কোনটি রামরাম বসুর লেখা?
A
লিপিমালা
B
হিতোপদেশ
C
বত্রিশ সিংহাসন
D
তোতা ইতিহাস
উত্তরের বিবরণ
রামরাম বসু বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত। তাঁর রচিত লিপিমালা বাংলা শিক্ষার বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।
• রামরাম বসু বাংলা গদ্যচর্চার প্রাথমিক বিকাশে অবদান রেখেছেন এবং বাংলা ভাষাকে সহজ ও শিক্ষাযোগ্য করে তোলার কাজে যুক্ত ছিলেন।
• লিপিমালা মূলত বাংলা ভাষার বর্ণচর্চা, শব্দগঠন ও প্রাথমিক পাঠ্যজ্ঞান শেখানোর উদ্দেশ্যে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এটি তৎকালীন শিক্ষার্থীদের জন্য সহজবোধ্য পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহৃত হত।
• এই গ্রন্থে শব্দ, বাক্য ও সাধারণ ভাষার গঠন অত্যন্ত সরলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে নতুন শিক্ষার্থী দ্রুত ভাষা আয়ত্ত করতে পারে।
• রামরাম বসুর কাজ শিক্ষাবিস্তারের পাশাপাশি বাংলা ভাষার প্রমিত রূপ গঠনে সহায়তা করেছিল। তাঁর বই বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ্য হিসেবে বহু বছর ব্যবহৃত হয়েছে।
• বাংলা ভাষার ইতিহাসে তিনি প্রারম্ভিক শিক্ষাবিদদের অন্যতম, এবং তাঁর লেখা লিপিমালা প্রমাণ করে তিনি ভাষার ব্যবহারিক রূপ গঠনে কতটা দক্ষ ছিলেন।
0
Updated: 7 hours ago
কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচতি গ্রন্থ?
Created: 4 months ago
A
বিষের বাঁশী
B
বন্দীর বন্দনা
C
সন্দ্বীপের চর
D
রূপসী বাংলা
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘বিষের বাঁশী’ বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী সংযোজন। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (আগস্ট, ১৯২৪) এই কাব্যগ্রন্থটি কবি নিজ উদ্যোগে প্রকাশ করেন।
প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে—এই কাব্যই নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত রচনা। দীর্ঘ ২১ বছর পর, ১৯৪৫ সালের ২৭ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এই কাব্যে নজরুলের কাব্যিক বলিষ্ঠতা, উদ্দাম যৌবনের শক্তি, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক প্রতিচিন্তা ও গীতিময় প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। ‘বিষের বাঁশী’-র কবিতাগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবধারা মূলত উদারনৈতিক চেতনায় গঠিত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ও কবি:
-
‘বন্দীর বন্দনা’ রচনা করেছেন বুদ্ধদেব বসু।
-
‘সন্দ্বীপের চর’ কাব্যগ্রন্থের কবি হলেন বিষ্ণু দে।
-
আর ‘রূপসী বাংলা’ রচনা করেছেন স্বনামধন্য কবি জীবনানন্দ দাশ।
কাজী নজরুল ইসলাম: এক বিদ্রোহী আত্মার নাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে খ্যাত কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ চেতনার এক অগ্রদূত। তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, অর্থাৎ ২৪ মে ১৮৯৯ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। শৈশবে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দুখু মিয়া’ নামে।
বাংলা সাহিত্যে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে, যিনি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কলমের মাধ্যমে রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানের ভুবনে তাঁর অবদান তাঁকে এনে দিয়েছে ‘বুলবুল’ উপাধি।
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা (সৌমিত্র শেখর) এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 4 months ago
'ঠাকুরমার ঝুলি' কী জাতীয় রচনার সংকলন?
Created: 3 months ago
A
রূপকথা
B
ছোটগল্প
C
গ্রাম্যগীতিকা
D
রূপকথা-উপকথা
● ঠাকুরমার ঝুলি
-
ঠাকুরমার ঝুলি হচ্ছে বাংলাদেশের নানা রকম রূপকথার গল্পের একটি জনপ্রিয় সংকলন।
-
এই বইটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার সংকলন করেছেন।
-
শুধু রূপকথা নয়, এখানে উপকথার বৈশিষ্ট্যও দেখা যায়, কারণ পশু-পাখির মুখেও গল্প বলা হয়েছে।
-
বইটির ভূমিকা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
এই গ্রন্থটি জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছিল।
● দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
-
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ১৮৭৭ সালে ঢাকার উলাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ‘সুধা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
ঠাকুরমার ঝুলি
-
ঠাকুরদাদার ঝুলি
-
দাদা মশায়ের থলে
-
বাংলার সোনার ছেলে
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
আলাওল
B
কোরেশী মগন
C
দৌলত কাজী
D
সৈয়দ সুলতান
লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা দৌলত কাজী
দৌলত কাজী ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একজন প্রসিদ্ধ কবি এবং তিনি লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতার মর্যাদা অর্জন করেছেন। ষোল শতকে তার সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
তার প্রধান কাব্যগ্রন্থ হলো "সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী," যা তিন খণ্ডে বিভক্ত। এই কাব্যে সামন্তপতি লোর ও অপর একটি সামন্তবধূ চন্দ্রানীর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের গল্প মানবিক এবং সামাজিক জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরে মানব হৃদয়ের অনুভূতিকে স্পর্শ করে।
দৌলত কাজীর এই রচনা মধ্যযুগীয় সাহিত্যে মানব জীবনের বর্ণাঢ্য রস এবং সংবেদনশীলতা ফুটিয়ে তোলে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago