কোনটি গ্রীক শব্দ?
A
লিচু
B
লুঙ্গী
C
দাম
D
চাবি
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্নে যে শব্দটিকে গ্রীক উৎসের বলা হয়েছে তা হলো দাম, যা মূলত গ্রীক শব্দ drama-এর রূপান্তরিত ব্যবহার থেকে এসেছে বলে ধরা হয়। বাংলা ভাষায় শব্দ ধার করার ক্ষেত্রে উচ্চারণের পরিবর্তন ও সরলীকরণ সাধারণ ঘটনা, তাই বিদেশি শব্দ অনেক সময় ধ্বনিগতভাবে ভিন্ন রূপ পায়।
• গ্রীক drama শব্দের অর্থ কার্য, ঘটনা বা অভিনয়, যা পরে বিভিন্ন ভাষায় নানা রূপে ব্যবহৃত হয়েছে
• বাংলা ব্যবহারে শব্দটি সংক্ষিপ্ত হয়ে দাম রূপে পাওয়া যায়, যা সেই উৎসেরই সরল ধ্বনিগত প্রতিফলন
• এই ধরনের রূপান্তর প্রমাণ করে যে ভাষা সময়ের সাথে ধার করা শব্দকে নিজস্ব উচ্চারণ ও গঠন অনুযায়ী বদলে নেয়
0
Updated: 9 hours ago
‘তারিখ’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
Created: 2 days ago
A
আরবি
B
ফারসি
C
ফরাসি
D
তুর্কি
তারিখ শব্দের উৎপত্তি ভাষা সম্পর্কে ধারণা জানা আমাদের শব্দের উৎস ও ভাষার পরিবর্তন বুঝতে সাহায্য করে। বাংলা ভাষায় বহু বিদেশি শব্দ যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ‘তারিখ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। এটি সময়, দিন বা ঘটনার নির্দিষ্ট উল্লেখ বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমানে দৈনন্দিন ভাষায় এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
– তারিখ শব্দটি ফরাসি ভাষা থেকে এসেছে, যেখানে এটি মূলত দিন-তারিখ বা ক্যালেন্ডার নির্দেশে ব্যবহৃত হত।
– ফরাসি শব্দটি পরবর্তীতে অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ঔপনিবেশিক যোগাযোগের মাধ্যমে উপমহাদেশেও প্রবেশ করে।
– বাংলা ভাষায় ‘তারিখ’ শব্দটির ব্যবহার স্থায়ী হয়ে যায় এবং প্রশাসনিক, আইনগত, শিক্ষাগত ও সাধারণ যোগাযোগে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
– শব্দটি সময়-নির্দেশক হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হয়, তেমনি ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণ, স্মৃতিচারণ, দলিল প্রস্তুত, চুক্তিপত্র, নথি ব্যবস্থাপনা– এসব ক্ষেত্রেও এটি অপরিহার্য।
– বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার গঠনে ফরাসি, পর্তুগিজ, তুর্কি, ফারসি, আরবি ও ইংরেজি ভাষার সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে; ‘তারিখ’ তারই একটি উদাহরণ।
0
Updated: 2 days ago
'গেরাম ' কোন জাতীয় শব্দ ?
Created: 1 week ago
A
অর্ধতৎসম
B
তদ্ভব
C
দেশী
D
তৎসম
বাংলা ভাষায় শব্দগুলো প্রধানত তিন ধরনের: তৎসম, অর্ধতৎসম, দেশীয়। ‘গেরাম’ শব্দটি এই বিভাগের মধ্যে পড়ে।
• অর্ধতৎসম শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে, কিন্তু ধ্বনিগতভাবে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।
• ‘গেরাম’ শব্দের মূল সংস্কৃত রূপ হলো গ্রাম, যা বাংলায় আঙ্গিক ও উচ্চারণের পরিবর্তনের মাধ্যমে ‘গেরাম’ রূপে এসেছে।
• এই ধরনের শব্দ সাধারণত দৈনন্দিন কথাবার্তায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সম্পূর্ণ তৎসমের মতো কঠোর ও শুদ্ধ সংস্কৃত রূপ ধরে রাখে না।
• তাই ‘গেরাম’ শব্দকে অর্ধতৎসম হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
এইভাবে শব্দের উত্স এবং ধ্বনিগত পরিবর্তন লক্ষ্য করে যথাযথ শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়।
0
Updated: 1 week ago
‘জানুয়ারি’ বানানে হ্রস্ব ই-কার কেন?
Created: 1 week ago
A
অদ্ভব
B
তৎসম
C
অ-তৎসম
D
সংস্কৃত
‘জানুয়ারি’ শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত হলেও এর উৎস বিদেশি। এ কারণে এর বানানে হ্রস্ব ই-কার ব্যবহৃত হয়েছে, যা অ-তৎসম শব্দের একটি বৈশিষ্ট্য।
অ-তৎসম শব্দ হলো সেই সব শব্দ, যেগুলো সংস্কৃত ব্যতীত অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করে বাংলার উচ্চারণ ও বানানরীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা হয়।
‘জানুয়ারি’ শব্দটি এসেছে ইংরেজি ‘January’ থেকে, যা বাংলায় রূপান্তরের সময় স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজভাবে লেখা হয়।
তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে সাধারণত দীর্ঘ ই-কার ব্যবহৃত হয়, কিন্তু অ-তৎসম শব্দে হ্রস্ব ই-কার ব্যবহৃত হয় উচ্চারণের স্বাভাবিকতার জন্য।
তাই ‘জানুয়ারি’ শব্দে হ্রস্ব ই-কার সঠিক রূপ।
0
Updated: 1 week ago