‘ইত্যাদি’ কোন সমাস (ইতি হতে আদি)?
A
তৎপুরুষ
B
অব্যয়ীভাব
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর তৎপুরুষ।
-
‘ইত্যাদি’ শব্দটি ‘ইতি’ এবং ‘আদি’ শব্দের সমাহার থেকে গঠিত, যেখানে ‘ইতি’ অর্থ শেষ, ‘আদি’ অর্থ শুরু।
-
এখানে পূর্বপদ ‘ইতি’ এর অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে পরপদ ‘আদি’ এর অর্থে মিলিত হয়েছে।
-
এটি তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ, যেখানে একটি শব্দের অর্থ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে।
-
তৎপুরুষ সমাসে সাধারণত মধ্যপদ লোপ হয় এবং পরপদ প্রাধান্য পায়, যেমন- দীনবন্ধু, অগ্নিসংযোগ।
-
‘ইত্যাদি’ কথাটি দৈনন্দিন ভাষায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত, যার অর্থ ‘এবং অন্যান্য’, যা এই সমাসের প্রাকৃতিক প্রয়োগ।
-
বাংলা ব্যাকরণে তৎপুরুষ সমাস চিহ্নিত করতে পারলে শিক্ষার্থীরা যৌগিক শব্দের অর্থ ও ব্যবহার সহজে বুঝতে পারে।
0
Updated: 17 hours ago
কানে কানে যে কথা = কানাকানি- এখানে ‘কানাকানি’ কোন ধরনের বহুব্রীহি সমাস?
Created: 1 month ago
A
সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
B
ব্যতিহার বহুব্রীহি
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
এ সমাসে পূর্বপদে 'আ' এবং উত্তরপদে 'ই' যুক্ত হয়। যথা: হাতে হাতে যে যুদ্ধ= হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা= কানাকানি।
0
Updated: 1 month ago
‘লাঠালাঠি’ কোন সমাস?
Created: 6 days ago
A
প্রাদি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
লাঠালাঠি হলো ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
-
“লাঠালাঠি” শব্দটি দুটি শব্দ “লাঠি + লাঠি” মিলিত হয়ে গঠিত।
-
এটি বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ, কারণ দুটি পৃথক শব্দ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থ ধারণ করে, যা প্রতিটি শব্দের মূল অর্থ থেকে আলাদা।
-
এই সমাসে মিলিত শব্দগুলো মূলত পরস্পরের পরিপূরক বা সম্পূরক অর্থ বহন করে।
-
উদাহরণ: বাচ্চারা আড্ডায় লাঠালাঠি খেলছে, এখানে লাঠালাঠি মানে হলো খেলাধুলার সময় লাঠি দিয়ে আক্রমণাত্মক খেলা।
-
তৎপুরুষ, প্রাদি বা কর্মধারয় সমাসের সঙ্গে এটি ভিন্ন, কারণ সেই সমাসগুলোতে প্রথম বা দ্বিতীয় শব্দ প্রধান অর্থ বা ক্রিয়ার নির্দেশক হিসেবে থাকে।
-
বাংলা সাহিত্য ও কথ্য ভাষায় বহুব্রীহি সমাসের ব্যবহার সচরাচর দেখা যায়, যা শব্দের ভাব বা রস বৃদ্ধি করে।
-
“লাঠালাঠি” শব্দটি সাধারণত খেলাধুলা বা মারামারি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 6 days ago
নিচের কোনটি অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
নির্জন
B
পঞ্চবটী
C
দেশান্তর
D
অনুতাপ
পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে এবং যে সমাসের সমস্তপদ উপসর্গ দ্বারা শুরু হয় তাকে উপসর্গ তৎপুরুষ বা অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়।
যেমন: জানু পর্যন্ত লম্বিত ('পর্যন্ত' শব্দের অব্যয় 'আ') = আজানুলম্বিত (বাহু), মরণ পর্যন্ত = আমরণ, অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ।
0
Updated: 2 months ago