‘তাসের দেশ’ নাটকটির রচয়িতা কে?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
অমৃতলাল বসু
D
আকবর উদ্দীন
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর উ: ক
-
‘তাসের দেশ’ নাটকটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
এটি রবীন্দ্রনাথের ব্যঙ্গধর্মী নাটকগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে মানব সমাজের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক অসঙ্গতির ব্যঙ্গচিত্র ফুটে উঠেছে।
-
নাটকে কল্পনার দেশ হিসেবে তাসের দেশ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সমাজ ও রাজনীতির ক্ষুদ্র ও অস্থির প্রকৃতি প্রতিফলিত করে।
-
চরিত্রগুলো তাসের মতো প্রতিস্থাপিত ও পরিবর্তনশীল, যা ক্ষমতা, নীতি ও প্রতারণার উপর আলোকপাত করে।
-
নাটকটি শিক্ষামূলক এবং দর্শককে চিন্তাশীল করে তোলে।
-
রবীন্দ্রনাথের শৈল্পিক ভাষা, সমৃদ্ধ সংলাপ ও রূপক ব্যবহার নাটককে আরও প্রভাবশালী করে।
-
‘তাসের দেশ’ বাংলা নাট্যসাহিত্যে ব্যঙ্গধর্মী নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
0
Updated: 17 hours ago
নিচের কোন চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসের?
Created: 2 months ago
A
বিহারী-বিনোদিনী
B
নিখিলেস-বিমলা
C
মধুসূদন-কুমুদিনী
D
অমিত-লাবণ্য
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস
-
রচনাবর্ষ ও প্রকাশনা: ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথের প্রথম চলিত ভাষার উপন্যাস। এটি ১৯১৫ সালে সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রেক্ষাপট: ব্রিটিশ ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই উপন্যাসের মূল প্রেক্ষাপট।
-
প্রভাব ও মিল: পাশ্চাত্য ঔপন্যাসিক স্টিভেনসনের প্রিন্স অট উপন্যাসের ভাব ও ধারার সঙ্গে এর কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
-
প্রধান চরিত্র: নিখিলেশ, বিমলা ও সন্দীপ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
সাধারণ পরিচয়: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক।
-
নোবেল পুরস্কার: ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্য ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পান; এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই গৌরব অর্জন করেন।
-
জন্ম ও পরিবার: ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
পটভূমি ও প্রভাব: পরিবারের পূর্বপুরুষরা পূর্ববঙ্গ থেকে কলকাতায় ব্যবসায়িক কারণে এসেছিলেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার বাঙালির নবজাগরণ, ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। রামমোহন রায়ের আদর্শ দেবেন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
-
প্রধান স্থল: তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে সময় কাটিয়েছেন।
-
মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
কিছু বিখ্যাত উপন্যাস
-
ঘরে-বাইরে, চোখের বালি, শেষের কবিতা, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, দুই বোন, মালঞ্চ, গোরা, রাজর্ষি, চার অধ্যায় ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথের নগরাশ্রয়ী সামাজিক নাটক?
Created: 1 month ago
A
ডাকঘর
B
চিত্রাঙ্গদা
C
রাজা
D
বাঁশরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাট্যজগতে নানা ধরণের নাটকের সমাবেশ দেখা যায়—সামাজিক, সাংকেতিক ও কাব্যনাট্য—যেগুলোর মাধ্যমে তিনি সমাজ, মানবমন, জীবনদর্শন ও আত্মবোধের নানা দিক তুলে ধরেছেন। তাঁর সামাজিক নাটক এ তিনি সমাজের বাস্তব সমস্যাগুলোকে উপস্থাপন করেছেন, যেখানে ব্যক্তি ও সমাজের দ্বন্দ্ব, নৈতিক অবক্ষয়, আত্মসমালোচনা ও মানবিক বোধের বিষয়টি প্রধান হয়ে ওঠে।
রবীন্দ্রনাথের সামাজিক নাটক হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো ‘শোধবোধ’ ও ‘বাঁশরী’।
রবীন্দ্রনাথের সাংকেতিক নাটকে তিনি বাস্তব ঘটনার আড়ালে প্রতীক ও রূপকের মাধ্যমে গভীর দার্শনিক অর্থ প্রকাশ করেছেন। এই ধারার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো—
-
শারদোৎসব
-
ডাকঘর
-
রাজা
রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য মূলত কবিত্ব, সংগীত ও নাট্যকল্পের সংমিশ্রণ, যেখানে কাব্যের সৌন্দর্য ও নাট্যরস মিলেমিশে এক গভীর নান্দনিক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে। এই ধারার উল্লেখযোগ্য কাব্যনাট্যগুলো হলো—
-
রাজা ও রানি
-
বিসর্জন
-
চিত্রাঙ্গদা
0
Updated: 1 month ago
‘রক্তকরবী' কোন নাটকের বিষয়বস্তু?
Created: 1 month ago
A
বিশুর খামখেয়ালী
B
নন্দিনীর সৌন্দর্য
C
ধর্মীয় অচলায়তন
D
পুঁজিবাদ ও কৃষিসভ্যতার দ্বন্দ
‘রক্তকরবী’ নাটকটি মূলত যান্ত্রিক শ্রমব্যবস্থা এবং কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে সংঘাতের প্রতিফলন। এতে পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক সমাজের অত্যাচার, প্রেম ও মানবিকতার বিজয়, এবং আকর্ষণশীল ও কর্ষণশীল শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে। নাটকটি প্রেম ও জীবনের জয়কে মানুষের মুক্তি ও সাম্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।
• সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’-এ যক্ষপুরীর রাজা অর্থলোভী এবং প্রজাশোষক। তিনি সোনার খনির শ্রমিকদের কেবল উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে দেখেন, মানুষের প্রেম, সৌন্দর্য ও মানবিকতা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নন্দিনী প্রেম ও জীবনের প্রতীক হিসেবে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে আবির্ভূত হন এবং সকলকে মুক্ত জীবন যাপনের আহ্বান জানান। রাজা নন্দিনীকে জোরপূর্বক নিজের করতে চায়, কিন্তু প্রেম ও সৌন্দর্যকে জয় করা যায় না। রঞ্জন, নন্দিনীর প্রেমাস্পদ, যান্ত্রিকতার শিকার হয়ে মারা যায়। নাটকটি শেষ পর্যন্ত জীবনের প্রাণশক্তি ও মানবিকতার জয়কে প্রমাণ করে।
• গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক।
-
রচিত হয়েছে বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে।
-
প্রাথমিকভাবে এর নাম ছিল ‘যক্ষপুরী’।
-
১৩৩০ সনের আশ্বিন মাসে প্রবাসীতে প্রকাশের সময় নামকরণ হয় ‘রক্তকরবী’।
-
নাটকে ধনের ওপর ধান্যের, শক্তির ওপর প্রেমের ও মৃত্যুর ওপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
• উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
নন্দিনী – নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত।
-
রঞ্জন – বিদ্রোহ ও প্রেমের প্রতীক; মানুষের প্রাণশক্তি বহনকারী চরিত্র।
0
Updated: 1 month ago