চাঁদের ন্যায় মুখ = চাঁদমুখ – উপমান কর্মধারয় সমাস। মুখ চাঁদের ন্যায় = চাঁদমুখ – উপমিত কর্মধারয় সমাস। চাঁদমুখ-এর ব্যাসবাক্য 'চাঁদ রূপ মুখ' করা হলে এটি হবে রূপক কর্মধারয় সমাস।

‘নীলাকাশ’-এর সমাস হলো কর্মধারয়।

• কর্মধারয় সমাস হলো এমন সমাস যেখানে প্রথম পদটি কর্ম বা ক্রিয়াপদ নির্দেশ করে এবং দ্বিতীয় পদটি সেই কর্মের দ্বারা প্রভাবিত বা ধার্য বস্তু বোঝায়।

• উদাহরণ:

  • নীল + আকাশ = নীলাকাশ (যেখানে আকাশ নীল রঙ দ্বারা চিহ্নিত)

• অন্যান্য বিকল্প:

  • বহুব্রীহি → এমন সমাস যেখানে সমষ্টি অর্থ ভিন্ন হয়, যেমন: চন্দ্রবিন্দু

  • দ্বিগু → সংখ্যা বা পরিমাণ নির্দেশ করে, যেমন: দ্বিগুণ

  • অব্যয়ীভাব → অব্যয়কে প্রধান করে সমাস গঠন হয়

• কর্মধারয় সমাস বাংলা ভাষায় বিশেষভাবে বস্তু বা কর্মের সম্পর্ক প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।

• এটি বাংলা সাহিত্য ও শব্দচর্চায় শব্দগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণ।
  
  

সঠিক উত্তর হলো মনমাঝি।

• ‘মনমাঝি’ শব্দটি রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ, যেখানে উপমেয় (মন) এবং উপমান (মাঝি) মধ্যে রূপক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।

• রূপক কর্মধারয় সমাসে মূলত উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে কোনো রূপ, গুণ বা বৈশিষ্ট্যের মিল বা অনুরূপতা কল্পনা করা হয়।

• এখানে ‘মনমাঝি’ মানে যিনি/যা মন-মাঝি, অর্থাৎ যিনি মনকে নেভে বা মনকে নিয়ন্ত্রণ করেন, এটি রূপক অর্থে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

• অন্য বিকল্প যেমন ‘জলযান’ = জলে চলা যান, ‘সিংহদ্বার’ = সিংহ চিহ্নিত দরজা, ‘একাদশ’ = সংখ্যা ১১, এগুলো রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ নয়।

• সুতরাং, উপমেয় এবং উপমানের মধ্যে রূপক সম্পর্কের জন্য ‘মনমাঝি’ রূপক কর্মধারয় সমাসের সঠিক উদাহরণ।