‘কুল কাঠের আগুন’-এর প্রকৃত অর্থ কি?
A
তীব্র জ্বালা
B
কাঠের পুতুল
C
কূপমণ্ডুক
D
এলাহী কাণ্ড
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: তীব্র জ্বালা
ব্যাখ্যা:
-
‘কুল কাঠের আগুন’ একটি বাগধারা, যার অর্থ হলো তীব্র বা জোরালো যন্ত্রণা, ব্যথা বা উত্তেজনা।
-
এখানে কুল কাঠ ব্যবহৃত হয়েছে আগুনের সঙ্গে তুলনা করার জন্য, যাতে ব্যথা বা জ্বালার তীব্রতা বোঝানো যায়।
-
এটি সাধারণত মানসিক বা শারীরিক কষ্ট প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।
-
বাগধারায় সরাসরি আগুন নেই, তবে ব্যথা বা উত্তেজনার প্রকৃত অনুভূতিকে আগুনের তীব্রতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন কাঠের পুতুল বা কূপমণ্ডুক কোনভাবেই তীব্র ব্যথার ধারণা দেয় না।
-
এই বাগধারার ব্যবহার প্রাচীন সাহিত্যে বা লোককথায় তীব্র কষ্ট বোঝাতে প্রচলিত।
-
এটি অর্থের ব্যাখ্যা ও উদাহরণে প্রমাণিত যে, তীব্র জ্বালা বা তীব্র যন্ত্রণাই মূল উদ্দেশ্য।
0
Updated: 17 hours ago
নির্মলেন্দু গুণ রচিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
B
কালো মেলা
C
গীনসাবার্গের সঙ্গে
D
ভগলার তীরে
বাংলা আধুনিক কবিতায় গভীর মানবপ্রেম, সামাজিক চেতনা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার অনন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে নির্মলেন্দু গুণ বিশেষভাবে পরিচিত। তাঁর কবিতায় মানুষের বেঁচে থাকা, প্রেম, সংগ্রাম ও বিপ্লব একাকার হয়ে উঠে আসে। এজন্য তাঁকে প্রায়ই বলা হয় “বাংলাদেশের কবিদের কবি”।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নির্মলেন্দু গুণ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে।
-
তাঁর সম্পূর্ণ নাম ‘নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী’।
-
তিনি কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি ও আত্মজীবনীসহ নানা ধারায় সাহিত্যচর্চা করেছেন।
-
তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম, সাধারণ মানুষের জীবন, ন্যায়বোধ ও বিদ্রোহী সত্তা শক্তভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
প্রেমাংশুর রক্ত চাই
-
না প্রেমিক না বিপ্লবী
-
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
-
ও বন্ধু আমার
-
চাষাভূষার কাব্য
রচিত ভ্রমণকাহিনি:
-
ভগলার তীরে
-
গীনসাবার্গের সঙ্গে
-
আমেরিকায় জুয়ালেখার স্মৃতি
-
ভ্রমি দেশে দেশে
রচিত কিশোর উপন্যাস:
-
কালো মেলা
-
বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন
0
Updated: 1 month ago
'তোহফা' কাব্যটি কে রচনা করেন?
Created: 2 months ago
A
দৌলত কাজী
B
মাগন ঠাকুর
C
সাবিরিদ খান
D
আলাওল
আলাওল ও তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ
তোহফা কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন আলাওল।
আলাওল:
-
১৭শ শতক/মধ্যযুগের একজন প্রধান মুসলিম কবি।
-
আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে পরিচিত।
-
তাঁর প্রথম ও বিখ্যাত মহাকাব্য হলো ‘পদ্মাবতী’, যা তিনি মাগন ঠাকুরের উৎসাহে রচনা করেছিলেন। এটি মূলত মালিক মুহম্মদ জায়সির হিন্দি কাব্য ‘পদুমাবৎ’ অবলম্বনে রচিত।
-
আলাওল ছিলেন আরাকান-রাজা উমাদারের রাজদেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত, যিনি অশ্বারোহীর পদে কর্মরত ছিলেন।
আলাওলের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
সিকান্দার নামা
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কর
-
সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামান
-
রগতালনামা
-
সতীময়ান-লোর-চন্দ্রাণী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
B
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
C
কাশীরাম দাস
D
বড়ু চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
-
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্ৰী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুঁথিটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
পুঁথির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় এর নাম ও কবির নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
-
আবিষ্কারক ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় প্রাচীন বৈষ্ণব লেখকদের ইঙ্গিত অনুসারে গ্রন্থটির নামকরণ করেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।
-
কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
-
এতে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে।
অন্য তথ্য
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর → মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
-
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন → মহাভারতের রচয়িতা।
-
কাশীরাম দাস → মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago