হরতাল শব্দটি কোন ভাষার?
A
ওলন্দাজ
B
হিন্দি
C
তুর্কি
D
গুজরাটি
উত্তরের বিবরণ
হরতাল শব্দটি মূলত গুজরাটি ভাষা থেকে আগত, যা পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
• গুজরাটি ভাষায় হার অর্থ বিরতি বা স্থগিতকরণ এবং তাল অর্থ কাজ বা কার্যকলাপ; এ দুটি মিলেই শব্দটির মূলধারণা তৈরি হয়েছে।
• শব্দটির আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবহার প্রথম জনপ্রিয় হয় মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সময়, যেখানে গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।
• পরবর্তী সময়ে উপমহাদেশজুড়ে রাজনৈতিক প্রতিবাদ, দাবিদাওয়া ও গণআন্দোলনের ক্ষেত্রে হরতাল একটি প্রচলিত কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
• বাংলাদেশে স্বাধীনতার আগে থেকেই এবং স্বাধীনতার পরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হরতালকে গণআন্দোলনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে, ফলে শব্দটি বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
• বর্তমানে শব্দটি বাংলা ভাষার সাধারণ শব্দভাণ্ডারের অংশ হলেও এর মূল উৎস গুজরাটি ভাষাই।
0
Updated: 8 hours ago
বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
দীনেশচন্দ্র সেন
C
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
D
সুকুমার সেন
'বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫) গ্রন্থের রচয়িতা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ । তাঁর ভাষা বিষয়ক অন্যান্য গ্রন্থসমূহ হলো - 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান '(১৯৬৫), 'ভাষা ও সাহিত্য' (১৯৩১), 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (১ম খণ্ড - ১৯৫৩, ২য় খণ্ড - ১৯৬৫), 'বাংলা ব্যাকরণ' (১৯৫৮) ।
0
Updated: 3 months ago
'স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়' চরণটি কার রচনা?
Created: 5 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
B
মধুসূদন দত্ত
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’— এই অমর পঙ্ক্তিটি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দেশাত্মবোধক কাব্য পদ্মিনী উপাখ্যান থেকে নেওয়া। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাথমিক দেশপ্রেমবোধক কবিতা, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবীদের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছিল।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক। তাঁর জন্ম হয় পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাকুলিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা ঈশ্বরগুপ্ত সম্পাদিত সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যিক যাত্রার প্রধান ও প্রথম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি পদ্মিনী উপাখ্যান, যা ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যটি টডের Annals and Antiquities of Rajasthan গ্রন্থের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে রচিত একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক কবিতা। ইংরেজি কাব্যরীতির প্রভাবে গড়ে ওঠা এই কাব্যে রঙ্গলাল স্বাধীনতার প্রতি তাঁর গভীর আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন:
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্বশৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”
এই পঙ্ক্তিগুলি পরবর্তীতে বিপ্লবীদের মধ্যে চেতনার সঞ্চার করে।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য হলো:
-
কর্মদেবী
-
শূরসুন্দরী
-
কাঞ্চী কাবেরী
এছাড়াও, তিনি কালিদাসের ঋতুসংহার ও কুমারসম্ভব-এর বাংলা পদ্যানুবাদ করেন (১৮৭২)। তাঁর নীতিকুসুমাঞ্জলি (১৮৭২) সংস্কৃত নীতিগর্ভ ও তত্ত্বমূলক কবিতার আরেকটি অনুবাদসাহিত্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) কারা রচনা করেন?
Created: 4 months ago
A
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান
B
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুহম্মদ আব্দুল হাই
C
মুহম্মদ আব্দুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনোয়ার পাশা
D
মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান
‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (আধুনিক যুগ) গ্রন্থের রচয়িতা সৈয়দ আলী আহসান। তিনি মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের সাথে মিলিয়ে এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেন।
কয়েক বছর পূর্বে কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের উদ্যোগে বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক ইতিহাস রচনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগকে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় খণ্ড সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
এ ইতিহাসের লেখক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ মুহম্মদ আবদুল হাই ও করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ সৈয়দ আলী আহসান। গ্রন্থে আধুনিক যুগের বাংলা সাহিত্যের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, যা বৃটিশ শাসনকালের শুরু থেকে পাকিস্তানোত্তর যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত।
0
Updated: 4 months ago