নিচের কোনটি অন্য তিনটি থেকে আলাদা ওয়েবসাইট?
A
ফেসবুক
B
ইউটিউব
C
টুইটার
D
ইন্সটাগ্রাম
উত্তরের বিবরণ
ইউটিউব মূলত একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা ভিডিও আপলোড, দেখা, সংরক্ষণ ও শেয়ার করতে পারে। যদিও অনেকেই এটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে, তবে এর প্রধান উদ্দেশ্য ভিডিওভিত্তিক কনটেন্ট প্রচার ও গ্রহণ করা। এজন্য এটি অন্যান্য প্রচলিত সামাজিক মাধ্যমের থেকে কিছুটা ভিন্ন।
-
ইউটিউবের মূল কাঠামো কনটেন্ট তৈরি ও ভিডিও প্রকাশের ওপর ভিত্তি করে; পোস্ট, স্ট্যাটাস বা চ্যাটের ভূমিকা এখানে গৌণ।
-
ব্যবহারকারীরা সাবস্ক্রাইব, মন্তব্য ও লাইক দিতে পারে, তবে সামাজিক যোগাযোগমূলক ফিচার এখানে প্রধান নয়।
-
অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, Twitter বা Instagram সাধারণত ব্যক্তিগত যোগাযোগ, টেক্সট, ছবি ও সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ইউটিউব এখন শিক্ষামূলক ভিডিও, বিনোদন, সংবাদ ও পেশাগত কনটেন্টের জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত অন্যতম মাধ্যম।
0
Updated: 18 hours ago
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ফেসবুক
B
ইউটিউব
C
মেসেঞ্জার
D
সব কয়টি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো এমন এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সঙ্গে তথ্য, মতামত, ছবি, ভিডিও ও বার্তা বিনিময় করতে পারে। বর্তমান যুগে এই মাধ্যমগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ফেসবুক, ইউটিউব ও মেসেঞ্জার—সবই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং প্রতিটি মাধ্যমের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মানুষকে অনলাইন দুনিয়ায় সংযুক্ত রাখে।
• ফেসবুক হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা ২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ প্রতিষ্ঠা করেন। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বন্ধু, পরিবার ও পরিচিতদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা। ব্যবহারকারীরা এখানে পোস্ট, ছবি, ভিডিও, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে পারে, যা পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ করে।
• ইউটিউব ২০০৫ সালে চালু হয় এবং এটি একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। ব্যবহারকারীরা এখানে ভিডিও আপলোড, লাইক, কমেন্ট, সাবস্ক্রাইব ও শেয়ার করতে পারে, যার মাধ্যমে চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
• মেসেঞ্জার মূলত ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস, যা ২০১১ সালে আলাদা অ্যাপ হিসেবে চালু হয়। এটি চ্যাট, ভয়েস কল, ভিডিও কল, গ্রুপ চ্যাটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের সুযোগ দেয়। ব্যক্তিগত বা পেশাগত যোগাযোগে মেসেঞ্জারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
• এই তিনটি প্ল্যাটফর্মই মানুষের যোগাযোগ, তথ্য বিনিময়, বিনোদন এবং সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষামূলক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এগুলোর প্রভাব গভীরভাবে লক্ষ্য করা যায়।
• সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আরেকটি বড় দিক হলো তথ্য প্রচার ও গণসচেতনতা সৃষ্টি। যেমন—দুর্যোগকালীন সময় বা কোনো সামাজিক আন্দোলনে এই মাধ্যমগুলো দ্রুত তথ্য ছড়িয়ে দেয়।
• তবে এর কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। যেমন—ভুয়া খবর ছড়ানো, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়া, মানসিক চাপ সৃষ্টি ইত্যাদি। তাই এগুলো ব্যবহারে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ জরুরি।
সবশেষে বলা যায়, ফেসবুক, ইউটিউব ও মেসেঞ্জার—সবকটিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কারণ এগুলো মানুষকে ভার্চুয়াল জগতে সংযুক্ত করে এবং পারস্পরিক যোগাযোগকে সহজ, দ্রুত ও বৈশ্বিক করে তোলে।
0
Updated: 2 weeks ago