কোন সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না?
A
অলুক সমাস
B
নিত্য সমাস
C
প্রাদি সমাস
D
উপপদ
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: অলুক সমাস
ব্যাখ্যা:
-
অলুক সমাসে প্রথম বা সমস্যমান পদের বিভক্তি কখনও লোপ পায় না।
-
এটি প্রধানত দুটি শব্দের সমাহারে গঠিত হয়, যেখানে প্রথম পদের মূল রূপ অপরিবর্তিত থাকে।
-
উদাহরণ: “পথের দাবী” – এখানে “পথ” শব্দটি প্রথম পদের অবস্থায় থাকে, বিভক্তি থাকে।
-
অলুক সমাসে সমাসের অর্থ পুরো বাক্যের মতো বোঝা যায়, কিন্তু প্রথম পদের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় থাকে।
-
নিত্য সমাসে প্রথম পদের বিভক্তি থাকে কিন্তু এটি প্রায়শই বাক্যরূপে ব্যবহার হয় না।
-
প্রাদি সমাসেও প্রথম পদের বিভক্তি লোপ হয় না, কিন্তু অলুক সমাসে তা সবসময় নিশ্চিত।
-
অলুক সমাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো প্রথম পদের বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থাকা এবং সমাসের অর্থে তা প্রভাবিত না হওয়া।
0
Updated: 17 hours ago
নিচের বাক্যের নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?- তাস খেলে কত ছেলে পড়া নষ্ট করে।
Created: 4 days ago
A
করণে শূন্য
B
কর্তায় শূন্য
C
অপাদানে ৫মী
D
করণে ২য়া
বাক্যে ‘তাস খেলে’ অংশটি করণ কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এতে কোনো বিভক্তি নেই, তাই এটি করণ-শূন্য বিভক্তি।
-
এখানে ‘খেলে’ শব্দটি মূল ক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ সংঘটিত হওয়া বোঝাচ্ছে, অর্থাৎ কাজটি কোন মাধ্যমে বা যন্ত্র দ্বারা হচ্ছে।
-
করণ কারক সাধারণত কাজের উপায়, যন্ত্র বা কারণে প্রকাশ পায়; এই বাক্যে ‘তাস খেলা’ সেই উপায় হিসেবে কাজ করছে।
-
‘খেলে’ শব্দে কোনো পৃথক বিভক্তি চিহ্ন নেই, তাই এটি শূন্য বিভক্তি।
-
বাক্যের গঠন অনুযায়ী “কত ছেলে পড়া নষ্ট করে” মূল ক্রিয়ার সাথে ‘তাস খেলে’ অংশটি সহায়ক অবস্থা বা মাধ্যম হিসেবে যুক্ত।
-
বাংলার ব্যাকরণে শূন্য বিভক্তি এমন ক্ষেত্রে হয় যেখানে কারক অর্থ দ্বারা বোঝানো হয়, চিহ্ন দ্বারা নয়।
0
Updated: 4 days ago
‘আমার গানের মালা আমি করব কারে দান।’ বাক্যটিতে ‘কারে’—শব্দটির কারক ও বিভক্তি কোনটি?
Created: 3 months ago
A
কর্তায় সপ্তমী
B
কর্মে সপ্তমী
C
করণে সপ্তমী
D
অপাদানে সপ্তমী
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকেই কর্ম কারক বলে। ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মকারক হয়।
0
Updated: 6 hours ago
‘তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত’- বাক্যে নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 6 days ago
A
অধিকরণে ৭মী
B
কর্মে ৭মী
C
করণে ৭
D
অপাদানে ৭মী
‘ব্যাকরণে’ শব্দের কারক হলো অধিকরণে এবং বিভক্তি হলো সপ্তমী (ে)।
ব্যাখ্যা:
-
বাক্যে ‘তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত’ বলতে বোঝানো হয়েছে যে তিনি কোন বিষয়ে দক্ষ বা প্রজ্ঞাবান, অর্থাৎ ব্যাকরণে।
-
এখানে ‘ব্যাকরণ’ হলো যে বিষয়ে পণ্ডিতা অর্জিত হয়েছে, তাই এটি অধিকরণ কারক।
-
‘ে’ বিভক্তি যোগের মাধ্যমে সপ্তমী নির্দেশিত হয়েছে, যা বিষয় বা কৌশলের ক্ষেত্রে দক্ষতা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: “তিনি গণিতেও পণ্ডিত,” এখানে ‘গণিতেও’ শব্দও একইভাবে অধিকরণ কারক।
-
বাংলায় অধিকরণ কারক সাধারণত শিক্ষাগত, শিল্পকৌশল বা জ্ঞানসংক্রান্ত দক্ষতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কারক এবং বিভক্তি বোঝার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
0
Updated: 5 days ago