‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা কে?
A
গোলাম মোস্তফা
B
কামিনী রায়
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম
ব্যাখ্যা:
-
‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত, যা বাংলা সাহিত্যে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য, অবহেলা ও সামাজিক সমস্যার প্রতিফলন।
-
এই কাব্যগ্রন্থে নজরুল ইসলামের প্রতিবাদী মনোভাব স্পষ্ট, যেখানে সামাজিক অন্যায় ও শোষণপ্রতি তাঁর অসহ্যতার প্রকাশ দেখা যায়।
-
কাব্যগ্রন্থটি মূলত বিপ্লবী চেতনার পরিচায়ক; জনগণকে উৎসাহিত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
-
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় প্রায়শই স্বাধীনতা, সাম্য এবং মানবিক অধিকার বিষয়ক বার্তা বিদ্যমান।
-
‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থে কবি দারিদ্র্য এবং সমাজের অবহেলার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, যা সাহিত্যিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
-
নজরুলের অন্যান্য রচনায় যেমন ‘বিদ্রোহী’, ‘দ্বীপের আলো’ দেখা যায় সমকালীন সমাজ ও মানুষের যন্ত্রণা ও সংগ্রামের প্রতিফলন।
0
Updated: 13 hours ago
‘সাত ভাই চম্পা’ - কী ধরনের গ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
উপন্যাস
B
প্রবন্ধগ্রন্থ
C
কাব্যগ্রন্থ
D
গল্পগ্রন্থ
বাংলা আধুনিক কবিতায় চিন্তাশীলতা, শিল্পবোধ ও মার্কসবাদী চেতনার অনন্য সমন্বয় ঘটিয়েছেন বিষ্ণু দে। তিনি ত্রিশোত্তর কবিদের মধ্যে অন্যতম একজন, যিনি বিশ্বসাহিত্য ও পাশ্চাত্য দর্শনের প্রভাবকে বাংলা কবিতায় নতুন রূপে প্রকাশ করেন। তাঁর রচনায় বুদ্ধিবৃত্তি, সৌন্দর্যবোধ ও সমাজচেতনা একত্রে প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
বিষ্ণু দে জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতার পটলডাঙ্গায়।
-
তিনি ছিলেন একজন কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক ও শিল্পানুরাগী।
-
বাংলা সাহিত্যের ত্রিশোত্তর কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন তিনি।
-
তাঁর কবিতায় গভীরভাবে মার্কসবাদী চেতনা ও টি.এস. এলিয়টের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
-
বিষ্ণু দে-এর রচনায় কেবল সামাজিক সচেতনতা নয়, শিল্প ও নন্দনতত্ত্বের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগও প্রকাশ পেয়েছে।
‘সাত ভাই চম্পা’
-
এটি বিষ্ণু দে রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ, যেখানে প্রতীক ও কাব্যরূপের মাধ্যমে জীবন, সমাজ ও সময়ের নানা রূপ তুলে ধরা হয়েছে।
তাঁর প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সাত ভাই চম্পা
-
সেই অন্ধকার চাই
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
-
রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ
0
Updated: 1 month ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 5 months ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
বালুচর
B
রাখালী
C
ধানক্ষেত
D
মা যে জননী কান্দে
কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা, ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে নিচে সংক্ষেপে রিরাইট করা হলো। সব তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কবর’ কবিতা জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর অন্তর্গত। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত এবং এতে মোট ১১৮টি পঙ্ক্তি রয়েছে।
সহজ ও সরল ভাষায় রচিত এই কাহিনীধর্মী কবিতায় এক গ্রামীণ বৃদ্ধ তার জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আপনজনদের হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে মৃত্যুর জন্য যে অপেক্ষা করছেন, কবি তা গভীর সহানুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
-
কবর কবিতার সংক্ষিপ্তাংশ
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ
-
জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
প্রথম কবিতা হলো ‘রাখালী’।
-
তাঁর বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতাও এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
জসীম উদ্দীন
-
তিনি ছিলেন কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনীকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক।
-
জন্ম ১৯০০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
-
তাঁর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতি-কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
-
‘বোবা কাহিনী’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
হাসু
-
মাটির কান্না
-
এক পয়সার বাঁশী
-
সবিনা
-
মা যে জননী কান্দে
-
পদ্মা নদীর দেশে ইত্যাদি
রচিত নাটক
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
পাল্লীবধূ ইত্যাদি
রচিত আত্মকথা
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
-
জীবনকথা ইত্যাদি
রচিত ভ্রমণকাহিনি
-
চাল মুসাফির
-
হলদে পরির দেশে
-
যে দেশে মানুষ বড় ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago