 'বাঙ্গালীর ইতিহাস' বইটির লেখক - নীহাররঞ্জন রায়।
নীহাররঞ্জন রায়:
- তিনি ভারতের শেষ বহুশাস্ত্রজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন।
- মানব অভিজ্ঞতার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিকগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে নীহাররঞ্জন রায় এর প্রয়াস পরিণতি লাভ করেছে তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
- Maurya and Sunga Art,
- বাঙ্গালীর ইতিহাস,
- Nationalism in India,
- Idea and Image of Indian Art.
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হচ্ছে:
- Mughal Court Painting,
- The Sikh Gurus and the Sikh Society,
- Dutch Activities in the East,
- An Approach to Indian Art.
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 4 months ago