বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নে অঙ্গীকার কবে নেয়?
A
১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট
B
১৯৯০ সালের ৩ মে
C
১৯৯০ সালের ৩ জুলাই
D
১৯৯০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (UNCRC) বাস্তবায়নের অঙ্গীকার গ্রহণ করে। এই সনদে বিশ্বের সকল শিশুর মৌলিক অধিকার যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ১৯৯০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই সনদে যোগ দেয়।
-
সনদের মূল লক্ষ্য শিশুদের সুরক্ষা, বিকাশ ও মর্যাদা নিশ্চিত করা
-
এতে শিশুদের শোষণ, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে রক্ষার নির্দেশনা রয়েছে
-
সনদ বাস্তবায়নের পর বাংলাদেশে শিশু নীতি ও আইন সংশোধন শুরু হয়
-
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নীতিমালা তৈরি হয়
0
Updated: 18 hours ago
Premature baby বলতে কোন সময়ে জন্মগ্রহণকারী শিশু বলা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৯-১০ মাস
B
২৮ সপ্তাহ-৩৭ সপ্তাহ
C
৩৭ সপ্তাহের পরবর্তী সময়
D
৪০ সপ্তাহের বেশি
Premature baby বা অকালজাত শিশু বলতে সেই নবজাতককে বোঝানো হয় যে গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ থেকে ৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। স্বাভাবিকভাবে একটি শিশুর জন্ম হয় প্রায় ৪০ সপ্তাহে, অর্থাৎ সম্পূর্ণ গর্ভকাল শেষ হওয়ার পর। কিন্তু গর্ভের সময়কাল ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নিলে সেই শিশুকে Premature baby বলা হয়।
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়
-
স্বাভাবিক গর্ভকাল সাধারণত ৪০ সপ্তাহ বা প্রায় ৯ মাস ১০ দিন, যা সম্পূর্ণ মেয়াদ (Full term) হিসেবে বিবেচিত।
-
যদি কোনো শিশুর জন্ম ৩৭ সপ্তাহের আগেই হয়, তখন তাকে Preterm বা Premature বলা হয়।
-
আবার যদি জন্ম ২৮ সপ্তাহের আগেই হয়, তখন তাকে Extremely preterm, আর ৩২-৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম হলে Moderate to late preterm বলা হয়।
-
Premature শিশুদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পূর্ণরূপে বিকশিত না থাকায় তারা অনেক সময় শ্বাসকষ্ট, দেহের তাপমাত্রা ধরে রাখতে অক্ষমতা, রক্তে শর্করার ঘাটতি, সংক্রমণ, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগে।
-
এদের জন্মের সময় সাধারণত ওজন ২.৫ কেজির নিচে থাকে এবং তাদের Low Birth Weight (LBW) শ্রেণিতে ফেলা হয়।
-
অকাল জন্মের অন্যতম কারণ হতে পারে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ, একাধিক ভ্রূণ থাকা, মানসিক চাপ, ধূমপান, অপুষ্টি, বা জরায়ুর কোনো জটিলতা।
-
Premature শিশুদের যত্নে বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন, যেমন ইনকিউবেটরে রাখা, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ, এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি।
-
ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (KMC) পদ্ধতিও এই শিশুদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এতে শিশুর তাপমাত্রা বজায় থাকে এবং মায়ের বুকের দুধ সহজে পাওয়া যায়।
-
চিকিৎসা ও যত্নের মাধ্যমে অনেক Premature baby-ই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ওজন এবং বিকাশে পৌঁছাতে পারে।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১৫ মিলিয়ন শিশু অকাল জন্মগ্রহণ করে, যার মধ্যে অনেকেই সঠিক যত্ন পেলে সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে।
সুতরাং, ২৮ সপ্তাহ থেকে ৩৭ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী শিশুকে Premature baby বলা হয়, কারণ এ সময়ের আগে জন্ম নেওয়া মানে শিশুর শারীরিক বিকাশ সম্পূর্ণ হয়নি এবং তাকে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কবে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের মূল দলিল স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়?
Created: 1 day ago
A
১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি
B
১৯৯০ সালের ২৬ আগস্ট
C
১৯৯০ সালের ২৬ নভেম্বর
D
১৯৯০ সালের ২৬ মে
UNCRC বা United Nations Convention on the Rights of the Child মূলত শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এই দলিলটি বিশ্বব্যাপী শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত হয় এবং পরে স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি। এ তারিখ থেকে বিভিন্ন দেশ এই কনভেনশন অনুমোদন ও স্বাক্ষর করতে শুরু করে।
• UNCRC-এর মূল লক্ষ্য শিশুদের বেঁচে থাকা, সুরক্ষা, বিকাশ এবং অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা।
• দলিলে মোট ৫৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেখানে শিশু অধিকার কাঠামো স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
• এটি বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত মানবাধিকার সনদগুলোর মধ্যে অন্যতম।
• বাংলাদেশও ১৯৯০ সালে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি।
0
Updated: 1 day ago
গর্ভকালীন সময়ে বিপদসংকেত (Warning signs) কোনটি নয়?
Created: 3 weeks ago
A
পাফুলা
B
ওজন বৃদ্ধি
C
রক্তপাত
D
জ্বর
গর্ভকালীন সময়ে কিছু শারীরিক পরিবর্তন স্বাভাবিক হলেও কিছু লক্ষণকে বিপদসংকেত বা Warning Signs হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে মা ও শিশুর উভয়ের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তাই গর্ভবতী নারীর প্রতিটি পরিবর্তন সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। তবে সব পরিবর্তনই বিপদের ইঙ্গিত নয়।
গর্ভকালীন বিপদসংকেত হিসেবে বিবেচিত লক্ষণগুলো হলো:
গর্ভাবস্থায় রক্তপাত অন্যতম বিপদসংকেত, যা গর্ভপাত, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া বা গর্ভফুলের বিচ্যুতি নির্দেশ করতে পারে। এটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
জ্বর গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে বিপদজনক হতে পারে, কারণ এটি সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়, যা ভ্রূণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। উচ্চ জ্বর গর্ভের শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
পাফুলা বা হাত-পা, মুখ বা শরীর ফুলে যাওয়া প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতার লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থা সময়মতো চিকিৎসা না করলে মা ও শিশুর উভয়ের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে ওজন বৃদ্ধি গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি সাধারণত ভ্রূণের বৃদ্ধি, অ্যামনিওটিক তরল, রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং শরীরে চর্বি জমার কারণে ঘটে। এটি কোনো বিপদসংকেত নয়, বরং একটি স্বাভাবিক জৈবিক পরিবর্তন।
তবে হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে তা পাফুলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে উচ্চ রক্তচাপ বা গর্ভকালীন বিষক্রিয়ার লক্ষণ নির্দেশ করতে পারে— কিন্তু সাধারণভাবে নিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধি বিপদের ইঙ্গিত নয়।
সুতরাং, গর্ভাবস্থায় রক্তপাত, জ্বর ও পাফুলা বিপদসংকেত হিসেবে বিবেচিত হলেও ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক বিষয়, এটি বিপদের চিহ্ন নয়।
উ. খ) ওজন বৃদ্ধি
0
Updated: 3 weeks ago