অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারে কি থাকে?
A
তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
তরল অ্যামোনিয়া
C
তরল নাইট্রোজেন
D
অক্সিজেন তরল আকারে
উত্তরের বিবরণ
অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারে সাধারণত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। সিলিন্ডারের ভেতর উচ্চচাপে CO₂ তরল অবস্থায় থাকে, কিন্তু ব্যবহারের সময় গ্যাসে রূপান্তর হয়ে আগুনের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।
-
CO₂ আগুনের আশেপাশে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে জ্বলন প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়।
-
এটি বৈদ্যুতিক আগুন, দাহ্য তরল এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের ক্ষতি না করেই আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
-
ফোম বা পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক যন্ত্র নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে, কিন্তু CO₂ তাতে নিরাপদ।
-
এটি আগুনের তাপমাত্রা কমিয়ে এবং ধোঁয়া কম উৎপন্ন করে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।
0
Updated: 18 hours ago
‘CNG’-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 2 days ago
A
Converted Natural Gas
B
Compressed Natural Gas
C
Conversed Natural Gas
D
Connected Natural Gas
CNG এর পূর্ণরূপ Compressed Natural Gas, যা রূপান্তরিত বা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত মিথেন গ্যাস থেকে তৈরি হয় এবং উচ্চচাপে সংকুচিত করে যানবাহনে ব্যবহারযোগ্য করা হয়। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এটি প্রচলিত জ্বালানি যেমন পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় অধিক নিরাপদ এবং কম দূষণ সৃষ্টি করে।
• CNG তৈরি হয় ২০০-২৫০ বার চাপ প্রয়োগ করে গ্যাসকে সংকুচিত করার মাধ্যমে।
• এতে মূল উপাদান মিথেন হওয়ায় এর জ্বলন প্রক্রিয়া পরিষ্কার এবং ধোঁয়া কম উৎপন্ন হয়।
• যানবাহন, বিশেষ করে বাস, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ইত্যাদিতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।
• পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় CNG তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী জ্বালানি।
0
Updated: 2 days ago
সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতর কী গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
Created: 5 days ago
A
অক্সিজেন
B
নাইট্রোজেন
C
হাইড্রোজেন
D
হিলিয়াম
আপনার দেওয়া বক্তব্য মোটামুটি সঠিক কিন্তু কিছু জায়গায় সংশোধনী দরকার যাতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়।
• হাইড্রোজেন (Hydrogen) সর্বোচ্চ হালকা গ্যাস — এতে অণু সার্বজনীনভাবে হালকা ও উচ্চ উঠানামা থাকে।
• রেডন (Radon) প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ভারী রাজ্যবাহী গ্যাসগুলোর মধ্যে একটি এবং সাধারণত সবচেয়ে ভারী স্বাভাবিক গ্যাস হিসেবে বিবেচিত।
• পারমাণবিক বোমার দুটি ধরণ আছে: ফিশন বোমা (ইউরেনিয়াম/প্লুটোনিয়াম) ও থার্মোনিউক্লিয়ার (H-বম্ব) যা হাইড্রোজেনের আইসোটোপ (ডিউটेरিয়াম/ট্রিটিয়াম) ব্যবহার করে; তাই “হাইড্রোজেন”-এর কথা বললে থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার কথা বুঝতে হবে।
• বৈদ্যুতিক বাতিতে প্রধানত আর্গন (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) এবং মাঝে মাঝে নাইট্রোজেন মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, নাইট্রোজেনই একমাত্র নয়।
• বেলুন, এয়ারশিপ ও কিছু ডাইভিং গ্যাস মিশ্রণে হিলিয়াম (Helium) ব্যবহার করা হয়—বেলুনে ভাসমানতার জন্য, গভীর ডাইভিংয়ে শ্বাসের মিশ্রণে (Heliox) নাইট্রোজেন-অ্যাসিস্টেড সমস্যা এড়াতে।
0
Updated: 5 days ago
হরিপুরে তেল আবিষ্কৃত হয়-
Created: 6 months ago
A
১৯৪৭ সালে
B
১৯৮৬ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৮৪ সালে
• হরিপুর খনিজ তৈল ক্ষেত্র:
- বাংলাদেশের দুটি খনিজ তৈল ক্ষেত্র রয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রথম খনিজ তেলক্ষেত্রটি হরিপুর তেলক্ষেত্র।
- এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে।
- ১৯৮৭ সালে তেলক্ষেত্রটি থেকে তেল উৎপাদন শুরু হয়।
- ১৯৯৪ সাল থেকে তেল উৎপাদনে স্থগিত হয়ে যায়।
১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এই সাত বছরে তেলক্ষেত্রটি থেকে মোট প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয়।
উল্লেখ্য,
২০২৩ সালে সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল (১৫৯ লিটার) তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে।
---------------------
হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র:
- বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো সিলেটের হরিপুরে।
- ১৯৫৫ সালে সর্বপ্রথম এখানে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়।
- ১৯৫৭ সালে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।
- হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৭ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য
- হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে নতুন একটি গ্যাসকূপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
- কূপটিতে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- এলএনজির আমদানি মূল্য হিসেবে এই গ্যাসের দাম প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
- জুন, ২০২৩ থেকে হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে অনুসন্ধান শুরু হয়।
- কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে।
উৎস:
i) জাতীয় তথ্য বাতায়ন,বাংলাপিডিয়া।
ii) ২৬ নভেম্বর ২০২৩, প্রথম আলো।
iii) সিলেট জেলার সরকারি ওয়েবসাইট।
0
Updated: 6 months ago