‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
A
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
কাজী ইমদাদুল হক
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর উ: গ
-
‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসটির রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
-
এটি বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম বিখ্যাত উপন্যাস, যা ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসটি সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন নারী চরিত্রের সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও ন্যায়পরায়ণতা ফুটে ওঠে।
-
দেবী চৌধুরানী তার সময়কার সমাজে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত।
-
কাহিনীতে ধর্ম, নৈতিকতা, প্রেম ও প্রতিশোধের বিষয়গুলো গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
বঙ্কিমচন্দ্রের রচনাশৈলী নাটকীয়তা, সংলাপ ও চমকপ্রদ চরিত্রনির্মাণে সমৃদ্ধ।
-
এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে নারীচরিত্রের শক্তিশালী উপস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
-
উপন্যাসটি পড়ে পাঠক সমাজ, ন্যায় ও নৈতিকতার সঙ্গে নারী ক্ষমতার সম্পর্ক অনুধাবন করতে পারে।
0
Updated: 17 hours ago
নিম্নোক্ত কোন উপন্যাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
দেবেশ রায়ের 'তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত'
B
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম'
C
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের 'যাও পাখি'
D
অভিজিৎ সেনের 'রহুচণ্ডালের হাড়'
‘পূর্ব-পশ্চিম’ উপন্যাস
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিশিষ্ট ও দীর্ঘ উপন্যাস হলো ‘পূর্ব-পশ্চিম’। মূলত এটি ধারাবাহিকভাবে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে উপন্যাসের প্রথম দুটি পর্ব—সূচনাপর্ব ও যৌবন—সংযুক্ত করা হয়েছে।
উপন্যাসের ঘটনা একই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার প্রেক্ষাপটকে স্পর্শ করে। গল্প শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগে। এ-উপন্যাসে দেখা যায় কিভাবে দু’বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ধারা ১৯৮০-এর দশকে মিলিত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহের কিছু প্রধান দিক:
-
একদিকে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন: নেহরুর মৃত্যু, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, লালবাহাদুর শাস্ত্রীয়ের মৃত্যু, ইন্দিরা গান্ধীর অভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক মন্দা, তরুণ সমাজে বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও উগ্র রাজনীতি।
-
অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট: ভাষা-আন্দোলনের পরবর্তী সময়, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা-সংগ্রাম, মুক্তিকালীন হতাশা, মুজিব হত্যা।
উপন্যাসে কোনো একক চরিত্রকে মূল চরিত্র বলা কঠিন। দুই বাংলার দুটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বহু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের গল্প বর্ণিত হয়েছে। অনেক চরিত্র শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, কেউ কেউ ইউরোপ বা আমেরিকাতেও গমন করেছে।
উৎস: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পূর্ব-পশ্চিম
0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে কোন উপাধিটি পেয়েছিলেন, যা পরে তিনি ত্যাগ করেন?
Created: 1 month ago
A
ব্যারন
B
নাইটহুড
C
লর্ড
D
বাহাদুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নাইটহুড
-
৩রা জুন, ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে 'নাইটহুড' বা 'স্যার' উপাধি প্রদান করে।
-
পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (১৩ এপ্রিল ১৯১৯)-এর প্রতিবাদে ১৯১৯ সালের এপ্রিলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উপাধি ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবার
-
মাত্র ৮ বছর বয়সে লিখেছিলেন প্রথম কবিতা হিন্দুমেলার উপহার
-
১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: বনফুল
-
অর্জন: ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার, এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম
-
বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের জনক হিসেবে পরিচিত
-
গীতিকার ও চিত্রশিল্পী হিসেবেও অবদান অনন্যসাধারণ
-
সাহিত্যকর্মের পরিমাণ:
-
৫৬টি কাব্যগ্রন্থ
-
৪টি গীতিপুস্তক
-
১১৯টি ছোটগল্প
-
৯টি ভ্রমণকাহিনী
-
২৯টি নাটক
-
১৯টি কাব্যনাট্য
-
২২৩২টি গান
-
২ হাজারের বেশি চিত্রাবলি
-
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে
0
Updated: 1 month ago
কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
হাঙর নদী গ্রেনেড
B
শবনম
C
আরেক ফাল্গুন
D
চিলেকোঠার সেপাই
বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। লেখক সেলিনা হোসেন এই উপন্যাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বাস্তবতা, মানবিক বেদনা এবং ত্যাগের চিত্র অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি কেবল একটি যুদ্ধের গল্প নয়, বরং মানুষের অন্তর্গত সাহস, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের এক অনন্য দলিল।
• লেখক ও প্রকাশকাল: উপন্যাসটি রচনা করেছেন সেলিনা হোসেন (জন্ম: ১৪ জুন ১৯৪৭)। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে, মুক্তিযুদ্ধের পরপরই। লেখিকা নিজে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ ঘটনার প্রেক্ষিতে এই কাহিনি নির্মাণ করেছেন।
• মূল বিষয়বস্তু: গল্পে দেখা যায়, একটি সাধারণ পরিবারের নারী চরিত্র তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী নায়িকা মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও মানবিকতা ও মাতৃত্বের চরম প্রকাশ ঘটান। শত্রুদের হাতে ধরা পড়ে তিনি নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে নিজের জীবন বিসর্জন দেন। এই চরিত্রটি প্রতীকীভাবে সমগ্র বাঙালি নারীর ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।
• প্রধান চরিত্রসমূহ: নায়িকা, তোফাজ্জল, শিশুটি, মুক্তিযোদ্ধারা এবং পাকিস্তানি সেনারা—সব চরিত্রই বাস্তবধর্মী। তাদের মাধ্যমে লেখিকা যুদ্ধের ভয়াবহতা, নিষ্ঠুরতা ও বাঙালির অদম্য লড়াইয়ের মনোভাব তুলে ধরেছেন।
• উপন্যাসের প্রেক্ষাপট: উপন্যাসটির পটভূমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়। নদী, গ্রাম, জনপদ, মৃত্যু ও প্রতিরোধ—সবকিছু মিলে এটি একটি প্রতীকী কাহিনি। নদী ও গ্রেনেড এখানে জীবনের দুই বিপরীত শক্তির প্রতীক—নদী জীবন ও ধারাবাহিকতার, আর গ্রেনেড ধ্বংস ও সংগ্রামের।
• সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: সেলিনা হোসেনের ভাষা আবেগঘন ও কাব্যিক। তিনি নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে যুদ্ধের কষ্ট ও বীরত্বকে চিত্রিত করেছেন। উপন্যাসটিতে প্রতীক, উপমা ও বাস্তবতার মিশ্রণ রয়েছে যা পাঠককে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
• গুরুত্ব: ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসের ধারাকে নতুন মাত্রা দেয়। এটি শুধু যুদ্ধের ইতিহাস নয়, বরং এক মায়ের আত্মত্যাগের কাহিনি। এই উপন্যাসটি পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, যা এর জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করেছে।
• অন্যান্য বিকল্প ব্যাখ্যা:
খ) শবনম — সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস; মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
গ) আরেক ফাল্গুন — জহির রায়হান রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস, যা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা।
ঘ) চিলেকোঠার সেপাই — আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস; এর বিষয়বস্তু শহুরে মধ্যবিত্তের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে সঠিক উত্তর হলো “হাঙর নদী গ্রেনেড”, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ত্যাগ ও মাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।
0
Updated: 2 weeks ago